স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ৩ মে ছিল শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্মদিন কিন্তু ঐ দিন ইদুল ফিতর থাকায় গতকাল ৭ মে ( শনিবার) পালিত হয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল এগারো ঘটিকায় যশোর জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি সুকুমার দাস, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, যুব মৈত্রীর জেলা সভাপতি অনুপ কুমার পিন্টু ও তরুন নাট্য ব্যক্তিত্ব কামরুল হাসান রিপন। পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। তাঁর ত্যাগ ও সংগ্রাম এক অনন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে অবিস্মরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে আছে। স্বাধীনতাকে যারা কলঙ্কিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে জাহানারা ইমাম আন্দোলন করায় দোষীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তাতে আওয়ামী লীগ লাভবান হয়ে আজ দেশ পরিচালনা করছে। রাষ্ট্রদ্রোহী মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে শাহাদৎ বরণ করতে হয়েছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজো পূরণ হয়নি। সভা থেকে সরকারের কাছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়। শহীদ জাহানারা ইমামকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে সংগঠনের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া ও তার ত্যাগের কথা সবাইকে জানাতে হবে। আগামী প্রজন্ম জাহানারা ইমামকে সঠিকভাবে চিনতে না পারলে দেশে ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে যেকোন সময়। আর সে দায় আমরা কেউই এড়িয়ে যেতে পারব না।