মোঃ আজিজার রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
বান্দরবনের লামায় জুম চাষের বনাঞ্চল আগুনে পুড়ে দেয়া ‘রাবার ইন্ড্রাস্টিজ কোম্পানি’র দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ম্রো, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন ৮ মে এক লিখিত বিবৃতিতে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন গত ২৬ এপ্রিল রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি বান্দরবানের লামায় জুমচাষের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল পুড়িয়ে দেওয়ায় তিনটি পাড়ার ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ খাদ্যসংকটে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক পরিবার একবেলা খেয়ে এবং কিছু পরিবার ১০ দিন ধরে জঙ্গলের আলু ও লতাপাতা খেয়ে দিন যাপন করছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারী ম্রো, ত্রিপুরা, মুরং, বমসহ বেশির ভাগ জাতিগোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষই শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে কৃষি ও শিকারের মতো ঐতিহ্যবাহী পেশার বাইরে তাঁরা অন্য কোনো পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারেন না।জীবনধারণের জন্য তাঁদের জুমচাষ, বন থেকে গাছ-বাঁশ সংগ্রহ করে বিক্রি ও দিনমজুরির ওপর নির্ভর করতে হয়।রাবার কোম্পানির আগুনে শুধু ৩৫০ একর প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ধ্বংস হয়নি।
একই সঙ্গে কলাবাগান, ফলদ-বনজ বাগান, ধানের খেতও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ম্রো ও ত্রিপুরাদের তিনটি পাড়ার মানুষের জীবন-জীবিকার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রে প্রশাসন থাকার পরেও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটা অংশের জীবন জীবিকার উপর এধরনের অমানবিক আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি, অবিলম্বে রাবার ইন্ড্রাস্টিজ কোম্পানির ম্যানেজার সহ দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ম্রো, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদানের দাবি জানান।