মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দেশের উত্তর অঞ্চলের প্রথম দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চলতি বছর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চলতি বছর উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় কৃষি ও শিল্প খাতে উৎপাদন বাড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত থাকায় উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় ৩ কোটি হেক্টর জমিতে ইরি বোর ধান চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিটি ১৯৯৪ ইং সালে উদ্বোধন করা হয়। এই খনির উৎপাদিৎ কয়লা দিয়ে দেশের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি ইউনিট ২০০৩ ইং সালে ২৩ শে এপ্রিল স্থাপিত হয়। এই ইউনিট দুটি থেকে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ২৮২ একর জমির উপর নির্মিত ৩টি ইউনিটে প্রতি দিন ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লা জা¡লানী খাতে ব্যয় হচ্ছে। অপর দিকে ২০১৬ ইং সালে ৩য় ইউনিটটি নির্মানের পর থেকে চালু করা হয়।
বর্তমান ২নং ও ৩ নং ইউনিট থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যহত রয়েছে। বর্তমান ৩য় ইউনিটটি চালু রয়েছে। কয়লা সংকটের মধ্যেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রয়েছে। উত্তর অঞ্চলের ভারিশিল্প, মাঝারি শিল্প ও আগামীতে আমন মৌসুমে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তাদের কার্যক্রম অব্যহত রাখবে। যাতে কোন ভাবে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা না দেয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরকার ২০২০ ইং সালে যোগদান করার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার প্রচেষ্ঠায় ৩টি ইউনিট নিরবিচ্ছিন্ন করতে পারছে।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সর্বাত্তকভাবে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলি চালু রেখেছে। যার ফলে মানুষ এখন আর বিদ্যুৎ এর জন্য হাহাকার করে না। চীনা কোম্পানি এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষ প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলশ পরিশ্রম করে চলেছে। তাদের এই প্রচেষ্ঠা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে এই এলাকার মানুষ।
বর্তমান এলাকার মানুষ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সৌহদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলীর সাথে। তিনি যোগদান করার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মসজিদ সংষ্কার, বঙ্গবন্ধুর শর্তবর্ষ উপলক্ষে মুজিব কর্ণর স্থাপন, শহীদ মিনার নির্মান সহ বিভিন উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন এবং তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিদ দায়িত্ব পালন করছেন।