বাংলাদেশ ০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

চেয়ারম্যান স্ত্রী কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে অনুমতি লাগবে চেয়ারম্যানের স্বামী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে

চেয়ারম্যান স্ত্রী কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে অনুমতি লাগবে চেয়ারম্যানের স্বামী

 

 

 

 

 

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২ নং বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল। কিন্তু পরিষদে সাংবাদিকদের কোন কাজে ঢুকতে অনুমতি নিতে হবে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী আমিনুল ইসলাম মোল্লার। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি প্রায় আড়াই মিনিটের ভিডিওতে এমনই কথা বলেন চেয়ারম্যানের স্বামী। এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শিমুল বিশ্বাসের অনিয়মের তথ্য পেয়ে তার বক্তব্য নিতে বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে যান।

 

 

তখন সেখানে আসেন ঐ ইউপির চেয়ারম্যানের স্বামী আমিনুল ইসলাম মোল্লা। এসেই বলেন বিষয়টা কি আমি একটু জানি। চেয়ারম্যান কাছে অবশ্যই যাবো সাংবাদিকরা বললে তিনি বলেন আগে আসো এদিকে। তারপর চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন তুমি (সাংবাদিক) আমার কাছে না ঢুকে, এখানে ঢুকছো কেন? তুমি আগে আমার কাছে আসবা তারপর আমার অনুমতি সাপেক্ষে এ জায়গায় কাজ করতে হবে। এসে কাজে ডিস্টার্ব করতেছো। আমরা তো সময় দেবো, সাংবাদিক তো আমাদেরও দরকার। তখন সাংবাদিকরা অভিযোগের বিষয়ে বললে চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন, ওতো (হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর) আমার স্টাফ! অভিযোগটা তো আমার কাছে দেবে। আপনারা জানতে আসছেন, সেটা তো আমার কাছ থেকে জানবেন। আমার যদি কোন কাজে সমস্যা হয় সেটার জন্য আমি সাফারার হবো। সে ক্ষেত্রে আমি অবজেকশন দেবো, আমি সাংবাদিকদের ডাকবো, তারপরে যে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সেটা আমি নেবো।

 

 

এ ব্যাপার তো ওভাবে হবে না। তখন সাংবাদিকরা আবারো বলেন, আমরা অভিযোগের বিষয়টি জানতে আসছি। তখন চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন জানতে আসলেও আপনারা আমার ওখানে যাবেন, আপনাদের দিয়ে কাজ করাবো! তারপর আমার পরিষদের যদি কোন সুবিধা অসুবিধা থাকে সেটা আমি উত্থাপন করবো। যাতে আমার জন্য সুবিধা হয়। আপনারা আমার ভাই ব্রাদার সাংবাদিক, আপনাদের আমার কাজে লাগবে। আপনারা আমার ওখানে আসেন। তখন সাংবাদিকরা বলেন, আমাদের কাজের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের বক্তব্য নিয়ে তারপর চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে যাবো। একথা শুনে চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন আগে এখানে আসতে ভালো হতো না। এদিকে সাংবাদিকদের পরিষদে ঢুকতে চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি নিতে হবে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিভিন্ন মানুষ ওই পরিষদের কর্মকা-ে অনিয়মের কথা বলেন।

 

 

ভিডিওটি শেয়ার করে শাহিন নামের একজন লিখেছেন “বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তাহলে? জনগন জানতে চায় মিলিয়া নাকি তার স্বামী আমিনুল মোল্লা? যে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে সাংবাদিকের স্বামীর অনুমতি লাগবে চেয়ারম্যানের স্বামী, তাহলে কি আমরা সাধারন জনগন ধরে নেবো যে ঐখানে দুর্নীতি হচ্ছে। ইকবাল নামের একজন কমেন্ট করেছেন “ভবনে আসবে ওর বউ, দালাল তার কি কাজ? এরকম আরো অসংখ্য কমেন্ট রয়েছে। এব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একজন মহিলা। যার নাম মিলিয়া আমিনুল। কিন্তু চেয়ারম্যানের স্বামীর এরকম ব্যবহার খুবই দুঃখজনক। পরিষদে ঢুকতে চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি লাগবে এটা কোন ধরনের কথা। এবিষয়ে বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল মুঠোফোনে বলেন, পরিষদে ঢুকতে সাংবাদিকদের তার স্বামীর অনুমতি নিতে হবে তিনি এটা বলেননি। বলেছেন চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে এখানে আসা উচিত ছিল না।

 

 

ইউনিয়ন পরিষদে ঐ হিসাব সহকারী তার স্বামীর স্টাফ একথাও অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান মিলি। সাংবাদিকরা বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে আসলে তার ভিজিটিং কার্ড অথবা প্রেস কার্ড তাকে দেখিয়ে তারপর কাজ করলে কোন অসুবিধা নেই বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ঐ ভিডিওটি আমিও দেখেছি। পরে বর্নি ইউপি চেয়ারম্যানকে ডেকে তার স্বামীর তাকে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি নিতে হবে এটা দুঃখজনক। এবিষয়েও চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

চেয়ারম্যান স্ত্রী কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে অনুমতি লাগবে চেয়ারম্যানের স্বামী

আপডেট সময় ০৪:২৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

 

 

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২ নং বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল। কিন্তু পরিষদে সাংবাদিকদের কোন কাজে ঢুকতে অনুমতি নিতে হবে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী আমিনুল ইসলাম মোল্লার। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি প্রায় আড়াই মিনিটের ভিডিওতে এমনই কথা বলেন চেয়ারম্যানের স্বামী। এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শিমুল বিশ্বাসের অনিয়মের তথ্য পেয়ে তার বক্তব্য নিতে বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে যান।

 

 

তখন সেখানে আসেন ঐ ইউপির চেয়ারম্যানের স্বামী আমিনুল ইসলাম মোল্লা। এসেই বলেন বিষয়টা কি আমি একটু জানি। চেয়ারম্যান কাছে অবশ্যই যাবো সাংবাদিকরা বললে তিনি বলেন আগে আসো এদিকে। তারপর চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন তুমি (সাংবাদিক) আমার কাছে না ঢুকে, এখানে ঢুকছো কেন? তুমি আগে আমার কাছে আসবা তারপর আমার অনুমতি সাপেক্ষে এ জায়গায় কাজ করতে হবে। এসে কাজে ডিস্টার্ব করতেছো। আমরা তো সময় দেবো, সাংবাদিক তো আমাদেরও দরকার। তখন সাংবাদিকরা অভিযোগের বিষয়ে বললে চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন, ওতো (হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর) আমার স্টাফ! অভিযোগটা তো আমার কাছে দেবে। আপনারা জানতে আসছেন, সেটা তো আমার কাছ থেকে জানবেন। আমার যদি কোন কাজে সমস্যা হয় সেটার জন্য আমি সাফারার হবো। সে ক্ষেত্রে আমি অবজেকশন দেবো, আমি সাংবাদিকদের ডাকবো, তারপরে যে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সেটা আমি নেবো।

 

 

এ ব্যাপার তো ওভাবে হবে না। তখন সাংবাদিকরা আবারো বলেন, আমরা অভিযোগের বিষয়টি জানতে আসছি। তখন চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন জানতে আসলেও আপনারা আমার ওখানে যাবেন, আপনাদের দিয়ে কাজ করাবো! তারপর আমার পরিষদের যদি কোন সুবিধা অসুবিধা থাকে সেটা আমি উত্থাপন করবো। যাতে আমার জন্য সুবিধা হয়। আপনারা আমার ভাই ব্রাদার সাংবাদিক, আপনাদের আমার কাজে লাগবে। আপনারা আমার ওখানে আসেন। তখন সাংবাদিকরা বলেন, আমাদের কাজের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের বক্তব্য নিয়ে তারপর চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে যাবো। একথা শুনে চেয়ারম্যানের স্বামী বলেন আগে এখানে আসতে ভালো হতো না। এদিকে সাংবাদিকদের পরিষদে ঢুকতে চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি নিতে হবে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিভিন্ন মানুষ ওই পরিষদের কর্মকা-ে অনিয়মের কথা বলেন।

 

 

ভিডিওটি শেয়ার করে শাহিন নামের একজন লিখেছেন “বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তাহলে? জনগন জানতে চায় মিলিয়া নাকি তার স্বামী আমিনুল মোল্লা? যে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে সাংবাদিকের স্বামীর অনুমতি লাগবে চেয়ারম্যানের স্বামী, তাহলে কি আমরা সাধারন জনগন ধরে নেবো যে ঐখানে দুর্নীতি হচ্ছে। ইকবাল নামের একজন কমেন্ট করেছেন “ভবনে আসবে ওর বউ, দালাল তার কি কাজ? এরকম আরো অসংখ্য কমেন্ট রয়েছে। এব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একজন মহিলা। যার নাম মিলিয়া আমিনুল। কিন্তু চেয়ারম্যানের স্বামীর এরকম ব্যবহার খুবই দুঃখজনক। পরিষদে ঢুকতে চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি লাগবে এটা কোন ধরনের কথা। এবিষয়ে বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলিয়া আমিনুল মুঠোফোনে বলেন, পরিষদে ঢুকতে সাংবাদিকদের তার স্বামীর অনুমতি নিতে হবে তিনি এটা বলেননি। বলেছেন চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে এখানে আসা উচিত ছিল না।

 

 

ইউনিয়ন পরিষদে ঐ হিসাব সহকারী তার স্বামীর স্টাফ একথাও অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান মিলি। সাংবাদিকরা বর্নি ইউনিয়ন পরিষদে আসলে তার ভিজিটিং কার্ড অথবা প্রেস কার্ড তাকে দেখিয়ে তারপর কাজ করলে কোন অসুবিধা নেই বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ঐ ভিডিওটি আমিও দেখেছি। পরে বর্নি ইউপি চেয়ারম্যানকে ডেকে তার স্বামীর তাকে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের চেয়ারম্যানের স্বামীর অনুমতি নিতে হবে এটা দুঃখজনক। এবিষয়েও চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে।