পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়ার প্রবাসী মো.সালাম খানের স্ত্রী মোসাঃ সামেলা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে মো.নয়ন (১২) এর উপর প্রতিপক্ষের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে ভিকটিম মোসাঃ সামেলা আক্তার ৮ জনকে আসামী করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আসামীরা হলেন-মো.বাবুল খান (৪৫), মো.জাফর খান (৫০), মো.দেলোয়ার খান (৪০), মো.জাহিদ খান (২২), মো.রহমান হাওলাদার (৩০) মোসাঃ মাসুমা বেগম (৩৫), মোসাঃ তানিয়া বেগম ( ২৫), মোসাঃ হালিমা বেগম (৩০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বাদী ও বিবাদীরা একই বাড়ীর পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা ও নিকট আত্মীয়। জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদীদের সাথে পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। গত ২৭/৩/২০২২ ইং তারিখ সকাল বেলা মোসাঃ সেমালা আক্তার নিজ বসত ঘরের পিছনে পুরাতন পাকের ঘর ভাঙিয়া নতুন করে তৈরী করার সময় প্রতিপক্ষের মাসুমা বেগম পাকের ঘর তৈরী করিতে বাঁধা দেয়। এসময় মাসুমা বেগমের সাথে সেমালা আক্তার এর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মাসুমা বেগম চলে যায়।

একই তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে দাও,লোহার রড ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া মোসাঃ সেমালা আক্তারের উপর আক্রমণ করে। মোসাঃ সেমালা আক্তার চিৎকার দিয়ে দৌড়াইয়া ঘরে ভিতর উঠে দরজা বন্ধ করার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দরজায় লাথি দিয়ে দরজা ভাঙিয়া ঘরের ভিতর অনাধিকার প্রবেশ করে মোসাঃ সেমালা আক্তারকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। মোসাঃ সেমালা আক্তারের ডান পায় কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে পুত্র মো.নয়ন খান ঘটনাস্থলে এসে মোসাঃ সেমালা আক্তারকে রক্ষা করিতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা মোসাঃ সেমালা আক্তারের পরিহিত কাপড় টানা-হেচড়া ও তার শ্লীলতাহানি করে। এসময়ে মোসাঃ সেমালা আক্তার এর ঘরে থাকা শোকেসের মধ্যে রক্ষিত টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মোসাঃ সেমালা আক্তার ও মো. নয়নকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে রেফার করেন।

মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।