বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ।।
বুড়িচং উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেছেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া মাদকের ভয়াবহতা রোধ করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছিনাইয়া -কোদালিয়া সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে “ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা; সচেতন নাগরিক সমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার আয়োজনে ছিনাইয়া কোদালীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, এলাকার যুব সমাজ এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আবদুর রহিম ব্যাংকার।
সেমিনারের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেজ মোঃ কাউছার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনারের সমন্বয়কারী সুপার মাওঃ মোঃ মীর হোসেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, খারেড়া বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ মালেকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
বক্তব্য রাখেন, কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম, ছয়গ্রাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ জসিম উদ্দিন মাষ্টার, মাওঃ মোঃ জাহিদ উল্লাহ রফিজ উদ্দিন সাবেক মেম্বার, মাওঃ মোঃ ওবায়দুল হক, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, লাইব্রেরিয়ান মোঃ দুলাল হোসেন, ব্যবসায়ী মোঃ শাহজালাল। উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমন্তপুর এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোসলেম, মোর্শেদা বেগম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, ছয়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম,যুব সমাজ এবং শিক্ষার্থী বৃন্দ।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। মাদক ব্যবহৃত নিকোটিন নামক পদার্থ মানুষের জীবন থেকে আস্তে আস্তে আয়ু কমিয়ে দেয়। মানুষ মেধা শক্তি নষ্ট করে খিটখিটে করে দেয়। তাই মাদকের মতো এমন একটি মরণব্যাধি দ্রব্য, আত্মহননের অসৎ এবং কুৎসিত পথ যেন আমাদের সন্তানদের উপরে প্রভাব না ফেলে এ বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন বক্তারা। সেমিনারের শেষের দিকে উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।