মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
ঐতিহাসিকভাবে, বঙ্গ চা অশ্ব সড়কের শেষপ্রান্ত ছিল, যা এই উপমহাদেশকে চীনের প্রথম দিককার চা-উৎপাদনকারী অঞ্চল ইউন্নানের সাথে সংযুক্ত করেছিল। অতীশ দীপঙ্করকে প্রথম দিককার একজন বাঙ্গালি চা পানকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উইকিপিডিয়ার ধারণায়,বাংলাদেশ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ চা উৎপাদনকারী দেশ। এর চা শিল্প ব্রিটিশ শাসনামল থেকে চলে আসছে, যখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে চা ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ১৬৭টি বাণিজ্যিক চা এস্টেট রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কর্মক্ষম চা বাগান। এখানকার এই শিল্প বিশ্বের ৩% চা উৎপাদন করে থাকে, এবং ৪০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
চা তৈরি করার পর অনেকেই পাত্রে জমে থাকা চা পাতা ডাস্টবিনে ফেলে দেন। আবার অনেকে এ চা কাজে লাগান গাছের সার হিসেবে। তবে সার ছাড়া আরও অনেক কাজে লাগে চা পাতা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্যবহার করা চা পাতা আরও যেসব কাজে লাগে।
সৃষ্টি জগতে কোনো বস্তু ফেলনা নয়,প্রতিটি বস্তু কোন না কোন কাজে লাগেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফেলিত চা পাতার অসংখ্য ব্যবহার। ১) চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে: সিদ্ধ হওয়া চা পাতা ভালো করে ঠান্ডা করে নিন। একটা পরিষ্কার কাপড়ে তা নিয়ে চোখে হালকা করে ঠান্ডা সেঁক দিন, দেখবেন চোখের ক্লান্তি দূর হবে।
২) বাড়ির কাঠের আসবাবপত্র দীর্ঘদিন মজবুত রাখতে চা পাতার জুড়ি মেলা ভার। ব্যবহার হওয়া চায়ের পাতাকে ফের সিদ্ধ করুন। যে লিকারটি তৈরি হবে, তা দিয়ে আসবাবপত্র নিয়মিত মুছলে বেশিদিন টিকবে এবং চকচকেও থাকবে।
৩) চায়ের পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শরীরে আঘাত লাগলে বা জখম হলে সেখানে চা পাতা সিদ্ধ লাগিয়ে দিলে উপশম হয়।
৪) ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন? ব্যবহার হওয়া চা কিছুক্ষণ পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এমনটা করুন, দেখবেন সমস্যা দূর হবে।
৫) জুতোয় দুর্গন্ধ হচ্ছে? গ্রিন টির পাতা একটি পাতলা কাপড়ের মধ্যে পুরে জুতোর ভেতরে রেখে দিন। টানা ২৪ ঘণ্টা এভাবে রেখে দিলে দেখবেন জুতোর দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে। ফ্রিজের ভিতরে দুর্গন্ধ হলেও একটি ছোট পাত্রে ব্যবহার হওয়া চা পাতা রেখে ফ্রিজে মধ্যে রাখুন, এতে করে ফ্রিজ ফ্রেশ থাকবে।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার চা দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যথাক্রমে, জিয়া উদ্দিন, (হোসেনপুর),নাসির মিয়া(বাজিতপুর),আবু বক্কর(কটিয়াদি), আজিজুল (সদর),চা পাতার বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে তাদের সম্যক জ্ঞান নেই তাই তারা চা-পাতি চায়ে ব্যবহারের পরে ফেলে দেন।