নিজস্ব সংবাদ : 
শাহিদুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে প্রতারণা,কর্মফাঁকি ও অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার কয়রার সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে ১০০ জনের অধিক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র খুলনা সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর একই কর্মস্থলে চাকুরী করে আসছেন। নিয়ম অনুযায়ী সরকারী কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন বছরের বেশী একই কর্মস্থলে থাকার নিয়ম না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায় সরকারী কর্মফাঁকি দিয়ে ডাক্তার না হয়েও রোগী দেখার জন্য ব্যস্ত থাকেন। তিনি মেডিসিন, হ্যাটের রুগী, গাইনী, শিশু রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তিনি তার পছেন্দের ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিকট হতে বড় অংকের টাকা নিয়ে পছন্দ মত এন্টিবাইওটিক সহ অনন্যা ঔষধ লিখে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিগত সালের জুলাই মাসের ২৩ তারিখ তার স্ত্রী অমরী রানী রায়ের মালিকাধীন কপোতাক্ষ ক্লিনিক প্রতিষ্টা করেন। যার রেজিঃ নং ৩৫৫২।
পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তার পরেও সু-চতুর শশাংক শেখর রায় অদৃশ্য ক্ষতার বলে ডাক্তার না হয়েও নিয়মিত কপোতাক্ষ ক্লিনিকের প্যাডে চিকিৎসা পরামর্শ পত্র দিয়ে আসছেন। তিনি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট দিয়ে সাধারণ রোগিদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারনে কোন রোগির অবস্থা খারাপ হলে তার চুক্তিকৃত খুলনা সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগি পাঠান এবং রোগী ও ক্লিনিক মালিকের নিকট থেকে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে শশাংক শেখর রায় বলেন, আমি মানুষের সেবা দিয়ে থাকি যে যা দেয় তাই নিয়ে থাকি। আমার চাকুরী আর ২/৩ বছর আছে তার পরেও যদি আমাকে চলে যেতে হয় যাব।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফার্মাসিস্ট শশাংক শেখর রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
