তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সড়ক নির্মাণকাজে নিম্মমানের ইট দিয়ে সোলিং করার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের সুযোগ দিচ্ছেন খোদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজেই। নিম্মমানের ইট দিয়ে হেরিং বোন বো- করলেও পিআইও কর্মকর্তা নুর মামুনের দাবী সারা বাংলাদেশের মধ্যে ১নং ইট দিয়ে কাজ চলছে।
জানা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের চাদপুর দক্ষিন পাড়া ইটের সোলিং এর শেষ মাথা থেকে উপরসিলট এইচবিবি পর্যন্ত রাস্তায় ৪৪৬মিটার এইচবিবি করনের কাজ করছে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। আর সড়কের নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এইচবিবি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অধীনে একটি প্যাকেজে তালম ইউনিয়নের উপর সিলট সড়কের ৪৪৬ মিটার ও মাধাইনগর ইউনিয়নের মাদারজানী কালভার্ট থেকে মাদারজানী কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৫৫৪ মিটার সড়কের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৯২৬ টাকা। কাজটি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাদিয়া এন্টারপ্রাইজ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই সড়ক নির্মাণকাজে ১ নম্বর ইট ব্যবহার করতে হবে।
কিন্তু সড়কের ওপরের কিছু ১ নম্বর ইট ব্যবহার করা হলেও বেশির ভাগে ব্যবহার করা হচ্ছে অধিকাংশ ২ ও ৩ নম্বর ইট। নিম্নমানের ১-২ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে ইট বিছানো হচ্ছে। রাস্তায় পানি দেয়ার কথা থাকলেও পানি দেয়া হয়নি। ফলে দায়সারাভাবে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। উপরসিলট গ্রামের নাজমুল হক বলেন, সড়কে ইট সোলিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। কিছু ১ নম্বর আর অধিকাংশ ৩ নম্বর ইট। এভাবে সড়ক নির্মাণ করা হলে এক বছরের বেশি টিকবে না।
পুরনায় আমাদের চলাচলের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে। চাঁদপুর গ্রামের আয়নাল হক, আব্দুল হান্নানসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, সড়কের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সড়কের ওপরের ইট ঠিক থাকলেও নিচের ভাগে ইটগুলো নিম্নমানের। এছাড়া ১-২ ইঞ্চি ফাঁকা করে বিছানো হচ্ছে এবং তা বালু দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়কে পানিও ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাদিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী মো: ফরিদুল ইসলাম জানান, কাজ যাই হোক না কেন মিলে মিশে চলতে হবে।
অফিস ম্যানেজ করেই কাজ করছি, এছাড়া আপনাদের সাথে দেখা করবো। তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: নুর মামুন বলেন, সড়কের কাজে সামান্য কিছু খারাপ ইট ছিল। সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি কাজের বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। এছাড়া সারা বাংলাদেশের মধ্যে এইখানে ১নং ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।