বাংলাদেশ ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু হল নরসিংদীতে ছয়দিনের নবজাতকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা’র মৃত্যু ছেলের পর মারা গেলেন বাবা কুবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে জাল নোটের সরঞ্জাম ও টাকাসহ গ্রেফতার ৩ হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হলেন কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার।

জবির চারুকলা অনুষদে বসন্ত বরণ ও ভর্তা উৎসব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৬১৩ বার পড়া হয়েছে

জবির চারুকলা অনুষদে ‘বসন্ত বরণ ও ভর্তা উৎসব’

রোমান আকন্দ, জবি প্রতিনিধি:
‘বসন্ত বাতাসে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। বিভাগের আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেচে গেয়ে ‘বসন্ত বরণ ও ভর্তা উৎসব-১৪৩০’ উদযাপিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিলিটি ভবনের ছাদে ৪ঠা মার্চ সোমবার এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। বসন্তকে বরণ করার পাশাপাশি বিশেষ আয়োজন হিসেবে ভর্তা উৎসবের আয়োজন করে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র ১৫ তম আবর্তন অর্থাৎ চারুকলা অনুষদের ৭ম আবর্তন এ আয়োজন করে।
এদিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে বসন্ত বরণ উৎসব পালন করে। এসময় চারুকলার ছাদে বসন্তের ঝরা পাতার আদলে মঞ্চ সাজানো হয়। এছাড়াও এবছর ভর্তা উৎসব বসন্ত বরণ উৎসবকে অন্য আমেজ এনে দেয়। এই আয়োজনে ভর্তাগুলোর মধ্যে ছিল টমেটো আলু ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, শিম ভর্তা, ডাল ভর্তা, টমেটো ভর্তা ও বিভিন্ন প্রকারের শুটকি ভর্তাসহ ৩০ এর ও অধিক প্রকারের ভর্তার সমারোহ। সাথে ছিল বিশেষভাবে রান্না করা ভাত। ভর্তা-ভাতে সবাইকে করা হয়েছে আপ্যায়ন। দিনব্যাপী সকলে মিলে আনন্দঘন পরিবেশে ভাত-ভর্তা উৎসবে মেতে উঠে।
এছাড়াও ভর্তা উৎসবের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালন করা হয় বসন্ত বরণ উৎসব। হলুদ, গোলাপি, নীল, লাল শাড়িতে মেতে উঠে তরুণীরা। সবার মাথায় বসন্তের আগমনী ফুলের মালা। ছেলেরা পড়েছে হরেক রকমের পাঞ্জাবি। এ সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছবি-সেলফি তোলাসহ খোশগল্পে মেতে উঠে।
চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার মুনা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণ উৎসবকে সর্বাত্মক ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় রেখে আগামী দিনগুলোতেও এই উৎস উৎসব পালন করবো।
ভাত-ভর্তা খেয়ে প্রিন্টমেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে মিশু জানান, ভর্তাগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। এটি এবারের বসন্ত বরণ উৎসবকে ভিন্ন আমেজ এনে দিয়েছে। নগর জীবনে এমন আয়োজন বাঙালির সাংস্কৃতিক সত্তাকে জাগিয়ে তুলে।
চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা আমাদের বিভাগে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে বসন্তবরণ উৎসব করেছি। ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ককে দৃঢ় রেখে যেনো আগামী বছর আবারও এ উৎসব পালন করতে চাই।
বসন্ত বরণ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের বাঙালি জাতির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকি, যে যেই ধর্মেরই হই না কেনো উৎসব একসাথে উদযাপন করি, ঈদ বা পূজা যেটায় হোক সবাই একসাথে পালন করি। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে থাকি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটা উৎসব একেকটা বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে করেছে। এখন বিভিন্ন বিভাগ এসব অনুষ্ঠান আলাদা আলাদা ভাবে করে। চারুকলার এমন আয়োজন বাঙালির সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চাকে গতিশীল করছে।
অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা: আলপ্তগীন, ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সহ অনুষদের সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টররাও এ উৎসবে অংশ নেয়।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার

জবির চারুকলা অনুষদে বসন্ত বরণ ও ভর্তা উৎসব

আপডেট সময় ১২:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
রোমান আকন্দ, জবি প্রতিনিধি:
‘বসন্ত বাতাসে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। বিভাগের আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেচে গেয়ে ‘বসন্ত বরণ ও ভর্তা উৎসব-১৪৩০’ উদযাপিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিলিটি ভবনের ছাদে ৪ঠা মার্চ সোমবার এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। বসন্তকে বরণ করার পাশাপাশি বিশেষ আয়োজন হিসেবে ভর্তা উৎসবের আয়োজন করে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র ১৫ তম আবর্তন অর্থাৎ চারুকলা অনুষদের ৭ম আবর্তন এ আয়োজন করে।
এদিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে বসন্ত বরণ উৎসব পালন করে। এসময় চারুকলার ছাদে বসন্তের ঝরা পাতার আদলে মঞ্চ সাজানো হয়। এছাড়াও এবছর ভর্তা উৎসব বসন্ত বরণ উৎসবকে অন্য আমেজ এনে দেয়। এই আয়োজনে ভর্তাগুলোর মধ্যে ছিল টমেটো আলু ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, শিম ভর্তা, ডাল ভর্তা, টমেটো ভর্তা ও বিভিন্ন প্রকারের শুটকি ভর্তাসহ ৩০ এর ও অধিক প্রকারের ভর্তার সমারোহ। সাথে ছিল বিশেষভাবে রান্না করা ভাত। ভর্তা-ভাতে সবাইকে করা হয়েছে আপ্যায়ন। দিনব্যাপী সকলে মিলে আনন্দঘন পরিবেশে ভাত-ভর্তা উৎসবে মেতে উঠে।
এছাড়াও ভর্তা উৎসবের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালন করা হয় বসন্ত বরণ উৎসব। হলুদ, গোলাপি, নীল, লাল শাড়িতে মেতে উঠে তরুণীরা। সবার মাথায় বসন্তের আগমনী ফুলের মালা। ছেলেরা পড়েছে হরেক রকমের পাঞ্জাবি। এ সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছবি-সেলফি তোলাসহ খোশগল্পে মেতে উঠে।
চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার মুনা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণ উৎসবকে সর্বাত্মক ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় রেখে আগামী দিনগুলোতেও এই উৎস উৎসব পালন করবো।
ভাত-ভর্তা খেয়ে প্রিন্টমেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে মিশু জানান, ভর্তাগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। এটি এবারের বসন্ত বরণ উৎসবকে ভিন্ন আমেজ এনে দিয়েছে। নগর জীবনে এমন আয়োজন বাঙালির সাংস্কৃতিক সত্তাকে জাগিয়ে তুলে।
চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা আমাদের বিভাগে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে বসন্তবরণ উৎসব করেছি। ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ককে দৃঢ় রেখে যেনো আগামী বছর আবারও এ উৎসব পালন করতে চাই।
বসন্ত বরণ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের বাঙালি জাতির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকি, যে যেই ধর্মেরই হই না কেনো উৎসব একসাথে উদযাপন করি, ঈদ বা পূজা যেটায় হোক সবাই একসাথে পালন করি। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে থাকি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটা উৎসব একেকটা বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে করেছে। এখন বিভিন্ন বিভাগ এসব অনুষ্ঠান আলাদা আলাদা ভাবে করে। চারুকলার এমন আয়োজন বাঙালির সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চাকে গতিশীল করছে।
অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা: আলপ্তগীন, ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সহ অনুষদের সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টররাও এ উৎসবে অংশ নেয়।