বাংলাদেশ ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শের-ই- বাংলা পাবলিক লাইব্রেরীতে পিরোজপুর সাহিত্য পরিষদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই। 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • ১৭২৪ বার পড়া হয়েছে

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০:০০ টায় শাহজাদপুর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, এরপর তিনি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ, জাতীয় চার নেতা  এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী সহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বেলা ১১:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এ এক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারের বিষয় “৭ই মার্চ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওঙ্কার”। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আজকের এই দিবসের গুরুত্ব জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর কয়েক মিনিটের ভাষণ যদি শোনা যায় এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে যদি এটাকে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমার মনে হয় আর বেশি কিছু লাগে না।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন যে স্বাধীনতা আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে তারই মোক্ষম ঘোষণা ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে মেইন ক্যাম্পেইনার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে মহাকাব্যিক ভাষণ বলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই আয়োজনের জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম সভাপতির বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার প্রথম উচ্চারণ এবং স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বিতারিত করার মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয় বলে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, আত্মদান, শোষিত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান করেন।
সভাপতি মহোদয় সেমিনারের মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম এবং আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সেমিনার শুরু হওয়ার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে সংগীত পরিবশনা করা হয় এবং বিকাল ৪:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

আপডেট সময় ০৭:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০:০০ টায় শাহজাদপুর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, এরপর তিনি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ, জাতীয় চার নেতা  এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী সহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বেলা ১১:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এ এক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারের বিষয় “৭ই মার্চ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওঙ্কার”। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আজকের এই দিবসের গুরুত্ব জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর কয়েক মিনিটের ভাষণ যদি শোনা যায় এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে যদি এটাকে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমার মনে হয় আর বেশি কিছু লাগে না।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন যে স্বাধীনতা আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে তারই মোক্ষম ঘোষণা ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে মেইন ক্যাম্পেইনার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে মহাকাব্যিক ভাষণ বলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই আয়োজনের জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম সভাপতির বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার প্রথম উচ্চারণ এবং স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বিতারিত করার মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয় বলে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, আত্মদান, শোষিত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান করেন।
সভাপতি মহোদয় সেমিনারের মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম এবং আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সেমিনার শুরু হওয়ার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে সংগীত পরিবশনা করা হয় এবং বিকাল ৪:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।