প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৩, ২০২৪, ৬:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৭, ২০২২, ৭:০৭ পি.এম
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন
মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০:০০ টায় শাহজাদপুর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, এরপর তিনি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী সহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বেলা ১১:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এ এক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারের বিষয় “৭ই মার্চ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওঙ্কার”। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আজকের এই দিবসের গুরুত্ব জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর কয়েক মিনিটের ভাষণ যদি শোনা যায় এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে যদি এটাকে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমার মনে হয় আর বেশি কিছু লাগে না।
অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন যে স্বাধীনতা আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে তারই মোক্ষম ঘোষণা ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে মেইন ক্যাম্পেইনার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে মহাকাব্যিক ভাষণ বলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই আয়োজনের জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম সভাপতির বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার প্রথম উচ্চারণ এবং স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বিতারিত করার মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয় বলে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, আত্মদান, শোষিত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান করেন।
সভাপতি মহোদয় সেমিনারের মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম এবং আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সেমিনার শুরু হওয়ার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে সংগীত পরিবশনা করা হয় এবং বিকাল ৪:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।