ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বন্ধুত্বের সর্ম্পক ধরে বন্ধুকে স্পিরিট পান করিয়ে ঘুম পারিয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা ৭ নং খালিশা চাপানি ইউনিয়ন এর বাইশ পুকুর মধ্য চড় এলাকার মোমবার রহমান এর শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে মোজাফফর হোসেন এর বাড়ীতে।
মোজাফফর এর স্ত্রী জানায়, আমাদের শয়ন ঘরে দুটি খাট ছিল পশ্চিম খাটে আমি ঘুমাইয়ে ছিলাম রাত অনুমানিক সারে ১০ টার সময় দেখি বন্ধু সাইদুল ইসলাম আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।তার সঙ্গে থাকা বাবুল হোসেন আমার মর্মস্পর্সি স্থানে হাত দেয়।
এমতাবস্থায় আমি চিৎকার চেচামেচি করি সে সময় আমার শ্বশুর ও এলাকাবাসী সহায়তায় ধর্ষক কে আটক রেখে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম শিমুল সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়। তারা আঙিনায় বসা মাত্র ধর্ষক সাইদুল ইসলাম কে তার দুর্ধর্ষ সহযোগী বাবুলের সহায়তায় তাকে বের করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মোজাফফর হোসেন জানায়, ডালিয়া আদর্শ পাড়া মৃত্য বাবুল হোসেন এর ছেলে সাইদুল ইসলাম হোটেল ব্যবসায়ী বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে আমার বাড়ীতে আসে গত ২৯ তারিখ রাতে দাওয়াত খেয়ে চলে যায় । ৩০ তারিখ পূণরায় দিনের বেলায় আসে এবং আমাকে সঙ্গে নিয় ডালিয়ায় তার হোটেলে যায়। সেখানে সে একটি স্পিরিট এবং আমাকে একটি স্পিরিট দেয়। আমি তা খাওয়া শেষে দু’জনে বাড়ী ফিরে আসি আমাদের সঙ্গে ছিল আমার প্রতিবেশি মৃত্যু বছির উদ্দিন এর ছেলে বাবুল হোসেন। বাবুল আমাকে ঔষুধ খাইয়ে দেয়।এর পর ঘুম আসে এর পর কি হল আর বলতে পারিনা।
এদিকে ৩১ জুলাই সকালে ৯৯৯ হট লাইনে ফোন করলে ঘটনা স্থালে ডিমলা থানা পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর আকতার হোসেন উপস্থিত হন এবং আটকৃত মোটরবাইক ও অভিযোগ কারীকে নিয়ে থানায় আসেন।
ধর্ষনের আলামত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তদন্তকারী ইন্সপেক্টর বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট আসলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।