পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধিঃ তাওহিদুল ইসলাম
বরগুনা পাথরঘাটায় দুই পক্ষেরে হামলায় নারী-পুরুষসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে তাদের মধ্যে মা ও ছেলের অবস্থার আবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পেরন করা হয়। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পাথরঘাট পৌর শহরের ৩নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ইউনুস (৫০), তার ইউনূসের স্ত্রী খাদিজা (৪৯), ছেলে ইমরান (১৫), ভাইয়ের স্ত্রী জাহেদা (৫০), বোন খালেদা (৩২) ও মৃত গহুরের ছেলে মিজান (৪২) এরা সকলেই পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আহত ইউনুস বলেন, দীর্ঘদিন জমি নিয়ে আলম ও তার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ এবং মামলা চলমান রয়েছে। আদালত থেকে ওই জমিতে কেউ যাতে ঘর উঠাতে না এমন নির্দেশনা দেয়। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষ আলম ও তার ছেলে ভাড়াটে সন্ত্রসীদের নিয়ে রাতের আধারে জমিতে ঘর তোলে। সকালে আমার ছেলে ইমরান ঘর আল আমিনের কাছে ঘর তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে কিছু না বলেই ঘরের মধ্যে থাকা আলমের ভাই মিজানুর, তার স্ত্রী বেবি, ভাগ্নে মাইনুল, বোনের স্বামী তোফাজ্জেল ও ভাড়াটে সন্ত্রসীসহ প্রায় ২৫ জন লোক নিয়ে লোহার রড, রামদা, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোঠা দিয়ে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা করে। তখন আমার ছেলে ডাক-চিৎকার দিলে ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যাই। সে সময় আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ প্রায় ৫ জনকে গুরুতর আহত করেন। পওে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমের কাছে জানতে চাইলে রাতের আধাঁরে ঘর তোলা ও মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনী, তারাই আমার ভাই মিজানকে মারধর করেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে, তবে এখ নপর্যন্ত আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দোষীদেও আইনের আওতান আনা হবে।