ফারহান-উর-রহমান সময় তজুমদ্দিন প্রতিনিধি
“তজুমদ্দিনে খোশনদী দাখিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে মহিষের খোয়াড় দুর্গন্ধে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা” এই শিরোনামে সম্প্রতি দৈনিক যায়যায়দিন-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক নিজে উপস্থিত থেকে খোয়াড় অপসারন করেন।
সুত্র জানায়, মহিষের মালিক নুরুল হক খোয়াড় সরানোর ব্যাপারে সময় ক্ষেপনের চেষ্টা করলে পুলিশ স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় তা উচ্ছেদ করে দেন। পরে, মহিষের মালীককে অন্যত্র খোয়াড় তৈরির জন্য বলেন।
ওসি এসএম জিয়াউল হক এবিষয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সামনে এমন অবস্থা যা সত্যিই শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। পরে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে মহিষের খোয়াড়টি অপসারন করি। অনেক পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে লেখা-লেখি হওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসে।
এর আগে বুধবারও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় হতে একাডেমিক সুপারভাইজার রাসেদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসার ভবনের সামনের ৮ শতাংশ জমির মালীক স্থানীয় মোঃ নুরুল হক। সেই জমিতেই তিনি গড়ে তুলেছেন তার ৮-১০ টি মহিষের জন্য খোয়াড়। প্রতিদিন এসব মহিষের মলমুত্র ও আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় চতুর্দিকে। আশেপাশের বসতি মানুষজনও ভোগান্তির শিকার মহিষের খোয়াড়ের দুর্গন্ধের কারনে। এমন পরিবেশের কারনে প্রতিষ্ঠানে এ বছর কোন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র চলেও গেছে। এ বিষয়ে সবিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যম। পরে এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।