বাংলাদেশ ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

রাজশাহী পুলিশ কমিশনার অফিসে টেন্ডার ছিনতাই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৮০৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী পুলিশ কমিশনার অফিসে টেন্ডার ছিনতাই

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তর ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় এসেছে অনেকদিন যাবৎ। সেই ক্যামেরার সামনেই গত বছরের মাঝামাঝি ওই অফিসেরই একটি টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটারপর ৯ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, আরএমপির সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক কর্মকর্তার প্রভাবে দীর্ঘায়িত হয়েছে অপরাধী শনাক্তে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা নিজের বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের নানা ঘটনায় জড়িত থাকেন। তাদের সেই বন্ধু মহলটিই টেন্ডার ছিনতাইয়ে জড়িত থাকায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরেও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে আরএমপিরই একাধিক সূত্র।
পরে অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েই অপরাধী শনাক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন শাহমুখদুম থানা পুলিশ। চার্জশিট দাখিলের পূর্ব মূহুর্তে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ তারা আদালত থেকে জামিনে আছে কি না তাও বলতে পারছে না পুলিশ। সূত্র মতে, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের কাজে সার্বক্ষণিক ভাড়ায় যানবাহন সরবরাহ সেবা ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ১২ জন বাবুর্চি ও ১০ জন সুইপারসহ কিছু জনবল নিয়োগে দুটি গ্রুপের দরপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল গত বছরের ২৪ মে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন ঠিকাদার দুটি গ্রুপের টেন্ডারে অংশ নিতে আরএমপি সদর দপ্তরের দ্বিতীয় তলায় আসেন।
তবে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের পক্ষে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেন কিছু সশস্ত্র ক্যাডার। এ দুটি গ্রুপের কাজ দুজন ঠিকাদারকে পাইয়ে দিতেই সেখানে তৎপর হয়ে ওঠেন। সমঝোতার মাধ্যমে দুটি গ্রুপের টেন্ডার পরিকল্পনামাফিক তিনটি করে টেন্ডার জমা করেন ক্যাডার বাহিনী। ফলে টেন্ডারে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক অন্য ঠিকাদারদের তারা সিঁড়ি দিয়ে পুলিশ ভবনের দুই তলায় উঠতে বাধা দেন। এ সময় শফিউল আলম নামের একজন ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিরা টেন্ডারপত্র-বাক্সে ফেলতে গেলে ক্যাডার বাহিনী তাদের বাধা দেন।
শফিউল আলম টেন্ডার জমা দিতে তৎপর হলে একপর্যায়ে তার কাগজপত্র ছিনতাই করে তাকে ও তার প্রতিনিধিদের অস্ত্রের মুখে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ঠিকাদার শফিউল আলম আরএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ও বাদী হয়ে শাহমখদুম থানায় পৃথক একটি মামলা করেন। ঘটনার পুরোটা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায় ঘটলেও ৯ মাসে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ওই কর্মকর্তা ও তার বন্ধুরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার আস্থাভাজন বলে পরিচিত। ওই নেতা বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে আনঅফিসিয়ালি ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাহায্য নেন।
ফলে আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাকে সমীহ করে চলেন। আর সেই সুযোগ নিয়েই নিজেদের সদর দপ্তরে ঘটা ছিনতাইকেও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে শাহমুখদুম থানা পুলিশ দেরীতে হলেও ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন। তারা হলেন, মহিদুল ইসলাম মোস্তফা, জানে আলম জনি,  রুবেল, আসিফ হোসেন দিপু, অভিজিৎ হালদার রিংকু, ফরহাদ হোসেন, আনিসুর রহমান। বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেন, টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখনসহ নানা অপরাধে জড়িয়েছেন এই চক্রটি। চক্রটির মুলহোতা মহিদুল ইসলাম মোস্তফা। সে রুয়েট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি। এর আগে সে পশ্চিম রেলের টেন্ডার ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িত ছিলো। ইতিমধ্যে সে শাহমুখদুম থানা এলাকার আতংক নামে পরিচিত।
স্থানীয় প্রভাবে সে কয়েকটি জায়গা জমি জোরপূর্বক দখন করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। অপর মাস্টার মাইন্ডার হলেন, আসিক হাসান দিপু। তার মা ৮ নং ওয়ার্ডের জামায়াতে রোকন ও ওয়ার্ড মহিলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক। রাজশাহীর প্রভাবশালী সদ্য নির্বাচিত দুই সাংবাদিক নেতার মদতে এরা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত বলে বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, টেন্ডার ছিনতাই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক আছে।
(দ্বিতীয় পর্বে থাকছে মূলহোতা মোস্তফা ফিরিস্তি)
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

রাজশাহী পুলিশ কমিশনার অফিসে টেন্ডার ছিনতাই

আপডেট সময় ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তর ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় এসেছে অনেকদিন যাবৎ। সেই ক্যামেরার সামনেই গত বছরের মাঝামাঝি ওই অফিসেরই একটি টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটারপর ৯ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, আরএমপির সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক কর্মকর্তার প্রভাবে দীর্ঘায়িত হয়েছে অপরাধী শনাক্তে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা নিজের বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের নানা ঘটনায় জড়িত থাকেন। তাদের সেই বন্ধু মহলটিই টেন্ডার ছিনতাইয়ে জড়িত থাকায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরেও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে আরএমপিরই একাধিক সূত্র।
পরে অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েই অপরাধী শনাক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন শাহমুখদুম থানা পুলিশ। চার্জশিট দাখিলের পূর্ব মূহুর্তে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ তারা আদালত থেকে জামিনে আছে কি না তাও বলতে পারছে না পুলিশ। সূত্র মতে, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের কাজে সার্বক্ষণিক ভাড়ায় যানবাহন সরবরাহ সেবা ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ১২ জন বাবুর্চি ও ১০ জন সুইপারসহ কিছু জনবল নিয়োগে দুটি গ্রুপের দরপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল গত বছরের ২৪ মে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন ঠিকাদার দুটি গ্রুপের টেন্ডারে অংশ নিতে আরএমপি সদর দপ্তরের দ্বিতীয় তলায় আসেন।
তবে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের পক্ষে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেন কিছু সশস্ত্র ক্যাডার। এ দুটি গ্রুপের কাজ দুজন ঠিকাদারকে পাইয়ে দিতেই সেখানে তৎপর হয়ে ওঠেন। সমঝোতার মাধ্যমে দুটি গ্রুপের টেন্ডার পরিকল্পনামাফিক তিনটি করে টেন্ডার জমা করেন ক্যাডার বাহিনী। ফলে টেন্ডারে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক অন্য ঠিকাদারদের তারা সিঁড়ি দিয়ে পুলিশ ভবনের দুই তলায় উঠতে বাধা দেন। এ সময় শফিউল আলম নামের একজন ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিরা টেন্ডারপত্র-বাক্সে ফেলতে গেলে ক্যাডার বাহিনী তাদের বাধা দেন।
শফিউল আলম টেন্ডার জমা দিতে তৎপর হলে একপর্যায়ে তার কাগজপত্র ছিনতাই করে তাকে ও তার প্রতিনিধিদের অস্ত্রের মুখে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ঠিকাদার শফিউল আলম আরএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ও বাদী হয়ে শাহমখদুম থানায় পৃথক একটি মামলা করেন। ঘটনার পুরোটা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায় ঘটলেও ৯ মাসে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ওই কর্মকর্তা ও তার বন্ধুরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার আস্থাভাজন বলে পরিচিত। ওই নেতা বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে আনঅফিসিয়ালি ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাহায্য নেন।
ফলে আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাকে সমীহ করে চলেন। আর সেই সুযোগ নিয়েই নিজেদের সদর দপ্তরে ঘটা ছিনতাইকেও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে শাহমুখদুম থানা পুলিশ দেরীতে হলেও ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন। তারা হলেন, মহিদুল ইসলাম মোস্তফা, জানে আলম জনি,  রুবেল, আসিফ হোসেন দিপু, অভিজিৎ হালদার রিংকু, ফরহাদ হোসেন, আনিসুর রহমান। বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেন, টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখনসহ নানা অপরাধে জড়িয়েছেন এই চক্রটি। চক্রটির মুলহোতা মহিদুল ইসলাম মোস্তফা। সে রুয়েট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি। এর আগে সে পশ্চিম রেলের টেন্ডার ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িত ছিলো। ইতিমধ্যে সে শাহমুখদুম থানা এলাকার আতংক নামে পরিচিত।
স্থানীয় প্রভাবে সে কয়েকটি জায়গা জমি জোরপূর্বক দখন করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। অপর মাস্টার মাইন্ডার হলেন, আসিক হাসান দিপু। তার মা ৮ নং ওয়ার্ডের জামায়াতে রোকন ও ওয়ার্ড মহিলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক। রাজশাহীর প্রভাবশালী সদ্য নির্বাচিত দুই সাংবাদিক নেতার মদতে এরা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত বলে বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, টেন্ডার ছিনতাই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক আছে।
(দ্বিতীয় পর্বে থাকছে মূলহোতা মোস্তফা ফিরিস্তি)