জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী.
প্রায় র্দীঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নরসিংদীতে ভারপ্রাপ্তের ভারে ঝিমিয়ে পড়েছে। দলকে সুসংগঠিত করার চেয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নেতারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলকে সাংগঠনিক ভাবে মোকাবেলা করার জন্য নেই কোন প্রস্তুতি। তবে নিজেদের পদ ঠিক রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে বিরজমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের জন্য কোন উদ্যােগ গ্রহণ করেনি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী আলী এমন অভিযোগ রয়েছে তৃনমুল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।র্দীঘ সময় ধরে ক্ষমতার চেয়ারে বসে থাকা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নরসিংদীতে ঝিমিয়ে পড়েছে বললেই চলে।
জানাগেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া ২০২০ সালের ১৯ শে নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্নেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম হিরু ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়াকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জিএম তালেব ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পীরজাদা কাজী আলীর কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব গ্রহণের পর দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করে নরসিংদীতে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি তারা।দলের চেয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত।এছাড়াও জেলা আওয়ামীগীলের আগামী সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।তাই নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার রাখতে দলীয় কোন্দল নিরসন করছেনা এমন অভিযোগ দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের।দলকে সুসংগঠিত ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে ব্যর্থ হলেও দাপটশালী আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে স্বীয় পদ থেকেঅব্যাহতি দিতে সফল হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আর এমনটাই মনে করেন অনেকে।
গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই শুধু শিবপুরে তাদের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছয় নেতাকে অব্যাহতি সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একাধারে ২৫ বছর ধরে শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।এছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলা সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মোর্শেদ আলম, জাহিদ সরকার, নাদিম সরকার, বশির আহম্মেদ ওরফে বাবলু সহ পাঁচ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।অবশ্য দল থেকে বহিষ্কার করলেও ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোঃ মোর্শেদ আলম, জাহিদ সরকার ও নাদিম সরকার জনগণের ভোটে আ’লীগের প্রার্থী কে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
এ ব্যপারে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের একটি ঘনিষ্ঠ সূএ দৈনিক বাংলার আলো নিউজ কে বলেন – তাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা সাধ্যমত চেষ্টা করছেন দলকে সুসংগঠিত করে সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।