নুরুজ্জামান সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৬ নং নাউতারা ইউনিয়ন সাতজান মাঝি পাড়া এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক মনিরুজ্জামান। তার মাল্টা বাগান ফুলে ফলে ভরে গেছে। যা দেখে খুব খুশি মাল্টচাষি মনিরুজ্জামান।
গত বছর মাল্টাচাষ করে লাভের মুখ দেখে এবার ও পুরো দমে মাল্টাচাষে মনোনিবেশ করেছে শিক্ষিত বেকার যুবক মনিরুজ্জামান।
তার নিকট মাল্টাচাষের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে বলেন, আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাইক সিরাজ স্যারের কৃষি দিবানিশি অনুষ্ঠান দেখে অনুপ্রেরিত হয়ে কারখানার কাজ ছেরে দিয়ে ১ বিঘা মাটিতে মাল্টা চাষ শুরু করি ।
এতে আমাকে সব সময় সাহস ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনজ্ঞন রায়। গাছের পরিচর্যার পাশাপাশি মাল্টা, কমলা, এবং ১০০শত টাকা মূল্যে চারা গাছ বিক্রি করছি। গত বছর আমি প্রায় ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। ইনশাআল্লাহ এবারও আশা করি লাভের মুখ দেখব।
এ সময় নাউতারা ইউপি সদস্য মজনু মিয়া বলেন, মনিরুজ্জামান আমাদের গর্ব। সে প্রত্যত্ত অঞ্চলে মাল্টাচাষ করে লাভের মুখ দেখে সামাজের সবার মূখ উজ্জ্বল করেছে। আমি তার ভবিষ্যত জীবন উন্নতি কামনা করি।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, পুরুষ উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান মাল্টা চাষ করে টেকসই দেশ গড়াতে যে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে এর দেখাদেখি সমাজের বেকার যুবকেরা যেন উদ্যোমী হয় এবং তারা যেন কর্মজীবী হয় এর জন্য কৃষি বিভাগের সেবার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত আছে এবং থাকবে।