বাংলাদেশ ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মনিরামপুরে একরামুল হত্যায় আটক দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

মনিরামপুরে একরামুল হত্যায় আটক দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি 

স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র  একরামুল হত্যায় আটক আপন দুই ভাই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে  স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে কলেজ ছাত্র একরামুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আটক দু’ ভাই। শুক্রবার ( ১ এপ্রিল) তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতের বিচারক  মাহাদী হাসান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান  ও কামরুল ইসলাম।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলাশ জানান, আটক কামরুলের স্ত্রী হীরা খাতুনের সাথে কলেজ ছাত্র একরামুলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। কামরুল কুয়েত প্রবাসী।
পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে  স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়  জানতে পারেন। কামরুলের ভাই আমিনুরও ভাবির সাথে একরামুলের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।আমিনুল  পরিবারের মানসম্মান রক্ষার্থে গোপনে একরামুলের সাথে দেখা করে এ পথ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তখন একরামুল উল্টো আমিনুরকে হুমকি দেয় এবং  তাদের সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও তার মোবাইল ফোনে আছে বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমিনুরকে নিষেধ করেন একরামুল। ফলে, কোনো উপায় না পেয়ে একরামুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ওই আপত্তিকর ভিডিও ডিলিট করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন আমিনুর।
ঘটনার দিন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে তিনি গোপনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পেয়ে  বাড়ি ফিরে এসে একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের সেখানে যান।  একরামুল কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট দিতে বলেন আমিনুর।  কিন্তু বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বাসরোধে মারা যায় একরামুল। লাশটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসে আমিনুল এবং সকল ঘটনা ভাই কামরুলকে জানান। এ কথা শুনে কামরুল ভয় পেয়ে তাকে প্রচণ্ড বকাঝকা করেন। পরে দুই সহোদর ঘটনাস্থলে যান এবং লাশটি বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের মদনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, নিহত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একরামুলের মা রেশমা খাতুন ৩০ মার্চ মণিরামপুর থানায় একটি জিডি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে পিবিআই কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদীকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মদনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা একরামুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মনিরামপুরে একরামুল হত্যায় আটক দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি 

আপডেট সময় ১০:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র  একরামুল হত্যায় আটক আপন দুই ভাই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে  স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে কলেজ ছাত্র একরামুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আটক দু’ ভাই। শুক্রবার ( ১ এপ্রিল) তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতের বিচারক  মাহাদী হাসান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান  ও কামরুল ইসলাম।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলাশ জানান, আটক কামরুলের স্ত্রী হীরা খাতুনের সাথে কলেজ ছাত্র একরামুলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। কামরুল কুয়েত প্রবাসী।
পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে  স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়  জানতে পারেন। কামরুলের ভাই আমিনুরও ভাবির সাথে একরামুলের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।আমিনুল  পরিবারের মানসম্মান রক্ষার্থে গোপনে একরামুলের সাথে দেখা করে এ পথ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তখন একরামুল উল্টো আমিনুরকে হুমকি দেয় এবং  তাদের সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও তার মোবাইল ফোনে আছে বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমিনুরকে নিষেধ করেন একরামুল। ফলে, কোনো উপায় না পেয়ে একরামুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ওই আপত্তিকর ভিডিও ডিলিট করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন আমিনুর।
ঘটনার দিন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে তিনি গোপনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পেয়ে  বাড়ি ফিরে এসে একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের সেখানে যান।  একরামুল কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট দিতে বলেন আমিনুর।  কিন্তু বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বাসরোধে মারা যায় একরামুল। লাশটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসে আমিনুল এবং সকল ঘটনা ভাই কামরুলকে জানান। এ কথা শুনে কামরুল ভয় পেয়ে তাকে প্রচণ্ড বকাঝকা করেন। পরে দুই সহোদর ঘটনাস্থলে যান এবং লাশটি বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের মদনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, নিহত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একরামুলের মা রেশমা খাতুন ৩০ মার্চ মণিরামপুর থানায় একটি জিডি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে পিবিআই কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদীকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মদনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা একরামুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।