প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ৯:০৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১, ২০২২, ১০:৩৫ পি.এম
মনিরামপুরে একরামুল হত্যায় আটক দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র একরামুল হত্যায় আটক আপন দুই ভাই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে কলেজ ছাত্র একরামুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আটক দু’ ভাই। শুক্রবার ( ১ এপ্রিল) তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলাশ জানান, আটক কামরুলের স্ত্রী হীরা খাতুনের সাথে কলেজ ছাত্র একরামুলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। কামরুল কুয়েত প্রবাসী।
পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয় জানতে পারেন। কামরুলের ভাই আমিনুরও ভাবির সাথে একরামুলের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।আমিনুল পরিবারের মানসম্মান রক্ষার্থে গোপনে একরামুলের সাথে দেখা করে এ পথ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তখন একরামুল উল্টো আমিনুরকে হুমকি দেয় এবং তাদের সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও তার মোবাইল ফোনে আছে বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমিনুরকে নিষেধ করেন একরামুল। ফলে, কোনো উপায় না পেয়ে একরামুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ওই আপত্তিকর ভিডিও ডিলিট করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন আমিনুর।
ঘটনার দিন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে তিনি গোপনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পেয়ে বাড়ি ফিরে এসে একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের সেখানে যান। একরামুল কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট দিতে বলেন আমিনুর। কিন্তু বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বাসরোধে মারা যায় একরামুল। লাশটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসে আমিনুল এবং সকল ঘটনা ভাই কামরুলকে জানান। এ কথা শুনে কামরুল ভয় পেয়ে তাকে প্রচণ্ড বকাঝকা করেন। পরে দুই সহোদর ঘটনাস্থলে যান এবং লাশটি বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের মদনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, নিহত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একরামুলের মা রেশমা খাতুন ৩০ মার্চ মণিরামপুর থানায় একটি জিডি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে পিবিআই কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদীকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মদনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা একরামুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।