তজুমদ্দিন প্রতিনিধি
তজুমদ্দিনে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড বিতরণে অফিস সহকারী ও সাচিং অপারেটরের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় লোকজন বিতরণ কেন্দ্রেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কোন রুপ তদন্ত ছাড়াই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সার্চিং অপারেটরকে অব্যাহতির আদেশ দেন। এতে মুল অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে অন্যএকজনকে শাস্তি দেয়ায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টা হতে মহিলা কলেজ কেন্দ্রে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টা হতে মহিলা কলেজ কেন্দ্রে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়।
তজুমদ্দিন অফিসের লোকবল কম থাকায় এসব কার্ড বিতরনের জন্য লালমোহন উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী আবু বকর সিদ্দিক ও সার্চিং অপারেটর মোঃ সজলকে দায়িত্বে রাখা হয়। কার্ড বিতরণকালে তারা বিভিন্ন অজুহাতে সাধারন মানুষের কাছ থেকে কোন রিসিট ছাড়াই ২শ থেকে ৩শ টাকা করে আদায় করছিলেন। এসময় এ ঘটনার প্রতিবাদ করে কোন সুরাহা না পেয়ে উপজেলার তালুকগ্রামের মোস্তাফিজ, হাসিনা বেগম ও নেছার উদ্দিন নামের তিন জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তিনি বিষয়টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে বিকেল ৫টার পূর্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সার্চিং অপারেটর মোঃ সজলকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
উপজেলা ৩নং চাঁদপুর ইউনিয়নের তালুক গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, আমি সোমবার কার্ড নিতে আসলে টাকার জন্য কার্ড দেয়া হয়নি। পরে আজ কোন রিসিট ছাড়া ২৫০ টাকা দিয়ে স্মার্ট কার্ড নেই। পরে কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাই। একই এলাকার মোস্তাফিজ অভিযোগ করেন, অফিসের লোকজন বখশিসের কথা বলে সবার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। এ বিষয়ে দুজনের ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করলেও শুনেছি একজনকে শাস্তি দিয়ে অন্যজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমির খশরু গাজী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে তিনি খোজ-খরব নিয়ে সার্চিং অপারেটরকে অব্যাহতি প্রদান করেন। তবে, অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত এই কার্যক্রমে তাকে আর সংযুক্ত রাখা হচ্ছে না।