বাংলাদেশ ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তানোরের সরনজাই স্কুল এখন দু হিরক রাজার কব্জায় ফরিদপুর সালথা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা দুই প্রার্থী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে বিদেশী পিস্তলসহ ০১ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গেফতার করেছে র‌্যাব। গাঁজা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার সহ ১০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১: মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ০২ জন বড় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র!  জাতীয়করণ, আবেগ ও বাস্তবতা! নাটোরের বড়াই গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডা. আয়নুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। চোরাই মোবাইল চক্রের মূল হোতাসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার। সিলোটি ভাষা র কিছু ইতিকথা ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট পাওয়া যাবে। ঈদে ফিতর উপলক্ষে। গৌরীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেল কৃষকের চার গরু পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান নয়ন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল
শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র"সরকারি মাধ্যমিক " অনিয়মের আঁতুড়ঘর "

শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র”সরকারি মাধ্যমিক ” অনিয়মের আঁতুড়ঘর “

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৮৯৭ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র”সরকারি মাধ্যমিক ” অনিয়মের আঁতুড়ঘর “

 

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাকে বাস্তব ভিত্তিক ও আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে সরকার নানামুখী উন্নয়ন গ্রহণ করেন। একারনে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে পদোন্নতি দিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে জাতিকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

 

সারা বাংলাদেশে আজ প্রায় ৮০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা বর্তমান সরকারের দেশ ও জাতির প্রতি অসংখ্য ভালোবাসার একাংশ মাত্র। কিন্ত নানা অজানা কারনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যোগদান থেকে শুরু করে বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল কাজে নানা হ য ব র লেগেই থাকে।

 

 

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১১-০৯- ১৯৯৫ সালের একটি পরিপত্র যেখানে ৩ ও ৪ ধারায় বলা আছে —

“(৩) ন্তুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক \ শিক্ষিকাদের থানা ও নতুন জেলা সদরে নিয়োগ দিতে হবে। তবে পদ শুন্য থাকলে পুরাতন জেলা ও বিভাগীয় সদরে নিয়োগ দেয়া যাবে।
(৪) সাধারণত থানা সদরের স্কুল হতে প্রথমত নতুন জেলা সদরে এবং পরবর্তীতে ন্তুন জেলা সদর হতে পুরাতন জেলা সদরে, এরপর পুরাতন জেলা সদর হতে বিভাগীয় পর্যায়ের স্কুলসমুহে শিক্ষক বদলীর বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।

এরকম সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও কতিপয় কর্মকর্তা অনিয়ম করে সারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃ্ষ্টি করেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষার উন্নয়নকে নস্যাৎ করে সরকারের অপপ্রচার চালায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে এক নিমিষে মেলান করে দেয়। এই জাতীয় কর্মকর্তাদের দুদক আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলানর মতো সাহস আর কোনো কর্মকর্তা পাবেনা – এমনটাই মত দেন বিভিন্ন সচেতন নাগরিক সমাজ।

এছাড়াও এর পিছনের মুল রহস্য হলো বদলী বানিজ্য। সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের বদলীর মাধ্যমে পদায়ন দিয়ে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। এমনও দেখা যায় যে কোনো কোনো শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে যোগদান আবার একই বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। আমরা মাঝে মাঝে কিছু সমন্বয় দেখেছি যা ছিলো সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বদলী নীতিমালার ধার না ধরে, দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বদলী প্রহসনের সমন্বয় ভিত্তিক বানিজ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক নেতা বলেন, আমার চেনা কয়েকজন শিক্ষক কে তাদের চাকুরি জীবনের ৯ বছরে ৪ থেকে ৬\৭বার বদলী হতে হয়েছে, কারন তারা মাধ্যমিকের নানা অনিয়োম নিয়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। এভাবে বহুবার অর্থাৎ ৪ থেকে ৬\৭ বার বদলী হওয়া শিক্ষকরা যেন সমন্বয় নামক বদলী প্রহসনের শিকার না হয় সেদিকে কতৃপহ্মককে সচেতন থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা কেউ ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে না পারে।

বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক নেতারা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন –

(১) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন ৯৫ এর ৩ ও ৪ অনুসরণ করা অতীব জরুরী বলে মনে করেন । কারন,আইন কে অমান্য করে শিক্ষামন্ত্রীর সফলতা কে বিনষ্ট করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়।

(২) শিক্ষক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যাদেরকে অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে তাদের কে অন্যত্র বদলী করে আপাদত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

(৩) বিভাগীয় শহরের বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেসব শিক্ষকেরা ১০ থেকে ১৫ বছরেরও অধিক সময় একই শহরের স্কুল্গুলোতে কর্মরত আছেন তাদেরকেও সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৪) যে সকল শিক্ষকের চাকুরী জীবনে বদলী নেই তাদেরকে সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৫) প্রবীন শিক্ষকদের কে চলতি দায়িত্ব দিলে তারা পদোন্নতিও পেলো আর সমন্বয়ও হলো।

(৬) উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারের পদ এর ৫০% সিনিয়র শিক্ষকদের পদায়ন করেও সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৭) ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরে  অর্থাৎ শুন্য পদ পাথানর পরে এবং ০৭\০২\২০২২ এর আগে যাদের পদায়ন দেওয়া হয়েছে তারা অতিরিক্ত

 

 

 

 

এছাড়াও শিক্ষক নেতারা সবচেয়ে জোর দিয়ে বলেন, কোনো অবস্থায় তারা কোনো অনিয়োম মানবে না, প্রয়োজনে আইনের আশ্রায় নিবেন, অনুসন্ধানে দেখা যায় বিদ্যালয় থেকে ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে, সেখানে যথাযথ কলাম ফিলাপের মাধ্যমে শুন্য পদের স্পষ্ট তালিকা যথাযথ অফিসে জানানো হয়, যদিও ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদ চাওয়ার পরে সাধারণ বদলী বন্ধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক নিয়ম সেখানে ইংরেজিতে একটি মাত্র শুন্য পদ থাকা সত্ত্বেও ১২\১২\২০২১ তারিখে উপ পরিচালক, আনোয়ার হোসেন এর স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে একজনের বিপরীতে ৩ জন ইংরেজী শিক্ষক দেওয়া হয়েছে যা একটি অনিয়ম এবং বদলী নীতিমালা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্নের বহির্ভূত।

 

 

 

 

এই উপ পরিচালক আনোয়ার হোসেন ” সিনিয়র অফিসারদের “টেক্কা দিয়ে নানা কৌশলে বিভাগীয় পদটি ভাগিয়ে নেন যা সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অনিয়মের একটি উদাহরন। তাঁর কাছে যাওয়া সেবা চাহিত মানুষের সাথে অশোভন আচরণ করেন, শিক্ষকরা জাতির কারিগড়, তারা সম্মান হানির ভয়ে তাঁর অফিসে যেতে চাননা। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে সাধারন শিক্ষকরা মুক্তি চান। তিনি নানা কৌশলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দল, উপদল সৃষ্টি করে নাজুক পরিস্থিতির অবতারণা করেন যা একটি জগন্য অপরাধ এতে কোমোলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেতিবাচক প্রভাব পরে।

 

 

 

 

উদাহরণ স্বরূপ ঝালকাঠি হরচদ্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত জুনিয়রে কর্মকর্তার অধীনে সিনিয়র কর্মকর্তা কে চাকুরি করতে বাধ্য করেন। দুরনীতিবাজদের আশীর্বাদে জুনিয়ররা বড় পদ পায় এবং তারা ঊর্ধ্বতনদের যখন তখন ইচ্ছা মাফিক কাজ করে দেয়। আবার ০৭\০২\২০২২ তারিখে নতুন শিক্ষক পদায়নের মাধ্যমে আবারও একজন ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন।

 

 

 

এভাবে শুধু নতুন স্কুলে নয়, সারাদেশে অনিয়োমের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে নানা অপকর্ম করেন দেখা যায় এক একজন শিক্ষক কে হয়রানি করে নানা জায়গায় বদলী করে দেয় অন্য দিকে অনেক শিক্ষক আছেন যারা যোগদান থেকে একই বিদ্যালয় কর্মরত আছেন। এভাবে তারা বদলী বানিজ্যের মাধ্যমে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মণির অক্লান্ত পরিশ্রম কে পণ্ড করে দেয় এবং সরকারের দুর্নাম রটায়। বগুরা জেলার সরকারি স্কুলে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ১৫ জন ন্তুন শিক্ষকে পদায়ন করেন, গাজীপুর রানি বিলাশ মণি সরকারি স্কুলে ১২ জন নতুন পদায়ন দেন।

 

 

 

সারা দেশের বিভাগীয় শহরে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রায় ৫০০ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, এছাড়াও ঢাকা গভমেন্ট স্কুলে শুন্য পদ না থকলেও ৫ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, নরসিংদী সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ২০ জন নতুন শিক্ষকে পদায়ন দেওয়া হয়েছে যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা সরকারের উন্নয়ন কে মেলান করে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিক্ষামন্ত্রীর এলাকা চাদপুরের হাইমচ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী, গনিতসহ অনেক বিষয়ের শিক্ষক নেই কিন্ত সেখানে কোনো নতুন শিক্ষক পদায়ন দেওয়া হয়নি।

 

 

 

 

নতুন পদায়ন নিয়ে যে হ য ব র করা হয়েছে, এই অনিয়মের তীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উপ সচিবকে দ্বাই করেন, এই কর্মকর্তার কার্যক্রমে সারা দেশব্যাপী অসন্তোষ দেখা দেয়। সারা দেশের সাধারন শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে কোর্টের মাধ্যমে মামলা কারার কথা ভাবছে। বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক নেতারা এব্যাপারে আইন জীবীদের সাথে সাক্ষাত করেন। দুরনীতিবাজ কর্মকর্তারা বদলী ভিত্তিক পদায়ন দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্ন অনুসরণ না করিয়া, বানিজ্য ভিত্তিক পদায়ন দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার উন্নয়ন ধারাকে ব্যাহত কারার জন্য এই অপ্প্রায়াস চালায়।

 

 

এভাবে সারা দেশে ৫\১২\২০২১ তারিখের পরে বানিজ্য ভিত্তিক বদলী দিয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো শুন্য পদের তালিকাকে হ য ল ব র করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সব জেনেও, না জানার ভাব দেখাচ্ছেন। তাই ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরের সকল বদলী বাতিল করলে সমস্যার ৯৯% সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এছাড়া যাদের কে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে তাদের কে অন্যাত্র বদলী করলেও সমাধান হবে, বলেন শিক্ষক নেতারা।

 

 

 

 

 

নতুন পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরন না করার ব্যাপার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ আলমগীর হুসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি আসেনাই ,” তাকে নতুন পদায়নের নীতিমালার কথা বলা হলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন ” এ ব্যপারে আমার কথা বলা নিষেধ আছে, কিছু বলার থাকলে সচিব স্যারের সাথে কথা বলেন”।

 

চলবে পর্ব – ১

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র"সরকারি মাধ্যমিক " অনিয়মের আঁতুড়ঘর "

শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র”সরকারি মাধ্যমিক ” অনিয়মের আঁতুড়ঘর “

আপডেট সময় ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শিক্ষামন্ত্রীর সফলতাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র”সরকারি মাধ্যমিক ” অনিয়মের আঁতুড়ঘর “

 

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাকে বাস্তব ভিত্তিক ও আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে সরকার নানামুখী উন্নয়ন গ্রহণ করেন। একারনে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে পদোন্নতি দিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে জাতিকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

 

সারা বাংলাদেশে আজ প্রায় ৮০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা বর্তমান সরকারের দেশ ও জাতির প্রতি অসংখ্য ভালোবাসার একাংশ মাত্র। কিন্ত নানা অজানা কারনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যোগদান থেকে শুরু করে বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল কাজে নানা হ য ব র লেগেই থাকে।

 

 

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১১-০৯- ১৯৯৫ সালের একটি পরিপত্র যেখানে ৩ ও ৪ ধারায় বলা আছে —

“(৩) ন্তুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক \ শিক্ষিকাদের থানা ও নতুন জেলা সদরে নিয়োগ দিতে হবে। তবে পদ শুন্য থাকলে পুরাতন জেলা ও বিভাগীয় সদরে নিয়োগ দেয়া যাবে।
(৪) সাধারণত থানা সদরের স্কুল হতে প্রথমত নতুন জেলা সদরে এবং পরবর্তীতে ন্তুন জেলা সদর হতে পুরাতন জেলা সদরে, এরপর পুরাতন জেলা সদর হতে বিভাগীয় পর্যায়ের স্কুলসমুহে শিক্ষক বদলীর বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।

এরকম সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও কতিপয় কর্মকর্তা অনিয়ম করে সারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃ্ষ্টি করেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষার উন্নয়নকে নস্যাৎ করে সরকারের অপপ্রচার চালায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে এক নিমিষে মেলান করে দেয়। এই জাতীয় কর্মকর্তাদের দুদক আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলানর মতো সাহস আর কোনো কর্মকর্তা পাবেনা – এমনটাই মত দেন বিভিন্ন সচেতন নাগরিক সমাজ।

এছাড়াও এর পিছনের মুল রহস্য হলো বদলী বানিজ্য। সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের বদলীর মাধ্যমে পদায়ন দিয়ে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। এমনও দেখা যায় যে কোনো কোনো শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে যোগদান আবার একই বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। আমরা মাঝে মাঝে কিছু সমন্বয় দেখেছি যা ছিলো সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বদলী নীতিমালার ধার না ধরে, দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বদলী প্রহসনের সমন্বয় ভিত্তিক বানিজ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক নেতা বলেন, আমার চেনা কয়েকজন শিক্ষক কে তাদের চাকুরি জীবনের ৯ বছরে ৪ থেকে ৬\৭বার বদলী হতে হয়েছে, কারন তারা মাধ্যমিকের নানা অনিয়োম নিয়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। এভাবে বহুবার অর্থাৎ ৪ থেকে ৬\৭ বার বদলী হওয়া শিক্ষকরা যেন সমন্বয় নামক বদলী প্রহসনের শিকার না হয় সেদিকে কতৃপহ্মককে সচেতন থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা কেউ ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে না পারে।

বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক নেতারা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন –

(১) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন ৯৫ এর ৩ ও ৪ অনুসরণ করা অতীব জরুরী বলে মনে করেন । কারন,আইন কে অমান্য করে শিক্ষামন্ত্রীর সফলতা কে বিনষ্ট করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়।

(২) শিক্ষক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যাদেরকে অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে তাদের কে অন্যত্র বদলী করে আপাদত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

(৩) বিভাগীয় শহরের বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেসব শিক্ষকেরা ১০ থেকে ১৫ বছরেরও অধিক সময় একই শহরের স্কুল্গুলোতে কর্মরত আছেন তাদেরকেও সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৪) যে সকল শিক্ষকের চাকুরী জীবনে বদলী নেই তাদেরকে সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৫) প্রবীন শিক্ষকদের কে চলতি দায়িত্ব দিলে তারা পদোন্নতিও পেলো আর সমন্বয়ও হলো।

(৬) উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারের পদ এর ৫০% সিনিয়র শিক্ষকদের পদায়ন করেও সমন্বয় করা যেতে পারে।

(৭) ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরে  অর্থাৎ শুন্য পদ পাথানর পরে এবং ০৭\০২\২০২২ এর আগে যাদের পদায়ন দেওয়া হয়েছে তারা অতিরিক্ত

 

 

 

 

এছাড়াও শিক্ষক নেতারা সবচেয়ে জোর দিয়ে বলেন, কোনো অবস্থায় তারা কোনো অনিয়োম মানবে না, প্রয়োজনে আইনের আশ্রায় নিবেন, অনুসন্ধানে দেখা যায় বিদ্যালয় থেকে ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে, সেখানে যথাযথ কলাম ফিলাপের মাধ্যমে শুন্য পদের স্পষ্ট তালিকা যথাযথ অফিসে জানানো হয়, যদিও ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদ চাওয়ার পরে সাধারণ বদলী বন্ধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক নিয়ম সেখানে ইংরেজিতে একটি মাত্র শুন্য পদ থাকা সত্ত্বেও ১২\১২\২০২১ তারিখে উপ পরিচালক, আনোয়ার হোসেন এর স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে একজনের বিপরীতে ৩ জন ইংরেজী শিক্ষক দেওয়া হয়েছে যা একটি অনিয়ম এবং বদলী নীতিমালা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্নের বহির্ভূত।

 

 

 

 

এই উপ পরিচালক আনোয়ার হোসেন ” সিনিয়র অফিসারদের “টেক্কা দিয়ে নানা কৌশলে বিভাগীয় পদটি ভাগিয়ে নেন যা সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অনিয়মের একটি উদাহরন। তাঁর কাছে যাওয়া সেবা চাহিত মানুষের সাথে অশোভন আচরণ করেন, শিক্ষকরা জাতির কারিগড়, তারা সম্মান হানির ভয়ে তাঁর অফিসে যেতে চাননা। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে সাধারন শিক্ষকরা মুক্তি চান। তিনি নানা কৌশলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দল, উপদল সৃষ্টি করে নাজুক পরিস্থিতির অবতারণা করেন যা একটি জগন্য অপরাধ এতে কোমোলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেতিবাচক প্রভাব পরে।

 

 

 

 

উদাহরণ স্বরূপ ঝালকাঠি হরচদ্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত জুনিয়রে কর্মকর্তার অধীনে সিনিয়র কর্মকর্তা কে চাকুরি করতে বাধ্য করেন। দুরনীতিবাজদের আশীর্বাদে জুনিয়ররা বড় পদ পায় এবং তারা ঊর্ধ্বতনদের যখন তখন ইচ্ছা মাফিক কাজ করে দেয়। আবার ০৭\০২\২০২২ তারিখে নতুন শিক্ষক পদায়নের মাধ্যমে আবারও একজন ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন।

 

 

 

এভাবে শুধু নতুন স্কুলে নয়, সারাদেশে অনিয়োমের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে নানা অপকর্ম করেন দেখা যায় এক একজন শিক্ষক কে হয়রানি করে নানা জায়গায় বদলী করে দেয় অন্য দিকে অনেক শিক্ষক আছেন যারা যোগদান থেকে একই বিদ্যালয় কর্মরত আছেন। এভাবে তারা বদলী বানিজ্যের মাধ্যমে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মণির অক্লান্ত পরিশ্রম কে পণ্ড করে দেয় এবং সরকারের দুর্নাম রটায়। বগুরা জেলার সরকারি স্কুলে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ১৫ জন ন্তুন শিক্ষকে পদায়ন করেন, গাজীপুর রানি বিলাশ মণি সরকারি স্কুলে ১২ জন নতুন পদায়ন দেন।

 

 

 

সারা দেশের বিভাগীয় শহরে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রায় ৫০০ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, এছাড়াও ঢাকা গভমেন্ট স্কুলে শুন্য পদ না থকলেও ৫ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, নরসিংদী সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ২০ জন নতুন শিক্ষকে পদায়ন দেওয়া হয়েছে যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা সরকারের উন্নয়ন কে মেলান করে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিক্ষামন্ত্রীর এলাকা চাদপুরের হাইমচ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী, গনিতসহ অনেক বিষয়ের শিক্ষক নেই কিন্ত সেখানে কোনো নতুন শিক্ষক পদায়ন দেওয়া হয়নি।

 

 

 

 

নতুন পদায়ন নিয়ে যে হ য ব র করা হয়েছে, এই অনিয়মের তীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উপ সচিবকে দ্বাই করেন, এই কর্মকর্তার কার্যক্রমে সারা দেশব্যাপী অসন্তোষ দেখা দেয়। সারা দেশের সাধারন শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে কোর্টের মাধ্যমে মামলা কারার কথা ভাবছে। বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক নেতারা এব্যাপারে আইন জীবীদের সাথে সাক্ষাত করেন। দুরনীতিবাজ কর্মকর্তারা বদলী ভিত্তিক পদায়ন দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্ন অনুসরণ না করিয়া, বানিজ্য ভিত্তিক পদায়ন দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার উন্নয়ন ধারাকে ব্যাহত কারার জন্য এই অপ্প্রায়াস চালায়।

 

 

এভাবে সারা দেশে ৫\১২\২০২১ তারিখের পরে বানিজ্য ভিত্তিক বদলী দিয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো শুন্য পদের তালিকাকে হ য ল ব র করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সব জেনেও, না জানার ভাব দেখাচ্ছেন। তাই ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরের সকল বদলী বাতিল করলে সমস্যার ৯৯% সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এছাড়া যাদের কে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে তাদের কে অন্যাত্র বদলী করলেও সমাধান হবে, বলেন শিক্ষক নেতারা।

 

 

 

 

 

নতুন পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরন না করার ব্যাপার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ আলমগীর হুসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি আসেনাই ,” তাকে নতুন পদায়নের নীতিমালার কথা বলা হলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন ” এ ব্যপারে আমার কথা বলা নিষেধ আছে, কিছু বলার থাকলে সচিব স্যারের সাথে কথা বলেন”।

 

চলবে পর্ব – ১