সারা বাংলাদেশে আজ প্রায় ৮০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা বর্তমান সরকারের দেশ ও জাতির প্রতি অসংখ্য ভালোবাসার একাংশ মাত্র। কিন্ত নানা অজানা কারনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যোগদান থেকে শুরু করে বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল কাজে নানা হ য ব র লেগেই থাকে।
(৭) ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরে অর্থাৎ শুন্য পদ পাথানর পরে এবং ০৭\০২\২০২২ এর আগে যাদের পদায়ন দেওয়া হয়েছে তারা অতিরিক্ত
এছাড়াও শিক্ষক নেতারা সবচেয়ে জোর দিয়ে বলেন, কোনো অবস্থায় তারা কোনো অনিয়োম মানবে না, প্রয়োজনে আইনের আশ্রায় নিবেন, অনুসন্ধানে দেখা যায় বিদ্যালয় থেকে ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে, সেখানে যথাযথ কলাম ফিলাপের মাধ্যমে শুন্য পদের স্পষ্ট তালিকা যথাযথ অফিসে জানানো হয়, যদিও ০৫\১২\২০২১ তারিখে শুন্য পদ চাওয়ার পরে সাধারণ বদলী বন্ধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক নিয়ম সেখানে ইংরেজিতে একটি মাত্র শুন্য পদ থাকা সত্ত্বেও ১২\১২\২০২১ তারিখে উপ পরিচালক, আনোয়ার হোসেন এর স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে একজনের বিপরীতে ৩ জন ইংরেজী শিক্ষক দেওয়া হয়েছে যা একটি অনিয়ম এবং বদলী নীতিমালা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্নের বহির্ভূত।
এই উপ পরিচালক আনোয়ার হোসেন " সিনিয়র অফিসারদের "টেক্কা দিয়ে নানা কৌশলে বিভাগীয় পদটি ভাগিয়ে নেন যা সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অনিয়মের একটি উদাহরন। তাঁর কাছে যাওয়া সেবা চাহিত মানুষের সাথে অশোভন আচরণ করেন, শিক্ষকরা জাতির কারিগড়, তারা সম্মান হানির ভয়ে তাঁর অফিসে যেতে চাননা। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে সাধারন শিক্ষকরা মুক্তি চান। তিনি নানা কৌশলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দল, উপদল সৃষ্টি করে নাজুক পরিস্থিতির অবতারণা করেন যা একটি জগন্য অপরাধ এতে কোমোলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেতিবাচক প্রভাব পরে।
উদাহরণ স্বরূপ ঝালকাঠি হরচদ্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত জুনিয়রে কর্মকর্তার অধীনে সিনিয়র কর্মকর্তা কে চাকুরি করতে বাধ্য করেন। দুরনীতিবাজদের আশীর্বাদে জুনিয়ররা বড় পদ পায় এবং তারা ঊর্ধ্বতনদের যখন তখন ইচ্ছা মাফিক কাজ করে দেয়। আবার ০৭\০২\২০২২ তারিখে নতুন শিক্ষক পদায়নের মাধ্যমে আবারও একজন ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন।
এভাবে শুধু নতুন স্কুলে নয়, সারাদেশে অনিয়োমের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে নানা অপকর্ম করেন দেখা যায় এক একজন শিক্ষক কে হয়রানি করে নানা জায়গায় বদলী করে দেয় অন্য দিকে অনেক শিক্ষক আছেন যারা যোগদান থেকে একই বিদ্যালয় কর্মরত আছেন। এভাবে তারা বদলী বানিজ্যের মাধ্যমে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মণির অক্লান্ত পরিশ্রম কে পণ্ড করে দেয় এবং সরকারের দুর্নাম রটায়। বগুরা জেলার সরকারি স্কুলে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ১৫ জন ন্তুন শিক্ষকে পদায়ন করেন, গাজীপুর রানি বিলাশ মণি সরকারি স্কুলে ১২ জন নতুন পদায়ন দেন।
সারা দেশের বিভাগীয় শহরে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রায় ৫০০ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, এছাড়াও ঢাকা গভমেন্ট স্কুলে শুন্য পদ না থকলেও ৫ জন নতুন শিক্ষককে পদায়ন দেন, নরসিংদী সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে শুন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও ২০ জন নতুন শিক্ষকে পদায়ন দেওয়া হয়েছে যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা সরকারের উন্নয়ন কে মেলান করে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিক্ষামন্ত্রীর এলাকা চাদপুরের হাইমচ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী, গনিতসহ অনেক বিষয়ের শিক্ষক নেই কিন্ত সেখানে কোনো নতুন শিক্ষক পদায়ন দেওয়া হয়নি।
নতুন পদায়ন নিয়ে যে হ য ব র করা হয়েছে, এই অনিয়মের তীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উপ সচিবকে দ্বাই করেন, এই কর্মকর্তার কার্যক্রমে সারা দেশব্যাপী অসন্তোষ দেখা দেয়। সারা দেশের সাধারন শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে কোর্টের মাধ্যমে মামলা কারার কথা ভাবছে। বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক নেতারা এব্যাপারে আইন জীবীদের সাথে সাক্ষাত করেন। দুরনীতিবাজ কর্মকর্তারা বদলী ভিত্তিক পদায়ন দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যাটার্ন অনুসরণ না করিয়া, বানিজ্য ভিত্তিক পদায়ন দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার উন্নয়ন ধারাকে ব্যাহত কারার জন্য এই অপ্প্রায়াস চালায়।
এভাবে সারা দেশে ৫\১২\২০২১ তারিখের পরে বানিজ্য ভিত্তিক বদলী দিয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো শুন্য পদের তালিকাকে হ য ল ব র করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সব জেনেও, না জানার ভাব দেখাচ্ছেন। তাই ০৫\১২\২০২১ তারিখের পরের সকল বদলী বাতিল করলে সমস্যার ৯৯% সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এছাড়া যাদের কে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে তাদের কে অন্যাত্র বদলী করলেও সমাধান হবে, বলেন শিক্ষক নেতারা।
নতুন পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরন না করার ব্যাপার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ আলমগীর হুসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি আসেনাই ," তাকে নতুন পদায়নের নীতিমালার কথা বলা হলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন " এ ব্যপারে আমার কথা বলা নিষেধ আছে, কিছু বলার থাকলে সচিব স্যারের সাথে কথা বলেন"।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।