পেকুয়া প্রতিনিধি
পেকুয়ায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ঘুষিতে আহত ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে রাজাখালীর হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা। হামলা ও মামলার প্রতিবাদে জনগণ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তারা চেয়ারম্যান বাবুল ও আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে পেকুয়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল আলিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অবিলম্বে মামলা রুজু করে দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবী জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে জনগণ কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারীও দিয়েছেন।
সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের উপর হামলা করে মামলা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, সহ-সভাপতি হাজী সেকান্দর, সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এতারাফ চৌধুরী, যুবলীগ রাজাখালীর সভাপতি রিয়াজ খান রাজু,উপজেলা যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন, আনিছুর রহমান বাবুল,নাছির উদ্দিন, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল আলম, উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সহ-সভাপতি মনছুর আলম, কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: সালাহ উদ্দিন, ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আবুল বশর, হাজী আবু তাহের মনু, ফজলুল কাদের, মো: ইদ্রিস সওদাগর, আবু বক্কর, ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, শামশুল ইসলাম, ছরওয়ার ও শাহাদত প্রমুখ।
ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু, হাজী গোলাম রহমান, বাদশা মিয়া মেম্বার,আনোয়ার হোসাইন,ছমিউল্লাহ মেম্বার, রুহুল আমিন, নুরুল আলম, হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহ, মহিলা আ’লীগ নেত্রী ও ইউপির নারী সদস্য ছেনুয়ারা, ছাত্রলীগ রাজাখালীর সভাপতি বেলাল,সম্পাদক ইমরান হোসেন সাবিদ, সাবেক সভাপতি ইমরান হাসান ইমরু ও ইসমাঈল হোসেন জিহাদী প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলায় আমরা হতাশ হয়েছি। পরিকল্পিতভাবে এ মামলা সাজানো হয়েছে। এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল আলিম একজন দুর্ণীতিবাজ ও ঘুষখোর কর্মকর্তা। ২৭ মার্চ দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান পেকুয়ায় আ’লীগের বর্ধিত সভায় যাচ্ছিলেন। রাজাখালী ও বারবাকিয়া পারাপার আরসিসি সেতু পুন:সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন চলছিল। স্থানীয়দের উদ্যোগ ও অর্থসহায়তায় এ ব্রীজটির কাজ হচ্ছিল।
সেখানে এলজিইডির ওই কর্মকর্তার সাথে চেয়ারম্যানের কথা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে আবদুল আলীম নামক ওই কর্মকর্তা হঠাৎ চেয়ারম্যানকে ঘুসি মারে। ঘুষি মারার খবরে কয়েক হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এ সময় চেয়ারম্যান নিজেই এলজিইডির ওই কর্মকর্তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ওই কর্মকর্তা বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি এজাহার প্রেরণ করেন। এজাহারটি পুলিশ নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। আমরা মামলার খবর পেয়ে হতবাক হয়ে গেছি। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে কিল, ঘুষি মারা হয়েছে।
আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অথচ তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে মামলা। আমরা রাজাখালীবাসী মনে করছি এটি জনপ্রতিনিধির উপর চরম অবিচার। সরকারী কর্মচারী জনগণের কাছ থেকে বেতন নেন। জনপ্রতিনিধির উপর হাত উঠানো এটি চরম দু:সাহস। নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি রাজাখালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। এ ব্যপারে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদ বলেন, আমরা ওই ঘুষখোর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাই। কিছুদিন আগে সড়ক উন্নয়ন কাজ হচ্ছিল নিন্মমানের। চেয়ারম্যান গিয়ে কাজ সঠিক ভাবে করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। লবণ পানি দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছিল।
সেখানে আবদুল আলীম নিজেই উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান গিয়ে কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর প্রতিশোধ নিতে ঐ দিন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের শরীরে হাত তুলেছে আবদুল আলীম। আমরা কর্মসূচীর দিকে যাচ্ছি। আজকে অনির্ধারিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছি। হঠাৎ হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। জনগণের সংহতি ও অংশগ্রহণে প্রতীয়মান হচ্ছে নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল এ রাজাখালীবাসীর মাটি ও মানুষের নেতা। একজন সৎ জনপ্রতিনিধির উপর কাল্পনিক মামলা আমরা কোনভাবে সমর্থন করতে পারিনা। রাস্তায় নেমেছি এর প্রতিবাদ। মামলা প্রত্যাহার না করলে আরো অধিক তীব্র আন্দোলন হবে। কর্মসূচী হবে রাজাখালীসহ পেকুয়া উপজেলায়।