স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের নানা অসঙ্গতি সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলার সাথে সাথে দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে নাটক।আর তাই বলা হয় নাটক জীবনের কথা বলে। সিনেমা সৃষ্টির পূর্বে নাটকই ছিল বিনোদনের এক মাত্র অবলম্বন। আর তাই ১৯৬১ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নবম কংগ্রেসে বিশ্ব নাট্য দিবস প্রবর্তনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরের বছর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় (১৯৬২ সালে) থিয়েটার অব নেশন্স উৎসবের সূচনার দিনটি অর্থাৎ ২৭ মার্চ প্রতি বছর বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (বাংলাদেশ কেন্দ্র), শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এবং পথনাটক পরিষদ সম্মিলিতভাবে দিবসটি উদযাপন করে। বর্তমানে জেলা ও বিভাগীয় পর্য়ায়েও বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বিবর্তন যশোর কর্তৃক আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় যশোর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা, কবিতা আবৃত্তি ও নাটকের আয়োজন করা হয়।
বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি দীপংকর দাস রতন, শিল্পকলা একাডেমি যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, হেমাঙ্গ সাংস্কৃতিক সংস্থা, পশ্চিমবাংলার সাধারণ সম্পাদক তাপস ব্যানার্জী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু।
আলোচনা সভার শুরুতে বিশ্ব নাট্য দিবসের বানী পাঠ করেন শাহরিন সুলতানা নিশি। সভার শেষে বিবর্তন আবৃত্তি ও আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কবিতা আবৃত্তি ও বিবর্তন যশোরের নাটক হট্টমালার ওপারে পরিবেশিত করা হয়।