বাংলাদেশ ০২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পুঠিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর, নির্বিকার প্রশাসন কুমিল্লায় টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে ব্রাহ্মণপাড়ার কিশোরীর মৃত্যু  আওয়ামীলীগ লুটপাট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে : কাইয়ুম চৌধুরী ভেদরগঞ্জের চরকুমারিয়া ৩০ বস্তা সরকারি সার জব্দ! জাজিরায় ১০ বছরের শিশু ধর্ষন এর ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রায়পুরা উপজেলা কৃষকলীগ কমিটি অনুমোদিত খোকসায় গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত রুয়েটে স্বাক্ষরিত হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক   মরিচক্ষেত থেকে মুখপোড়ানো যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলপরিকল্পনাকারীসহ সরাসরি জড়িত ০৩ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার। সকলকে সাথে নিয়ে মুলাদীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই মুলাদী উপজেলার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম সভায় চেয়ারম্যান খসরু  চমেক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সরকার আপনাদের পাশে আছে, আমরা আপনাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমান।  চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উপজেলা পরিষদের বর্জন করল পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যানগন সাংবাদিক রিজুর মূল হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কাউখালীতে প্রান্তিক চাষীদের মাঝে সার, বীজ ও নারকেল চারা বিতরণ।

হাইকোর্টের আদেশের কপি নিয়েও মিরপুর ল কলেজে ঢুকতে পারলেন না অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • ১৬৬৩ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্টের আদেশের কপি নিয়েও মিরপুর ল কলেজে ঢুকতে পারলেন না অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ

 

 

মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
মিরপুর প্রতিনিধি:

একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হচ্ছে রাষ্ট্রের আইন বিভাগ আর সেই আইন বিভাগের আইনজীবী হতে হলে তাকে অবশ্যই যে কোন আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী অর্জন করে এবং রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই আইন পেশায় সকলেই আসেন, যে প্রতিষ্ঠানে আইনি পাঠদান হচ্ছে সেখানেই আবার হচ্ছে বেআইনি কাজ, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুর ল কলেজে, গত ৩০ শে মে হাইকোর্টের একটি আদেশের কপি নিয়েও নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ।

৯০ দশকে বেশ কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছিলেন মিরপুরে একটি ল কলেজ প্রতিষ্ঠা হবে এবং আইনি পেশায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে আইনজীবী হয়ে রাষ্ট্রের আইন অঙ্গনে ভূমিকা রাখবে, হাতেগোনা সেই কয়েকজন স্বপ্নদ্রষ্টার মধ্যে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ অন্যতম, হাইকোর্টের আইনজীবী হওয়া সত্বেও বিনা বেতনে ১৯৯৩ সনে প্রতিষ্ঠিত মিরপুর ল কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ও আইনকে ভালোবেসে।

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৯৩ সন থেকে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন, এবং তার দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছিলেন, বিগত ০৯/০৫/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি প্রেরণ করেন তার অব্যাহতির প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ থাকে ৬১ বছর হওয়ায় আপনি আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

 

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি ছবি সংগ্রহীত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি ছবি সংগ্রহীত।

 

গত ১৫/০৫/২০২৪ তারিখে উপাধ্যক্ষ খন্দকার মোদারেস এলাহী তিরুর নেতৃত্বে শিক্ষক সোহেল মল্লিক, পাল বৃত্তাংশ নন্দন, খন্দকার ফারহান এলাহি, ও কলেজের কর্মচারী বাদশা মোল্লা, তারেক রহমান, জসীমউদ্দীন, জামাল আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদের বাসায় এসে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে কলেজের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন, পরিপেক্ষিতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন এই আদেশের আইনে বিভিন্ন ফাঁক রয়েছে আমি মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনারা একটু অপেক্ষা করেন যদি মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে অব্যাহতি দেয় তাহলে আমি চলে যাব, এই কথা শোনার পরেই উপাধ্যক্ষ সহ তার সাথে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাসার মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু করে দেন এবং অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে অপমান অপদস্থ করেন ও হুমকি দিয়ে যান আপনাকে কেউ এই চেয়ারে বসাতে পারবেনা আমাদের পক্ষে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে।

পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন এবং ২০/০৫/২০২৪ তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আদেশকে স্থগিত করেন, এবং রায়ে উল্লেখ করেন যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর আইন কে সংশোধন করে ৬৭ বছরে উন্নতি করেছে সেজন্য অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে তিনি ৬৭ বছর পর্যন্ত মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তার দায়িত্ব পালনে আর কোন আইনগত বাধা থাকিবে না।

গত ৩০/০৫/২০২৪ তারিখে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন এবং ডায়রিতে তিনি উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি তার হাতে এসেছে এবং তিনি তার দায়িত্বে বসবেন এবং তিনি আশঙ্কা করছেন তিনি কলেজে ঢোকা মাত্র তার জীবন হুমকির মুখে বা যেকোনো ধরনের আক্রমণ তার উপরে হতে পারে, পল্লবী থানার পক্ষ থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় এবং তার নিরাপত্তার জন্য এসআই তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ও দৈনিক আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার সাইমন আহমেদ রাজু, মুভি বাংলা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার সীমা ইসলাম, ভোরের বাংলা নিউজ এর সম্পাদক শেখ ফয়সাল আহমেদ সহ অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ও তার সহধর্মিনী নাজমুন নাহার, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সহ কলেজ গেটে প্রবেশকালে দেখা যায় কলেজের গেটে তালা দেওয়া এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হয় তালা খুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু কেউই তালা খুলে দেয়নি, প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আমরা এসেছি একটি সমঝোতার মাধ্যমে যেহেতু উনি মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে এসেছেন আমরা বসে এ বিষয়টা সমাধান করব যেহেতু মাননীয় হাইকোর্ট তাকে তার দায়িত্বে পূর্ণ বহাল করেছেন আপনারা গেট খুলে দিন আপনারা কোন ভাবে আইন অমান্য করতে পারেন না এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার দণ্ডনীয় অপরাধ, কিন্তু উপাধাক্ষর নির্দেশে কোন অবস্থাতেই তালা খোলা হয়নি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝানো হয়, এবং অনেক ছাত্র ক্লাস করার জন্য কলেজগেটে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা তবে আমরা যতটুকু জানি অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ আমাদের অধ্যক্ষ এবং গেট না খোলার জন্য আমরা ক্লাস করতে পারছি না, প্রশাসন মিডিয়া ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রী কারো কথাই উপাধক্ষ কর্ণপাত করেননি এবং গেট খুলেননি এবং ওইসময়ে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন তার সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যম কর্মীরা সংগ্রহ করেন।

পরবর্তীতে বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন এসে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের পরামর্শে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই সময়ে খবর পেয়ে ছুটে আসেন পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা পরবর্তীতে পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে এবং আমাকে চায়ের দাওয়াত দেয়া হয়েছে আমি কোন ভাবেই জানিনা এই বিষয়টা যে এইখানে একটি ঝামেলা চলছে বা মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে আলাউদ্দিন আহমেদ সাহেব তার দায়িত্ব বুঝে নিতে এসেছেন, আবির আরো বলেন আমি যদি এই বিষয়টা জানতাম তাহলে আমি কখনোই এখানে আসতাম না আমরা ছাত্রলীগ আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল এবং আমরা ছাত্রলীগ দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না এবং কখনোই বেআইনি কোন কাজকে সমর্থন করি না।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর থেকে উন্নীত করে ৬৭ বছর পর্যন্ত আইন সংশোধন করে সেই সংশোধনী কপি ছবি সংগ্রহীত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর থেকে উন্নীত করে ৬৭ বছর পর্যন্ত আইন সংশোধন করে সেই সংশোধনী কপি ছবি সংগ্রহীত।

 

দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হোসেন বলেন, এই বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মিরপুর ল কলেজ কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বডি শিক্ষকবৃন্দের বিষয় তারা এই বিষয়টি সমাধান করবেন তবে কেউ যদি কোন ধরনের হুমকি মনে করে তাকে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

 

পল্লবী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি।
পল্লবী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি।

 

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি খুব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানকে তিলে তিলে করে দাঁড় করিয়েছি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, আজকে ভাবতে অবাক লাগে এই আইন অঙ্গনে আমার অনেক ছাত্র আজকে স্বনামধন্য এডভোকেট, বিচারপতি এবং আমি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ও আমি হাইকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হওয়ার পরও আমাকে এই ধরনের অপমান অপদস্ত হতে হবে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনদিন কল্পনা করিনি এবং এই অপকর্মের সাথে যারা জড়িত এবং যারা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমের কাছে সত্য তুলে ধরার অনুরোধ করছি ও বহিরাগত যারা এই কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধন করে ৬৭ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলেছে, সেই সংশোধন দেখেই মহামান্য হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে, এবং মহামান্য হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করা আদালত অবমাননা যা একটি আইনি শিক্ষাঙ্গনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনভাবেই কাম্য না, এবং ইতিমধ্যেই আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি প্রেরণ করেছি।

হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তি কোন ভাবেই উপেক্ষা করতে পারে না এটি স্পষ্ট আদালত অবমাননা, এবং যারা এই কাজগুলো করেছে বা করছে তারা বিচার বিভাগকে ও দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং অচিরেই এই আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আশা করি মহামান্য হাইকোর্ট কঠোর আদেশ দিবেন।

উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরু
উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরু

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, উপাধ্যক্ষের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আমরা শিক্ষার্থীরা লজ্জিত, এবং অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যার উনি একজন সৎ ও সাদামাটা মানুষ এবং এই কলেজ থেকে বহু শিক্ষার্থীকে তিনি আইন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন উনার মত একজন মানুষের সঙ্গে যদি এই ধরনের আচরণ হয় তাহলে এই শিক্ষাঙ্গন থেকে আমরা কি শিখব, এবং আমরা সকলেই চাই অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যার তার দায়িত্বে পুনরায় বসুক, আর যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট ওনার পক্ষে রায় দিয়েছেন এই বিষয়ে আমাদের মনে হয় কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মচারী এটার বিরুদ্ধে কথা বলবে না হয়তোবা যারাই কথা বলছে তাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছে।

এই ব্যাপারে উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরুর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পুঠিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর, নির্বিকার প্রশাসন

হাইকোর্টের আদেশের কপি নিয়েও মিরপুর ল কলেজে ঢুকতে পারলেন না অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০৫:২৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

 

 

মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
মিরপুর প্রতিনিধি:

একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হচ্ছে রাষ্ট্রের আইন বিভাগ আর সেই আইন বিভাগের আইনজীবী হতে হলে তাকে অবশ্যই যে কোন আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী অর্জন করে এবং রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই আইন পেশায় সকলেই আসেন, যে প্রতিষ্ঠানে আইনি পাঠদান হচ্ছে সেখানেই আবার হচ্ছে বেআইনি কাজ, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুর ল কলেজে, গত ৩০ শে মে হাইকোর্টের একটি আদেশের কপি নিয়েও নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ।

৯০ দশকে বেশ কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছিলেন মিরপুরে একটি ল কলেজ প্রতিষ্ঠা হবে এবং আইনি পেশায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে আইনজীবী হয়ে রাষ্ট্রের আইন অঙ্গনে ভূমিকা রাখবে, হাতেগোনা সেই কয়েকজন স্বপ্নদ্রষ্টার মধ্যে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ অন্যতম, হাইকোর্টের আইনজীবী হওয়া সত্বেও বিনা বেতনে ১৯৯৩ সনে প্রতিষ্ঠিত মিরপুর ল কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ও আইনকে ভালোবেসে।

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৯৩ সন থেকে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন, এবং তার দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছিলেন, বিগত ০৯/০৫/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি প্রেরণ করেন তার অব্যাহতির প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ থাকে ৬১ বছর হওয়ায় আপনি আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

 

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি ছবি সংগ্রহীত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি ছবি সংগ্রহীত।

 

গত ১৫/০৫/২০২৪ তারিখে উপাধ্যক্ষ খন্দকার মোদারেস এলাহী তিরুর নেতৃত্বে শিক্ষক সোহেল মল্লিক, পাল বৃত্তাংশ নন্দন, খন্দকার ফারহান এলাহি, ও কলেজের কর্মচারী বাদশা মোল্লা, তারেক রহমান, জসীমউদ্দীন, জামাল আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদের বাসায় এসে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে কলেজের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন, পরিপেক্ষিতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন এই আদেশের আইনে বিভিন্ন ফাঁক রয়েছে আমি মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনারা একটু অপেক্ষা করেন যদি মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে অব্যাহতি দেয় তাহলে আমি চলে যাব, এই কথা শোনার পরেই উপাধ্যক্ষ সহ তার সাথে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাসার মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু করে দেন এবং অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে অপমান অপদস্থ করেন ও হুমকি দিয়ে যান আপনাকে কেউ এই চেয়ারে বসাতে পারবেনা আমাদের পক্ষে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে।

পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন এবং ২০/০৫/২০২৪ তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আদেশকে স্থগিত করেন, এবং রায়ে উল্লেখ করেন যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর আইন কে সংশোধন করে ৬৭ বছরে উন্নতি করেছে সেজন্য অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে তিনি ৬৭ বছর পর্যন্ত মিরপুর ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তার দায়িত্ব পালনে আর কোন আইনগত বাধা থাকিবে না।

গত ৩০/০৫/২০২৪ তারিখে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন এবং ডায়রিতে তিনি উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি তার হাতে এসেছে এবং তিনি তার দায়িত্বে বসবেন এবং তিনি আশঙ্কা করছেন তিনি কলেজে ঢোকা মাত্র তার জীবন হুমকির মুখে বা যেকোনো ধরনের আক্রমণ তার উপরে হতে পারে, পল্লবী থানার পক্ষ থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় এবং তার নিরাপত্তার জন্য এসআই তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ও দৈনিক আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার সাইমন আহমেদ রাজু, মুভি বাংলা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার সীমা ইসলাম, ভোরের বাংলা নিউজ এর সম্পাদক শেখ ফয়সাল আহমেদ সহ অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ও তার সহধর্মিনী নাজমুন নাহার, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সহ কলেজ গেটে প্রবেশকালে দেখা যায় কলেজের গেটে তালা দেওয়া এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হয় তালা খুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু কেউই তালা খুলে দেয়নি, প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আমরা এসেছি একটি সমঝোতার মাধ্যমে যেহেতু উনি মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে এসেছেন আমরা বসে এ বিষয়টা সমাধান করব যেহেতু মাননীয় হাইকোর্ট তাকে তার দায়িত্বে পূর্ণ বহাল করেছেন আপনারা গেট খুলে দিন আপনারা কোন ভাবে আইন অমান্য করতে পারেন না এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার দণ্ডনীয় অপরাধ, কিন্তু উপাধাক্ষর নির্দেশে কোন অবস্থাতেই তালা খোলা হয়নি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝানো হয়, এবং অনেক ছাত্র ক্লাস করার জন্য কলেজগেটে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা তবে আমরা যতটুকু জানি অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ আমাদের অধ্যক্ষ এবং গেট না খোলার জন্য আমরা ক্লাস করতে পারছি না, প্রশাসন মিডিয়া ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রী কারো কথাই উপাধক্ষ কর্ণপাত করেননি এবং গেট খুলেননি এবং ওইসময়ে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন তার সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যম কর্মীরা সংগ্রহ করেন।

পরবর্তীতে বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন এসে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের পরামর্শে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই সময়ে খবর পেয়ে ছুটে আসেন পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা পরবর্তীতে পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে এবং আমাকে চায়ের দাওয়াত দেয়া হয়েছে আমি কোন ভাবেই জানিনা এই বিষয়টা যে এইখানে একটি ঝামেলা চলছে বা মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে আলাউদ্দিন আহমেদ সাহেব তার দায়িত্ব বুঝে নিতে এসেছেন, আবির আরো বলেন আমি যদি এই বিষয়টা জানতাম তাহলে আমি কখনোই এখানে আসতাম না আমরা ছাত্রলীগ আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল এবং আমরা ছাত্রলীগ দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না এবং কখনোই বেআইনি কোন কাজকে সমর্থন করি না।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর থেকে উন্নীত করে ৬৭ বছর পর্যন্ত আইন সংশোধন করে সেই সংশোধনী কপি ছবি সংগ্রহীত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬০ বছর থেকে উন্নীত করে ৬৭ বছর পর্যন্ত আইন সংশোধন করে সেই সংশোধনী কপি ছবি সংগ্রহীত।

 

দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হোসেন বলেন, এই বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মিরপুর ল কলেজ কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বডি শিক্ষকবৃন্দের বিষয় তারা এই বিষয়টি সমাধান করবেন তবে কেউ যদি কোন ধরনের হুমকি মনে করে তাকে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

 

পল্লবী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি।
পল্লবী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি।

 

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি খুব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানকে তিলে তিলে করে দাঁড় করিয়েছি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, আজকে ভাবতে অবাক লাগে এই আইন অঙ্গনে আমার অনেক ছাত্র আজকে স্বনামধন্য এডভোকেট, বিচারপতি এবং আমি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ও আমি হাইকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হওয়ার পরও আমাকে এই ধরনের অপমান অপদস্ত হতে হবে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনদিন কল্পনা করিনি এবং এই অপকর্মের সাথে যারা জড়িত এবং যারা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমের কাছে সত্য তুলে ধরার অনুরোধ করছি ও বহিরাগত যারা এই কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধন করে ৬৭ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলেছে, সেই সংশোধন দেখেই মহামান্য হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে, এবং মহামান্য হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করা আদালত অবমাননা যা একটি আইনি শিক্ষাঙ্গনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনভাবেই কাম্য না, এবং ইতিমধ্যেই আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি প্রেরণ করেছি।

হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তি কোন ভাবেই উপেক্ষা করতে পারে না এটি স্পষ্ট আদালত অবমাননা, এবং যারা এই কাজগুলো করেছে বা করছে তারা বিচার বিভাগকে ও দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং অচিরেই এই আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আশা করি মহামান্য হাইকোর্ট কঠোর আদেশ দিবেন।

উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরু
উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরু

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, উপাধ্যক্ষের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আমরা শিক্ষার্থীরা লজ্জিত, এবং অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যার উনি একজন সৎ ও সাদামাটা মানুষ এবং এই কলেজ থেকে বহু শিক্ষার্থীকে তিনি আইন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন উনার মত একজন মানুষের সঙ্গে যদি এই ধরনের আচরণ হয় তাহলে এই শিক্ষাঙ্গন থেকে আমরা কি শিখব, এবং আমরা সকলেই চাই অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যার তার দায়িত্বে পুনরায় বসুক, আর যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট ওনার পক্ষে রায় দিয়েছেন এই বিষয়ে আমাদের মনে হয় কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক কর্মচারী এটার বিরুদ্ধে কথা বলবে না হয়তোবা যারাই কথা বলছে তাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছে।

এই ব্যাপারে উপাধ্যক্ষ মোদারেস এলাহী তিরুর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।