নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা এলাকা হতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ২নং পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
গত ০৮ এপ্রিল ২০২৪ইং সোমবার ভিকটিম এর ছোট ভাতিজী খেলা করার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আসামী রুবেল এলোপাতাড়ি চড় ঘুষি দিয়ে জখম করে।
উক্ত দিন সন্ধ্যা ১৯:০০ ঘটিকার সময় বাদী শিফালি বেগমের বড় পুত্র শিপন এবং ভিকটিম আসামী নুর মোহাম্মদে এর দোকানে গিয়ে ঘটনার কারণ জানতে চায়। সঙ্গে সঙ্গে আসামীর নুর মোহাম্মদ নির্দেশে সহযোগী আসামী শিপন ভিকটিম আক্তারকে খুন করার উদ্দেশ্যে দোকানে থাকা লোহার তেশিরা এ্যাংগেল টিউবওয়েলের লোহার ডান্ডি দিয়ে আঘাত দিয়ে গুরুতর জখম করে।
সে সময় বাদী শিফালি বেগমের ছোট পুত্র এবং জনৈক শফিকুজ্জামান রাসেল ঠেকাতে গেলে আসামীগণ তাদেরকেও খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন ভিকটিম আক্তারসহ শিপন, রাসেল ও ইমন এর চিৎকারে আশেপাশের বসে থাকা লোকজন তাদের বাচানোর জন্য এগিয়ে আসে এবং গুরুতর জখম অবস্থায় (আক্তার, শিপন, রাসেল ও ইমন) কে স্থানীয় লোক মারফত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় এবং জখম গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল যশোর রেফার্ড করেন। শিপন ও আক্তারের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০৯/০৩/২০২৪ তারিখ রাত ০২:৩০ ঘটিকায় মৃত্যু বরণ করেন। উক্ত বিষয়ে গুরুতর জখম প্রাপ্ত শিপন এর মাতা বাদী হয়ে ০৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ০৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা আরও ০৩/০৪ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত হত্যা মামলার ০২নং পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ০০:২০ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০২নং পলাতক আসামী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা হতে র্যাব,-৬ (ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প) এর সহায়তায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০২নং পলাতক আসামী- ১। সরোয়ার (৫০), পিতা- মৃত সায়েদ আলী, স্থায়ী সাং- দক্ষিণ আড়পাড়া (নদীপাড়া), থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।