বাংলাদেশ ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু হল নরসিংদীতে ছয়দিনের নবজাতকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা’র মৃত্যু ছেলের পর মারা গেলেন বাবা কুবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে জাল নোটের সরঞ্জাম ও টাকাসহ গ্রেফতার ৩ হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হলেন কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার।

হবিগঞ্জে পান চাষে নির্ভর প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে পান চাষে নির্ভর প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার

 লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: 
হবিগঞ্জের বাহুবলে পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অর্ধ শতাধিক পরিববার। সংসারে খরচ যোগাতে অনেক পরিবার শত বছর ধরে এই পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। তবে বাজারে পান চাষের উপকরণের দাম বাড়ায় অনেক চাষিরা এবার লোকসানে পড়েছেন। এতে আগ্রহ হারাচ্ছেন পান অনেকেই।
সরেজমিনে বাহুবলের নন্দনপুর, ভাতকাটিয়া, ফরিদপুর, বাড়ি গাও, বরিকান্দি ও চৈতনপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে শুধু পানের বরজ। খড় দিয়ে মোড়ানো এসব বরজে প্রবেশ করলে দেখা যায় এ যেন সবুজের সমারোহ। অন্যদিকে, পান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। বাঁশ ও কাশিয়া দিয়ে পড়ে যাওয়ার পানের গাছ বাঁধার কাজ করছেন। আবার অনেকেই নতুন বরজের খৈল ব্যবহার ও আগাছা পরিস্কার করছেন চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়।
কেউ শত বছর, আবার কেউ কেউ অর্ধশত বছর ধরে বাড়ির পাশে তৈরী করে আসছেন পানের বরজ। তারা পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন যুগের পর যুগ। স্থানীয় হাট বাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুই পান সরবরাহ করেন তারা আর এসব পান বিক্রির উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলে তাদের সংসার। তবে স¤প্রতি বাজারে বেড়েছে উপকরণের দাম। বাঁশ, কাশিয়া ও খৈলের দাম বৃদ্ধির কারনে পান চাষে দেখা দিয়েছে বাড়তি খরচ। আয়ের পরিবর্তে অনেক সময় দেখা দেয় লোকসান। যে কারনে পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলেও জানান পান চাষিরা।
ফরিদপুর গ্রামের নলীনি কান্ত দত্ত বলেন, ১ বিঘা জমিতে ২টি পানের বরজ তৈরী করেছি। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে প্রায় ১ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত আমরা।
বাজারে পান বিক্রি করে আমাদের পারিবারিক খরচ যোগান দিয়ে থাকি বাড়ি গাও গ্রামের মর্তুজ আলী বলেন, আমার ২ বিঘা জমিতে ৩টি পানের বরজ রয়েছে আমি এ গুলোতে প্রতিদিন কাজ করি। মাঝে মধ্যে শ্রমিক দিয়ে করাতে হয়। আগের তুলনায় পান চাষে খরচে বেড়েছে তাই তেমন লাভবান হয়না।
যমুনাবাদের আজম আলী বলেন, সপ্তাহে দুই দিন বাজারে পান বিক্রি করা হয়। এতে যে টাকা আসে সংসারের খরচ বহন করা যায়। বাশঁ ও খৈলের দাম বাড়ায় এখন খরচ বেশি হয়। এতে অনেকেই এখন পান চাষ করছেন না। তবে আমি এ পেশাটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি
জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আশেক পারভেজ জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় পান চাষ অনেকটাই লাভজনক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের উৎসাহ ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার

হবিগঞ্জে পান চাষে নির্ভর প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার

আপডেট সময় ০৪:২৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
 লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: 
হবিগঞ্জের বাহুবলে পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অর্ধ শতাধিক পরিববার। সংসারে খরচ যোগাতে অনেক পরিবার শত বছর ধরে এই পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। তবে বাজারে পান চাষের উপকরণের দাম বাড়ায় অনেক চাষিরা এবার লোকসানে পড়েছেন। এতে আগ্রহ হারাচ্ছেন পান অনেকেই।
সরেজমিনে বাহুবলের নন্দনপুর, ভাতকাটিয়া, ফরিদপুর, বাড়ি গাও, বরিকান্দি ও চৈতনপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে শুধু পানের বরজ। খড় দিয়ে মোড়ানো এসব বরজে প্রবেশ করলে দেখা যায় এ যেন সবুজের সমারোহ। অন্যদিকে, পান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। বাঁশ ও কাশিয়া দিয়ে পড়ে যাওয়ার পানের গাছ বাঁধার কাজ করছেন। আবার অনেকেই নতুন বরজের খৈল ব্যবহার ও আগাছা পরিস্কার করছেন চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়।
কেউ শত বছর, আবার কেউ কেউ অর্ধশত বছর ধরে বাড়ির পাশে তৈরী করে আসছেন পানের বরজ। তারা পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন যুগের পর যুগ। স্থানীয় হাট বাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুই পান সরবরাহ করেন তারা আর এসব পান বিক্রির উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলে তাদের সংসার। তবে স¤প্রতি বাজারে বেড়েছে উপকরণের দাম। বাঁশ, কাশিয়া ও খৈলের দাম বৃদ্ধির কারনে পান চাষে দেখা দিয়েছে বাড়তি খরচ। আয়ের পরিবর্তে অনেক সময় দেখা দেয় লোকসান। যে কারনে পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলেও জানান পান চাষিরা।
ফরিদপুর গ্রামের নলীনি কান্ত দত্ত বলেন, ১ বিঘা জমিতে ২টি পানের বরজ তৈরী করেছি। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে প্রায় ১ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত আমরা।
বাজারে পান বিক্রি করে আমাদের পারিবারিক খরচ যোগান দিয়ে থাকি বাড়ি গাও গ্রামের মর্তুজ আলী বলেন, আমার ২ বিঘা জমিতে ৩টি পানের বরজ রয়েছে আমি এ গুলোতে প্রতিদিন কাজ করি। মাঝে মধ্যে শ্রমিক দিয়ে করাতে হয়। আগের তুলনায় পান চাষে খরচে বেড়েছে তাই তেমন লাভবান হয়না।
যমুনাবাদের আজম আলী বলেন, সপ্তাহে দুই দিন বাজারে পান বিক্রি করা হয়। এতে যে টাকা আসে সংসারের খরচ বহন করা যায়। বাশঁ ও খৈলের দাম বাড়ায় এখন খরচ বেশি হয়। এতে অনেকেই এখন পান চাষ করছেন না। তবে আমি এ পেশাটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি
জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আশেক পারভেজ জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় পান চাষ অনেকটাই লাভজনক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের উৎসাহ ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়।