বাংলাদেশ ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শিশু ধর্ষণের মামলায় যুবক আটক পিরোজপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের ১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট কালুরঘাট সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে এরশাদ উল্লাহ, জনগণের টাকা লোপাটকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি’র সতর্কতা জারি মান্দায় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালুমহালের সরঞ্জামে হামলা রিয়াজ নকিব এর উপর হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ দৌলতপুরে ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর মামলা নিষিদ্ধ Buprenorphine Injection সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মুলাদীতে শারদীয় দুর্গা পুজা উৎযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা বুড়িচং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা, ৩ জন আটক ভারতে হিন্দু পুরোহিতের মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ধনবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল মুলাদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

উপাচার্যকে  ডাস্টবিন বললেন কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৬১১ বার পড়া হয়েছে

উপাচার্যকে  ডাস্টবিন বললেন কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী

কুবি সংবাদদাতা:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বাধার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন  দুপুরের খাবারের জন্য উপাচার্য দপ্তর থেকে বের হতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যকে  ডাস্টবিন বলে সম্বোধন করেন এবং উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
বুধবার (৬ই মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য শিক্ষকরা নানা বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। তখন কথা প্রসঙ্গে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেন।’
এই কথার জবাবে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আপনার কথায় পদত্যাগ! হু আর ইউ টু আস্ক মি টু রিজাইন? হু আর ইউ হু আর ইউ,
এছাড়াও বাকবিত ণ্ডায় শিক্ষক সমিতির নেতারা খোদ উপাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার নামে প্রকাশিত আর্টিকেল তিনি টাকা দিয়ে করেছেন বলে অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন একাধিকবার বলেন।  শিক্ষক সমিতির নেতাদের দাবি উপাচার্যের নিজের কোন ভালো মানের আর্টিকেল নেই অথচ  শিক্ষকদের উপর ভালো আর্টিকেল চাপিয়ে দিচ্ছেন।
জবাবে উপাচার্য বলেন, আমার ৩৯টি আর্টিকেল রয়েছে। আর সেইসময় বিদেশি জার্নালে বাংলাদেশি কারো আর্টিকেল গ্রহণ করতো না।
আরো বলেন, যারা অযোগ্য তারা প্রমোশন পাবে না। ভালো জার্নালে একটি আর্টিকেল লিখার যোগ্যতা তাদের নেই তারা কিভাবে প্রমোশন পাবে কোন অযোগ্য শিক্ষককে আমি নিয়োগ দেই না, প্রমোশনও দেই না। পত্রপত্রিকায় অযোগ্য শিক্ষকদের লিস্ট দিলে দেখতে পাবেন কারা অযোগ্য, আমি তাদের প্রমোশন দেই না।’
এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার একটি ভালো মানের ভালো জার্নালে প্রকাশনা নেই, তাহলে আপনি কিভাবে প্রফেসর হলেন’
জবাবে উপাচার্য বলেন, আমি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে প্রমোশন পেয়েছি। আমাকে যিনি নিয়োগ দিয়েছেন উনি আমারটা অ্যাসেস করেই দিয়েছেন, আর আমি যাকে দিবো তারটাও অ্যাসেস করেই দিবো।’
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী রানাকে জিগ্যেস করে, ‘উনি টিচারদের অপমান করে কেন? স্টপ হিম। স্টপ দিস ডাস্টবিন। দিস ডাস্টবিন, জাস্ট স্টপ হিম। দিস ইজ কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি।
তখন উপাচার্য অধ্যাপক মঈন জিগ্যেস করেন, আপনি কি বললেন, আই উইল টেক ইউ ইন দ‍্য রাইট প্লেস প্রত্যুত্তরে মেহেদী হাসান বলেন, আই এম নট টকিং টু ইউ, আই এম টকিং টু হিম (প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী)।
উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, আপনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যাচার করতে পারেন না! আমরা ক্লাস না নিলে ক্লাস কে নেয়? আপনি তো ক্লাস নেন না। আমরা যদি ক্লাস না নেই তাহলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কমিয়ে এতো এগিয়ে যাচ্ছে কিভাবে? র‍্যাংকিংয়ে উন্নয়ন হচ্ছে কিভাবে।
এর আগে, সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, সিলগালাহীন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতি, কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে আনয়ন, ডিন-বিভাগীয় প্রধানদের অনুপস্থিতি ইত্যাদি অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষায় বাধা দেন। পরবর্তীতে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন পরীক্ষা পিছিয়ে দেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শিশু ধর্ষণের মামলায় যুবক আটক

উপাচার্যকে  ডাস্টবিন বললেন কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী

আপডেট সময় ০৭:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
কুবি সংবাদদাতা:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বাধার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন  দুপুরের খাবারের জন্য উপাচার্য দপ্তর থেকে বের হতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যকে  ডাস্টবিন বলে সম্বোধন করেন এবং উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
বুধবার (৬ই মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রথমে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য শিক্ষকরা নানা বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। তখন কথা প্রসঙ্গে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেন।’
এই কথার জবাবে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আপনার কথায় পদত্যাগ! হু আর ইউ টু আস্ক মি টু রিজাইন? হু আর ইউ হু আর ইউ,
এছাড়াও বাকবিত ণ্ডায় শিক্ষক সমিতির নেতারা খোদ উপাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার নামে প্রকাশিত আর্টিকেল তিনি টাকা দিয়ে করেছেন বলে অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন একাধিকবার বলেন।  শিক্ষক সমিতির নেতাদের দাবি উপাচার্যের নিজের কোন ভালো মানের আর্টিকেল নেই অথচ  শিক্ষকদের উপর ভালো আর্টিকেল চাপিয়ে দিচ্ছেন।
জবাবে উপাচার্য বলেন, আমার ৩৯টি আর্টিকেল রয়েছে। আর সেইসময় বিদেশি জার্নালে বাংলাদেশি কারো আর্টিকেল গ্রহণ করতো না।
আরো বলেন, যারা অযোগ্য তারা প্রমোশন পাবে না। ভালো জার্নালে একটি আর্টিকেল লিখার যোগ্যতা তাদের নেই তারা কিভাবে প্রমোশন পাবে কোন অযোগ্য শিক্ষককে আমি নিয়োগ দেই না, প্রমোশনও দেই না। পত্রপত্রিকায় অযোগ্য শিক্ষকদের লিস্ট দিলে দেখতে পাবেন কারা অযোগ্য, আমি তাদের প্রমোশন দেই না।’
এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার একটি ভালো মানের ভালো জার্নালে প্রকাশনা নেই, তাহলে আপনি কিভাবে প্রফেসর হলেন’
জবাবে উপাচার্য বলেন, আমি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে প্রমোশন পেয়েছি। আমাকে যিনি নিয়োগ দিয়েছেন উনি আমারটা অ্যাসেস করেই দিয়েছেন, আর আমি যাকে দিবো তারটাও অ্যাসেস করেই দিবো।’
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী রানাকে জিগ্যেস করে, ‘উনি টিচারদের অপমান করে কেন? স্টপ হিম। স্টপ দিস ডাস্টবিন। দিস ডাস্টবিন, জাস্ট স্টপ হিম। দিস ইজ কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি।
তখন উপাচার্য অধ্যাপক মঈন জিগ্যেস করেন, আপনি কি বললেন, আই উইল টেক ইউ ইন দ‍্য রাইট প্লেস প্রত্যুত্তরে মেহেদী হাসান বলেন, আই এম নট টকিং টু ইউ, আই এম টকিং টু হিম (প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী)।
উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, আপনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যাচার করতে পারেন না! আমরা ক্লাস না নিলে ক্লাস কে নেয়? আপনি তো ক্লাস নেন না। আমরা যদি ক্লাস না নেই তাহলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কমিয়ে এতো এগিয়ে যাচ্ছে কিভাবে? র‍্যাংকিংয়ে উন্নয়ন হচ্ছে কিভাবে।
এর আগে, সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, সিলগালাহীন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতি, কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে আনয়ন, ডিন-বিভাগীয় প্রধানদের অনুপস্থিতি ইত্যাদি অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষায় বাধা দেন। পরবর্তীতে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন পরীক্ষা পিছিয়ে দেন।