বাংলাদেশ ১২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পাপিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা মামলার ৩জন আসামী গ্রেফতার। সাবেক এমপি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের ২৭ তম মুত্যু বার্ষিকী। পিরোজপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর: দোকান ভাংচুর কটিয়াদীতে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের সাথে ভুতুরে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ জনগণ অনিয়মই যেখানে নিয়ম! সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি  যশোরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই বোন আটক শুভ জন্মদিন কবি সুলতান আহমেদ সোনার পালন করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব পীরগঞ্জ।  সাপ্তাহিক বাংলার বিবেকের বর্ণাঢ্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত স্ত্রীর সাথে বিরোধ, পেকুয়ায় ফাঁসিতে ঝুলে যুবকের আত্মহত্যা রাবিতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দ্রুত বিচার এখন সময়ের দাবি-শেখ মফিজুর রহমান নগরীতে ছিনতাই ও চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩৬ হাজারেরও অধিক শিশু পাচ্ছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৪৩ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা 

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পাপিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা মামলার ৩জন আসামী গ্রেফতার।

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।