বাংলাদেশ ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান মির্জাগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা কয়রায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আট বছরের ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নাগরপুরে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলেন – পান্না সিলেট আসার পথে দুর্ঘটনায় ব্যান্ড শিল্পী আহসান তানভীর পিয়াল নিহত।

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।