বাংলাদেশ ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৭৬১ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

আজ শেরপুর জেলার জন্মদিন

আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

 

 

 

মোঃ শাহিন ইসলাম, নকলা, শেরপুর প্রতিনিধি:

২২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারী শেরপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এর পূর্বে এটি জামালপুরের একটি মহকুমা ছিল। এর আয়তন ৫২৬.৯০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ১৩,৫৮,৩২৫ ( ২০১১ এর আদম শুমারী অনুযায়ী )। এ জেলার জনঘনত্ব ১০০০ বর্গ.কি.মি এবং সাক্ষরতার হার ৮৮.০৪%। এর উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা।

বর্তমান শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় কোচ, গারো, হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন কোচ, গারো প্রভৃতি নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। শেরপুর জেলার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। শেরপুর জেলা ছানার পায়েস এর জন্য বিখ্যাত।

শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিলো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনমলে এই এলাকা “দশকাহনিয়া বাজু” নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশকাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এ এলাকা দশকাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাওয়ালের গাজী, ঈসা খানের বংশধর থেকে দশকাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়।দশকাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়।

ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে কর্ণওয়ালিস-এর সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়,ফকির আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং গরজরিপার তার রাজধানী স্থাপন করেন। খোশ মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শেরপুরের কামারের চরে ১৯০৬ সাল ১৯১৪ সাল ও ১৯১৭ সালে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নানকার, টঙ্ক, বাওয়ালী, মহাজনী,ইজারাদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শেরপুরে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে থাকা শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর। এদিন অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শহরের দারোগা আলী পার্কে অবতরণ করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।