দেলোয়ার হোসেন সোহেল
অবশেষে বণ-বিভাগের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে পাগলা হাতি এলাকায় আতঙ্ক কেটে শান্তির নিঃশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপি ও রাজশাহী তানোর বাধাইড় ইউপিতে তাণ্ডব চালিয়ে স্কুলছাত্রসহ দুজনকে আছড়ে মারার পর ধরা পড়েছে একটি পাগলা হাতি। অনেক চেষ্টার পর তানোর এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে রাজশাহী বণ-বিভাগের কর্মকর্তারা পাগলা হাতিটিকে বসে এনেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বন্দুকের মাধ্যমে দেহে চেতনানাশক পুশ করে হাতিটি কে বসে এনেছে। এদিকে এর সঙ্গী হাতিটিকে আগেই স্থানীয়রা ধরে ফেলেন। পরে প্রশাসন হাতিটি তার মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। তবে অপর হাতিটি ধরতে বেগ পেতে হয়েছে। এদিকে বন্যপ্রাণীকে অবহেলা এবং হাতির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় নাচোল থানায় ৩০৪/ক ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাচোল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় হাতি দুটির মাহুত ও তাদের সহকারীসহ ৫ জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কালাম, শুকুর, আজিজুল এবং হারুনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাতির আক্রমণে আদিবাসী রামপদর মৃত্যুর ঘটনাস্থল রাজশাহীর তানোর থানাধীন হওয়ায় তানোর থানাই এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এবিষয়ে তানোর থানায় একটি অপমৃত্যর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম।
বগুড়া থেকে সার্কাসের দুটি হাতি নিয়ে মাহুত (হাতির রাখাল) ও তাদের সহকারীরা গত কয়েক দিন ধরে নাচোলে এসে চাঁদাবাজি করছিলেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে এর একটি হাতি অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে শুরু করে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের মানিকড়া গ্রামে স্কুলছাত্র মো. মুফাসসির হোসেন ও বিকেলে পাশের তানোর থানাধীন জুমারপাড়ায় রামপদকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে ও পিষে মারে। নষ্ট করে ফেলে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ধান।