বিশেষ প্রতিনিধি:
বাবা মিজানুর রহমান মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। বাবাকে হারিয়ে এখন দিশেহারা ৩ শিশু।
এমন ঘোর দুর্দিনের শিকার হবে ভাবেনি তারা। জানাজার আগে স্নেহ-ভালোবাসা হীন হয়ে বাবার খাটিয়ার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে যেন স্নেহের ছোঁয়া খোঁজে অবুঝ সন্তানরা। বাবার মরদেহের দিকে তাকিয়ে কাঁদছিল তারা। হয়তো বাবার আদরের কথা মনে করে বারবার চোখ মুছছিল ছোট্ট ছেলেটি।
বাড়ির লোকজনের মুখে শুনলাম, গাড়ি ভাড়া ১০/২০ টাকা বাঁচাতে মাইলের পর মাইল হেটে অফিস করতেন মিজানুর রহমান। সামান্য বেতনে চাকরি করে কোনরকমভাবে চলত তার পরিবার। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই। পরিবার চলার মত কোন পথ নেই তাদের।
স্থানীয় ধনাঢ্য কিংবা হৃদয়বান কোনো ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে ওই এতিম তিন শিশুও হয়তো অযত্ন অবহেলায় বড় হবে। শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়বে। নষ্ট হবে ভবিষ্যৎ।
এমন পরিস্থিতি সামলে নিতে সবার কাছে মানবিক সহযোগিতা কামনা করেছেন নিহতের স্বজনরা। বাড়িতে ইফতার করে মুহুরীগঞ্জে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার করৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্যাটারি চালিত টমটম চাপায় নিহত হন মিজানুর রহমান(৪৮)।
ফেনীর ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ কুহুমা গ্রামের ওবায়দুল হক হেড মাস্টার বাড়ির রুহুল আমিন ওরফে জানুমিয়ার ছেলে তিনি।
তিনি মুহুরীগঞ্জে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।