ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডে চাঞ্চল্যকর জনি হত্যার প্রধান আসামীকে ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম হামিদুর ইসলাম জনি (২৭) এর ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু বাজারে একটি মোবাইলের দোকান আছে। আসামী মোঃ সজীব আহম্মেদ অপু(১৯) গত ১০/১৫ দিন পূর্বে উক্ত দোকান থেকে ৬১,০০০/-টাকা মূল্যের দুইটি মোবাইল বাকিতে ক্রয় করে। টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং আসামী অপু ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে। গত ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ দুপুরে আসামী অপু ভিকটিমের দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে প্রকাশ্যে এলোপাথারিভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ ছাব্বির আহম্মেদ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার সাথেসাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূলহোতা কুষ্টিয়া জেলা অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত আনুমানিক ২৩.৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে আসামী ১। মোঃ সজীব আহম্মেদ অপু(১৯), থানা-হরিনাকুন্ডু, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।