বাংলাদেশ ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

মঠবাড়িয়ায় বিউটিশিয়ান নারী হত্যায় স্কুল শিক্ষিকা ও স্বামী গ্রেফতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
  • ১৬৮৭ বার পড়া হয়েছে

মঠবাড়িয়ায় বিউটিশিয়ান নারী হত্যায় স্কুল শিক্ষিকা ও স্বামী গ্রেফতার

 

 

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বিউটিশিয়ান শাম্মী (৪০) হত্যা মামলায় স্বামী ও এক স্কুল শিক্ষিকা গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার রাতে শাম্মী আক্তারের স্বামী শেখ সিরাজুল সালেকিন (৩৩) ও শাম্মীর ভাইয়ের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানমকে (৫০) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী ও স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।

 

 

 

এর আগে গতকাল রাতে শাম্মীর ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে তাঁর বাবা ও স্কুল শিক্ষিকা মামির বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করে। গতকাল দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শাম্মী আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাম্মীর বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ছোট রাজাপুর গ্রামে। তিনি মঠবাড়িয়া শহরের কে, এম লতীফ সুপার মার্কেটের শাম্মী বিউটি পারলারের মালিক ছিলেন।

 

 

 

গ্রেফতার আয়শা খানম শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের এমাদুল হকের স্ত্রী ও মঠবাড়িয়া কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ সিরাজুল সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। তিনি শাম্মী আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী।

 

 

 

১৩ বছর আগে প্রথম স্বামী ফিরোজ আলমের সঙ্গে শাম্মী আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ফিরোজ আলম ও শাম্মী আক্তারের দুই ছেলে আছে। দুই বছর আগে সিরাজুল সালেকিনের সঙ্গে শাম্মীর বিয়ে হয়। শাম্মী মঠবাড়িয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। সিরাজুল সালেকিন মাঝেমধ্যে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়ায় আসা-যাওয়া করতেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সিরাজুল ও শাম্মীর বিবাহবার্ষিকী ছিল।

 

 

 

এর আগে গত রোববার সিরাজুল ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন। ওই দিন রাতে বিবাহবার্ষিকী উদ্ধসঢ়;‌যাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়শা খানম ওই বাড়িতে যান। রাতে তিনি ওই বাড়িতে ছিলেন। শাম্মী গভীর রাতে সিরাজুল ও আয়শাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে শাম্মী ও সিরাজুলের ঝগড়া হয়।

 

 

 

ঝগড়ার একপর্যায়ে সিরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে শাম্মীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। শাম্মীর ছেলে সাইম আলম অভিযোগে করে বলে, হত্যার দায় এড়াতে পরের দিন সকালে সিরাজুল ও আয়শা দুজন মিলে শাম্মীর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁরা হত্যার ঘটনাকে ‘হার্ট অ্যাটাক’ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। রোববার রাতে ওই ঘটনার সময় সাইম বাসায় ছিল না বলে দাবি করেন। এদিকে সাইমের বড় ভাই একটি মামলায় কারাগারে আছেন।

 

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপ কৃষ্ণ সাহা বলেন, গতকাল সকাল নয়টার দিকে শাম্মীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর লাশ দুই স্বজন বাড়ি নিয়ে যেতে চান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

 

 

 

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই সিরাজুল সালেকিন ও আয়শা খানমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হত্যা মামলায় তাঁদের দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মঠবাড়িয়ায় বিউটিশিয়ান নারী হত্যায় স্কুল শিক্ষিকা ও স্বামী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:৫০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২

 

 

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বিউটিশিয়ান শাম্মী (৪০) হত্যা মামলায় স্বামী ও এক স্কুল শিক্ষিকা গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার রাতে শাম্মী আক্তারের স্বামী শেখ সিরাজুল সালেকিন (৩৩) ও শাম্মীর ভাইয়ের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানমকে (৫০) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) হত্যা মামলার অভিযোগে স্বামী ও স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।

 

 

 

এর আগে গতকাল রাতে শাম্মীর ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে তাঁর বাবা ও স্কুল শিক্ষিকা মামির বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করে। গতকাল দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শাম্মী আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাম্মীর বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ছোট রাজাপুর গ্রামে। তিনি মঠবাড়িয়া শহরের কে, এম লতীফ সুপার মার্কেটের শাম্মী বিউটি পারলারের মালিক ছিলেন।

 

 

 

গ্রেফতার আয়শা খানম শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের এমাদুল হকের স্ত্রী ও মঠবাড়িয়া কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ সিরাজুল সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। তিনি শাম্মী আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী।

 

 

 

১৩ বছর আগে প্রথম স্বামী ফিরোজ আলমের সঙ্গে শাম্মী আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ফিরোজ আলম ও শাম্মী আক্তারের দুই ছেলে আছে। দুই বছর আগে সিরাজুল সালেকিনের সঙ্গে শাম্মীর বিয়ে হয়। শাম্মী মঠবাড়িয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। সিরাজুল সালেকিন মাঝেমধ্যে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়ায় আসা-যাওয়া করতেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সিরাজুল ও শাম্মীর বিবাহবার্ষিকী ছিল।

 

 

 

এর আগে গত রোববার সিরাজুল ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন। ওই দিন রাতে বিবাহবার্ষিকী উদ্ধসঢ়;‌যাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়শা খানম ওই বাড়িতে যান। রাতে তিনি ওই বাড়িতে ছিলেন। শাম্মী গভীর রাতে সিরাজুল ও আয়শাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে শাম্মী ও সিরাজুলের ঝগড়া হয়।

 

 

 

ঝগড়ার একপর্যায়ে সিরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে শাম্মীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। শাম্মীর ছেলে সাইম আলম অভিযোগে করে বলে, হত্যার দায় এড়াতে পরের দিন সকালে সিরাজুল ও আয়শা দুজন মিলে শাম্মীর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁরা হত্যার ঘটনাকে ‘হার্ট অ্যাটাক’ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। রোববার রাতে ওই ঘটনার সময় সাইম বাসায় ছিল না বলে দাবি করেন। এদিকে সাইমের বড় ভাই একটি মামলায় কারাগারে আছেন।

 

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপ কৃষ্ণ সাহা বলেন, গতকাল সকাল নয়টার দিকে শাম্মীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর লাশ দুই স্বজন বাড়ি নিয়ে যেতে চান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

 

 

 

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই সিরাজুল সালেকিন ও আয়শা খানমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হত্যা মামলায় তাঁদের দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।