কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করা ৫ জেএমবি সদস্যকে জেলা জজ আদালতে হাজির করা হয়। গত সোমবার (২৩ মে) দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রামের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এর জনাকীর্ণ আদালতে পৃথক দুটি মামলায় যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন বিজ্ঞ কৌশলী গণ।
একটি মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলা ও অপরটি বিস্ফোরক আইনে দাযেরকৃত মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতে সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ কৌশলী এস.এম আব্রাহাম লিংকন ও আসামীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ কৌশলী হুমায়ুন কবির। এ চাঞ্চল্যকর মামলার পরবর্তী শুনানি আগামি জুন মাসের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞ বিচারক তারিখ নির্ধারণ করেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়াল পাড়া নামক এলাকায় ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণকারী মৃুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে প্রাতঃভ্রমণের সময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে এবং ককটেল ফাঁটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে খুনের সাথে জে.এম.বি সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়ে ৭ নভেম্বর ১০ জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে কুড়িগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) প্রদান করেন।
সরকার পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী পাবলিক প্রসিকিউটর এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন জুম্মাতুল মোজাহিদীন বা জেএমবি’র সদস্যরা ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কিভাবে হত্যা করেছে, কারা কারা জড়িত ছিল ১৬৪ ধারায় তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দী তারা প্রত্যাহার করেনি। আজ সোমবার দায়রা জজ আদালতে বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় সওয়াল-জবাব করা হয়। আমরা উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছি। আমরা চাই যারা রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের বিধানকে চ্যালেঞ্চ করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।