যশোরে সাবেক সেনা সদস্য হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী ও ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম (৩৫)কে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে আটক করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মুল হোতা কামরুল ইসলামকে আটক করা হয়। কামরুল যশোর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মোদাচ্ছের বিশ্বাসের ছেলে।
ডিবি সূত্র জানা যায়, ইতিপূর্বে এই হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িত আরও ছয় আসামিকে আটক করেছেন। পরে হত্যা মিশনে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। আটকৃতদের মধ্যে পাঁচ আসামি আদালতে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং তারা জানায় মূলতঃ কামরুল ইসলামের নির্দেশেই হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছিলো। অপর আসামিরা সবাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী।
ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বের কারণে সাবেক সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ এপ্রিল রাত আটটা পঞ্চাশ মিনিটে আনোয়ার তার পালবাড়ি মোড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এসময় সন্ত্রাসীরা এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আনোয়ারকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারের ভাই হায়দার হোসেন অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে কুলেস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।
যশোর ও ঝিনাইদহ জেলায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামি আটক করে। সর্ব শেষ এ ঘটনার মুল হোতার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এসআই মফিজুল ইসলামের (পিপিএম) ও এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে একটি টিম নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে কামরুলকে আটক করে। শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে ডিবি সূত্র নিশ্চিত করে।