বাংলাদেশ ০৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুরে হার পাওয়ার প্রকল্পের স্টুডেন্টদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ রাজাপুর সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য এসিস্ট্যান্টকে দিতে হয় টাকা বাগেরহাটে ৪৭ কেজি হরিণের মাংসসহ ২ শিকারী আটক রাজশাহী মহানগরীতে অটোভ্যানসহ গ্রেফতার তানোরের চোর রাকিব ভান্ডারিয়ায় কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ঝালকাঠিতে মাহিন্দ্রা-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত -৫ প্রসূতি মায়ের ইনজেকশন নবজাতকের শরীরে পুশ! সেই নবজাতক আইসিইউতে। ইট ভাটার মালিক ভূমিদস্যু হারুন হাওলাদার ও নাসির হাওলাদার এর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর কঠোর অবস্থান। কবির হোসেন কে বহিষ্কারের দাবিতে ধনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কবিরাজের এক কলা ২০০ টাকা, লালপুরে কলাচিকিৎসা বন্ধ করলেন ইউএনও যুবকরা এদেশের পরিবর্তনের মূল কারিগর- ইউএনও শাকিল আহমেদ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনভাবেই বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়- এ্যাড. মশিহুল আলম অভিনব কায়দায় ভূট্টার আড়ালে পাচারকালে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাইক্ষ‍্যংছড়িতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় উপজেলা জামায়তে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বুড়িচংয়ে জাতীয় যুব দিবসে আলোচন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ

রাজাপুর সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য এসিস্ট্যান্টকে দিতে হয় টাকা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে

রাজাপুর সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য এসিস্ট্যান্টকে দিতে হয় টাকা

 

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসিস্ট্যান্ট অফিসার বিবেক সিকদারের বিরুদ্ধে।

 

রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মায়ের পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে রাজাপুর হাসপাতালের ইমারজেন্সী রুমে গেলে ডিউটিরত এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার নিজেই কাটা পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন ৷ এরপর সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন৷

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজাপুর হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার যখন ডিউটিতে থাকে তখন হাসপাতালে আসা কাটা-ছেঁড়ার সব রোগীদের  কাছ থেকে জোরপূর্বক সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা নেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সেলাই দেওয়ার ৩দিন পর পূনরায় হাসপাতালে ব্যান্ডিস খুলে সেলাই স্থান পরিস্কার করার জন্য হাসপাতালে আসলে তখনও রোগীদের তাকে টাকা দিতে হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী মিনারা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সন্ধ্যার পরে সাংবাদিক নাইম ভাই তার মা’কে নিয়ে হাসপাতালে আসে এরপর ওখানের ডিউটিতে থাকা একজন (এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার) সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেওয়ার টাকা চায়। যদি আমার কাছে টাকা চাইতো তাহলে আমি তাকে জুতাপিটা করতাম ৷ তিনি তো কিছু করলো না। সরকারি হাসপাতাল সব কিছু ফ্রি সেখানে আবার টাকা দিতে হবে কেনো। তাদের কাজের জন্য সরকার বেতন দিচ্ছে তারপরও কেনো সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসলে টাকা দিতে হবে। একজন সাংবাদিককে যদি সরকারি হাসপাতালে এসেও টাকা দিতে হয়। তাহলে আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের কি অবস্থা হয়। তারা কতটা হয়রানির শিকার হয় বুঝেন এবার।

 

এবিষয়ে সংবাদকর্মী মো. নাঈম বলেন, আম্মুর পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডিউটিরত এসিস্ট্যান্ট পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেন। এর বিনিময়ে টাকা দাবি করেন তখন তাকে সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা নিয়ম সবাই টাকা দেয়।

 

তিনি আরও বলেন, আমার আম্মুর আগে যে রোগী ছিলো তার কাছ থেকেও এই বিবেক সিকদার টাকা নিছেন। তিনি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় এরকম রোগীদের থেকে টাকা নেন। ইমারজেন্সী রুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যাবে।

 

এবিষয়ে অভিযুক্ত এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদারের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে ডাঃ রাসেলের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে তিনি জানান খুশি হয়ে অনেকেই টাকা দেয়।

 

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে বলে তাকে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক জানিয়েছেন। যদিও তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ না। এখনও তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। ঘটনা শুনে একজন আর এম ও কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সি সি টিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদে বিবেক শিকদার ঘটনা অস্বীকার করেছে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এবিষয়ে ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম জহিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে হার পাওয়ার প্রকল্পের স্টুডেন্টদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ

রাজাপুর সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য এসিস্ট্যান্টকে দিতে হয় টাকা

আপডেট সময় ১২:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

 

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসিস্ট্যান্ট অফিসার বিবেক সিকদারের বিরুদ্ধে।

 

রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মায়ের পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে রাজাপুর হাসপাতালের ইমারজেন্সী রুমে গেলে ডিউটিরত এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার নিজেই কাটা পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন ৷ এরপর সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন৷

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজাপুর হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার যখন ডিউটিতে থাকে তখন হাসপাতালে আসা কাটা-ছেঁড়ার সব রোগীদের  কাছ থেকে জোরপূর্বক সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা নেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সেলাই দেওয়ার ৩দিন পর পূনরায় হাসপাতালে ব্যান্ডিস খুলে সেলাই স্থান পরিস্কার করার জন্য হাসপাতালে আসলে তখনও রোগীদের তাকে টাকা দিতে হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী মিনারা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সন্ধ্যার পরে সাংবাদিক নাইম ভাই তার মা’কে নিয়ে হাসপাতালে আসে এরপর ওখানের ডিউটিতে থাকা একজন (এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদার) সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেওয়ার টাকা চায়। যদি আমার কাছে টাকা চাইতো তাহলে আমি তাকে জুতাপিটা করতাম ৷ তিনি তো কিছু করলো না। সরকারি হাসপাতাল সব কিছু ফ্রি সেখানে আবার টাকা দিতে হবে কেনো। তাদের কাজের জন্য সরকার বেতন দিচ্ছে তারপরও কেনো সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসলে টাকা দিতে হবে। একজন সাংবাদিককে যদি সরকারি হাসপাতালে এসেও টাকা দিতে হয়। তাহলে আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের কি অবস্থা হয়। তারা কতটা হয়রানির শিকার হয় বুঝেন এবার।

 

এবিষয়ে সংবাদকর্মী মো. নাঈম বলেন, আম্মুর পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডিউটিরত এসিস্ট্যান্ট পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেন। এর বিনিময়ে টাকা দাবি করেন তখন তাকে সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা নিয়ম সবাই টাকা দেয়।

 

তিনি আরও বলেন, আমার আম্মুর আগে যে রোগী ছিলো তার কাছ থেকেও এই বিবেক সিকদার টাকা নিছেন। তিনি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় এরকম রোগীদের থেকে টাকা নেন। ইমারজেন্সী রুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যাবে।

 

এবিষয়ে অভিযুক্ত এসিস্ট্যান্ট বিবেক সিকদারের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে ডাঃ রাসেলের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে তিনি জানান খুশি হয়ে অনেকেই টাকা দেয়।

 

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে বলে তাকে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক জানিয়েছেন। যদিও তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ না। এখনও তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। ঘটনা শুনে একজন আর এম ও কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সি সি টিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদে বিবেক শিকদার ঘটনা অস্বীকার করেছে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এবিষয়ে ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম জহিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।