বাংলাদেশ ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পনেরোদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হল। বৈশাখীমেলার শেষদিনে কবি, ফোকলোরবিদ ও গবেষক ড. আমিনুর রহমান সুলতানের সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে তিনটায় ময়ূরপঙ্খী লোকজ মঞ্চে “বাংলাদেশের আঞ্চলিক গানের বৈচিত্র্য” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গবেষক শাহেদ কায়েস।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক চিত্রশিল্পী এএকেএম আজাদ সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কবি ও কথাসাহিত্যিক পিয়াস মজিদ। সেমিনার শেষে শুরু হয় মন মাতানো বাউল গানের আসর। প্রচুর দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল মেলায়। মঞ্চের সামনে পরিপূর্ণ ছিল পেন্ডেল। অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত বাউল শিল্পী কাজল দেওয়ান, আক্কাস দেওয়ান, উজ্জ্বল দেওয়ান ও স্মৃতি দেওয়ান।

মঙ্গল শোভাযাত্রা, সেমিনার, গ্রামবাংলা ও বৈশাখী উৎসব শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গ্রামীণ খেলা ও জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এবারের মেলায়। বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পগ্রামে ‘লোক ও কারুশিল্প চর্চা চত্বর’ উদ্বোধন। সেখানে নকশিকাঁথা, নকশি পাখা, পাটশিল্পের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে মেলা কর্তৃপক্ষ।

বৈশাখী মেলায় গ্রামবাংলার কারুশিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহীর শখের হাঁড়ির শিল্পী সুশান্ত কুমার পাল, দারুশিল্পী আব্দুল আউয়াল মোল্লা, বীরেন্দ্র সূত্রধর, নকশিকাঁথা শিল্পী হোসনে আরা বেগম, বাঁশ-বেতের শিল্পী পরেশ চন্দ্র দাস, হাতপাখা শিল্পী বাসন্তী সূত্রধর, শোলাশিল্পী নিখিল মালাকার, রিকশা ও রিকশাচিত্র শিল্পী এস এ মালেক, জামদানি শিল্পী ইব্রাহিম, ঝিনুকশিল্পী মো. নূরুল ইসলাম, শতরঞ্জিশিল্পী আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে। এরমধ্যে কিছু উদ্যোগতাও অংশগ্রহণ করেন মেলায়। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, এবার পক্ষকালব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক ছিল। প্রতিদিনই লোকজ মঞ্চে বিষয়ভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, এবং এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পালাগান, মালজোড়া গান, কবিগান, বাউলগান, পালকির গান, কিচ্ছা গান, ভাটিয়ালি, মাইজভাণ্ডারী, লালন, হাছন রাজা, আঞ্চলিক গান ও জারি-সারিগানের আসরের আয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি যোগদান করার পর ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত শিল্পীদের এনে যথার্থভাবে সম্মানিত করতে এবং মৃতপ্রায় শিল্পগুলোকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন শিল্পী তৈরি করতে।

সোনারগাঁয়ের সন্তান কবি শাহেদ কায়েস তাঁর বক্তব্যে বলেন, এবার বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে একজন যোগ্য পরিচালক এসেছেন, যিনি নিজে দীর্ঘদিন যাবত লোক ও কারুশিল্প নিয়ে গবেষণা করছেন এবং দেশের তৃনমূল পর্যায়ের লোক ও কারু শিল্পীদের সঙ্গে যার রয়েছে প্রাণের যোগ। আমি প্রত্যাশা করছি, ড. আমিনুর রহমান সুলতান-এর নেতৃত্বে এই ফাউন্ডেশন নিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটবে।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

আপডেট সময় ০৯:০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পনেরোদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হল। বৈশাখীমেলার শেষদিনে কবি, ফোকলোরবিদ ও গবেষক ড. আমিনুর রহমান সুলতানের সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে তিনটায় ময়ূরপঙ্খী লোকজ মঞ্চে “বাংলাদেশের আঞ্চলিক গানের বৈচিত্র্য” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গবেষক শাহেদ কায়েস।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক চিত্রশিল্পী এএকেএম আজাদ সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কবি ও কথাসাহিত্যিক পিয়াস মজিদ। সেমিনার শেষে শুরু হয় মন মাতানো বাউল গানের আসর। প্রচুর দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল মেলায়। মঞ্চের সামনে পরিপূর্ণ ছিল পেন্ডেল। অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত বাউল শিল্পী কাজল দেওয়ান, আক্কাস দেওয়ান, উজ্জ্বল দেওয়ান ও স্মৃতি দেওয়ান।

মঙ্গল শোভাযাত্রা, সেমিনার, গ্রামবাংলা ও বৈশাখী উৎসব শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গ্রামীণ খেলা ও জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এবারের মেলায়। বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পগ্রামে ‘লোক ও কারুশিল্প চর্চা চত্বর’ উদ্বোধন। সেখানে নকশিকাঁথা, নকশি পাখা, পাটশিল্পের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে মেলা কর্তৃপক্ষ।

বৈশাখী মেলায় গ্রামবাংলার কারুশিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহীর শখের হাঁড়ির শিল্পী সুশান্ত কুমার পাল, দারুশিল্পী আব্দুল আউয়াল মোল্লা, বীরেন্দ্র সূত্রধর, নকশিকাঁথা শিল্পী হোসনে আরা বেগম, বাঁশ-বেতের শিল্পী পরেশ চন্দ্র দাস, হাতপাখা শিল্পী বাসন্তী সূত্রধর, শোলাশিল্পী নিখিল মালাকার, রিকশা ও রিকশাচিত্র শিল্পী এস এ মালেক, জামদানি শিল্পী ইব্রাহিম, ঝিনুকশিল্পী মো. নূরুল ইসলাম, শতরঞ্জিশিল্পী আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে। এরমধ্যে কিছু উদ্যোগতাও অংশগ্রহণ করেন মেলায়। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, এবার পক্ষকালব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক ছিল। প্রতিদিনই লোকজ মঞ্চে বিষয়ভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, এবং এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পালাগান, মালজোড়া গান, কবিগান, বাউলগান, পালকির গান, কিচ্ছা গান, ভাটিয়ালি, মাইজভাণ্ডারী, লালন, হাছন রাজা, আঞ্চলিক গান ও জারি-সারিগানের আসরের আয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি যোগদান করার পর ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত শিল্পীদের এনে যথার্থভাবে সম্মানিত করতে এবং মৃতপ্রায় শিল্পগুলোকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন শিল্পী তৈরি করতে।

সোনারগাঁয়ের সন্তান কবি শাহেদ কায়েস তাঁর বক্তব্যে বলেন, এবার বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে একজন যোগ্য পরিচালক এসেছেন, যিনি নিজে দীর্ঘদিন যাবত লোক ও কারুশিল্প নিয়ে গবেষণা করছেন এবং দেশের তৃনমূল পর্যায়ের লোক ও কারু শিল্পীদের সঙ্গে যার রয়েছে প্রাণের যোগ। আমি প্রত্যাশা করছি, ড. আমিনুর রহমান সুলতান-এর নেতৃত্বে এই ফাউন্ডেশন নিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটবে।