বাংলাদেশ ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে এসআই

পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে এসআই

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

পঞ্চগড়ে বিধবার ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় ভাসুরের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আব্দুল জলিল ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিলো তার। সে সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন পুলিশ সদস্য জলিল।

 

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আব্দুল জলিল।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত অবস্থায় বাদীনির দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান। সেখানে গিয়েই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আব্দুল জলিল অসংখ্যবার তাকে ধর্ষণ করেন। ওই মামলায় এসআই জলিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, এসআই আব্দুল জলিল বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। এজন্য তার ব্যাপারে বর্তমানে আমার কিছুই জানা নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে এসআই

আপডেট সময় ১০:২৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

পঞ্চগড়ে বিধবার ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় ভাসুরের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আব্দুল জলিল ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিলো তার। সে সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন পুলিশ সদস্য জলিল।

 

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আব্দুল জলিল।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত অবস্থায় বাদীনির দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান। সেখানে গিয়েই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আব্দুল জলিল অসংখ্যবার তাকে ধর্ষণ করেন। ওই মামলায় এসআই জলিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, এসআই আব্দুল জলিল বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। এজন্য তার ব্যাপারে বর্তমানে আমার কিছুই জানা নেই।