![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানা এলাকা হতে আমির গ্রুপের লীডার ‘মোঃ আমির (৩২)’ সহ মোট ০৯ সদস্য গ্রেফতার।
বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সি ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সাথে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিনত হয়েছে। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্থিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোট খাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি- মারামারি করে।
এছাড়াও তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্যান্য গ্রুপের সাথে প্রায়সই কোন্দলে লিপ্ত থাকে। তাদের এই ধরনের চলাফেরার কারণে সাধারণ লোকজন তাদের অনেকটাই এড়িয়ে চলে। এই এড়ানোর বিষয়টিকে তারা তাদের ক্ষমতা হিসেবে ভাবে এবং কোন ঘটনায় কেউ কোন প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা জাহির করতে মারামারি করাসহ অনেক সময় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর গোয়েন্দা অনুসন্ধানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন এলাকায় কতিপয় কিশোর গ্যাং এর কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্থারের নামে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে আসছে। তারা মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে।
এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাং এর বিপথগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আমির গ্রুপের লীডার ‘মোঃ আমির (৩২)’ সহ মোট ০৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে ছোট ছোট দলে দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ দাপট এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জনমনে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই সকল কার্যক্রম দ্বারা অর্থের বিনিময়ে অন্য লোকের হয়ে সহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়াও তারা নগরীর বিভিন্ন স্পটে মাদক সেবন ও কেনাবেচার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ছোট ছোট গ্রুপ লিডার হয়ে পরিকল্পিতভাবে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রসস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে থাকে বলে তারা স্বীকার করে। কিশোর গ্যাং এর বিপদগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ধৃত আসামী কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। –বার্তা প্রেরক– অনাবিল ইমাম মেজর উপ-পরিচালক কোম্পানী কমান্ডার র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ।