মোঃরিফাত ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুরঃ
মােছাঃ নিলুফার সুলতানা, জাতীয় পরিচয়পত্র। ২৯১৬২২৭৮৫৩০৫৭, কাজী কড়িয়াল গ্রামের গৃহবধু, আমার স্বামী মৃত কাজী নজরুল ইসলাম, পিতা মৃত কাজী আনােয়ারুল ইসলাম, সাং- কাজী কড়িয়াল, থানা- নগরকান্দা, জেলা ফরিদপুর। আমার একমাত্র ছেলে কাজী মেহেরাব ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে কাজী মাবিয়া ইসলাম বর্তমানে আমার সাথে বসবাস করে।
আমার স্বামী মৃত কাজী নজরুল ইসলাম এর নিজ নামে শ্ৰীরামদিয়া মৌজায় এস,এ দাগ নং- ২১৫, ২১৭, ২১৮, ২১৯ ও আর,এস দাগ- ২০২ এর কাতে মােট ৩১ শতক জমি খরিদ করেন এবং তৎসময় হইতে চাষাবাদ করিয়া আসিতেছিলেন। কাজী গােলাম মর্তুজার অনুরােধে আমি এবং আমার নিজ দেবর কাজী কাউসার, কাজী নাইমুল ইসলাম ও গ্রামের কাজী সেলিম ও আরও দুই একজনকে নিয়ে পারিবারিকভাবে সমঝোতা করি।
উক্ত সমঝােতা হইল এওয়াজ বদল রিতি অনুযায়ী যে ঐ বিক্রিত সম্পত্তির বিপরীতে গােলাম মর্তুজা গং এর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মূল বাড়ির বিল্ডিং সহ মােট ৩১ শতক জমি আমাকে দিনে এই মর্মে বলেন যে আদালতের আশ্রয় না নিতে। বাড়ির তফসিল। যাহা ভাগে দখলে আছি বি.এস খতিয়ান- ৪৩১ এর বি.এস সাগ- ৮২০, জমি- ৪৩ শতাংশ, বি,এস দাগ- ৮১৯, জমি- ৬ শতাংশ, বি,এস দাগ৮২১, জমি- ৩০ শতাংশ, বি.এস দাগ- ৮২২, জমি- ৪৮ শতাংশ, বি,এস দাগ৮২৩ (বাড়ি), জমি- ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে কাজী গােলাম মর্তুজার গং এর ২৯ শতাংশ, উক্ত ২৯ শতক এর জমি কাজী কড়িয়াল গ্রামের বসত ভিটা, পুকুর পাড়, দালান অস্থাবর স্থাবর জমি এওয়াজ বদল দিয়া চলে যান।
উক্ত জমি শ্রীরামদিয়া ১৬৯ মৌজায় ৩১ শতাংশ (নালিশী সম্পতি) জমির বিনিময়ে দিয়েছেন, যেখানে আমি দীর্ঘ বৎসর যাবৎ ভােগদখল থাকা অবস্থায় গতকাল গ্রামের সাজাহান কাজী, পিতা- কাজী হাসেম, শ্রীরামদিয়া গ্রামের লিটন মােল্লা, পিতা- মৃত লাল মােল্যা, এই মর্মে আমাদের লােক সফি কে জানায় কাল সকালে রুম ছেড়ে দিতে ও বাড়ি থেকে চলে যেতে। তা না হলে খবর আছে। সাজাহান কাজী হুমকি দেয় যে এই বাড়িতে থাকতে হলে তাকে এবং তার সঙ্গী লিটন মােল্লাকে টাকা দিতে হবে এবং আমার ছেলে সহ তার আপন চাচাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
উক্ত জমি জনাব কাজী গােলাম মর্তুজা গং আমার স্বামীর আপন চাচাত ভাই পারিবারিক জমাজমির রেকর্ড ও খাজনা পাতি দেওয়া মতুর্জা সাহেব করিতেন। বিগত বি.এস জরিপে তিনি নিজ ও ভাইদের নামে রেকর্ড করিয়া তিনি উক্ত জমি কোম্পানির নিকট বিক্রি করিয়া দেন।