বাংলাদেশ ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতাদের সম্পর্কে সাংসদ একরাম  যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা লুটেপুটে সব খেয়ে ফেলছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতাদের সম্পর্কে সাংসদ একরাম  যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা লুটেপুটে সব খেয়ে ফেলছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি-
নিজ জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে আবারও তির্যক মন্তব্য করছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষকদের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির প্রথম সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে ধবংশের পথে ফেলানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কি কারণে করা হয়েছে তাও জানিনা। কিন্তু এইটুকু বুঝি যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা নোয়াখালীতে লুটেপুটে সব খেয়ে ফেলছে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে ইঙ্গিত করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বিশেষ করে আপনাদের পিয়ন, প্রত্যেকটা স্কুলের পিনয় নিয়োগে তিন লাখ, চার লাখ, পাঁচ লাখ টাকা করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘুষ খেয়ে খেয়ে চাকরিগুলা দেওয়া হয়েছে। একটা গরীব লোক তিনলাখ টাকার বিনিময়ে যদি চাকরি নেয়, তখন ওই পিয়নের ওই টাকা দিয়ে তার চলবে না, সে তখন ধানাইপানাই করে। স্কুলে ঠিকমতো পিয়নগিরিও করে না, শিক্ষকদের কথাও শুনে না।

 

এ সময় যেসব পিনয় (চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী) ঠিকমতো স্কুলের কাজ করেনা, শিক্ষকদের কথা শুনেনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা প্রাথমিক অফিসারকে নির্দেশনা দেন এমপি একরামুল করিম।

মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আনম সেলিমকে অত্যাচারী উল্লেখ করে সাংসদ একরাম বলেন, সুবর্ণচরে আমাদের আওয়ামী লীগের আহবায়ক, এখানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এদের অত্যাচারে মানুষ, তারা মনে করে তারা অনেক জনপ্রিয়, মোটেও না এই অঞ্চলের মানুষগুলো তাদেরকে পছন্দ করেনা এটা হলো বাস্তবতা।

নিজেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের সমলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একরাম চৌধুরী খেতে আসিনি। সরকারের উপকারে এসেছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন, আপনারা নিজেরাই জানেন কারা আমাকে ব্যবহার করে বড়লোক হয়েছে। আর এখন বলা হয় আমি নাকি পারসেনটেজ নিতাম। আরে পারসেনটেজ নিলেতো ওগুলো আপনারা, আমিতো কোনদিন কোন ডিপাটমেন্টে যায়নি, কেউ বলতে পারবে না। আর আমার বিরুদ্ধেতো কোনদিন কোন মিছিল বের হয়নি টেন্ডারবাজির জন্য। টেন্ডারবাজির জন্য কার বিরুদ্ধে কে মিছিল করছে নোয়াখালীর মানুষ সবই জানে।

 

এ ব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আমার হাতে  কোনো নিয়োগ হয়নি। বরঞ্চ এসব নিয়োগ বোর্ডে সাংসদের প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। যদি ঘুষ নেওয়া হয় তাহলে তার (সাংসদ একরামের) লোকজন নিয়েছে।

নিজের বিরুদ্ধে সাংসদ একরামের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, উনি (সাংসদ একরাম) যখন বলেছেন আমার জনপ্রিয়তা নাই, নাইতো। এখন আমি কি করতে পারি।

এর আগে গত ১৭ মার্চ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দলে বিবেদ সৃষ্টিকারী, টেন্ডারবাজ এবং মনোনয়ন বাণিজ্যকারীদের লাগাম টেনে ধরতে বলেছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সামনে এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখনও লাগাম ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের, জেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচান। কারণ সবার আঙ্গুল কিন্তু আপনার দিকে। আমি আপনাকে বলি কাদের ভাই বাবার পরে আপনাকে স্থান দিয়েছি, এখন ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতাদের সম্পর্কে সাংসদ একরাম  যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা লুটেপুটে সব খেয়ে ফেলছে

আপডেট সময় ০৭:০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি-
নিজ জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে আবারও তির্যক মন্তব্য করছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষকদের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির প্রথম সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে ধবংশের পথে ফেলানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কি কারণে করা হয়েছে তাও জানিনা। কিন্তু এইটুকু বুঝি যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা নোয়াখালীতে লুটেপুটে সব খেয়ে ফেলছে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে ইঙ্গিত করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বিশেষ করে আপনাদের পিয়ন, প্রত্যেকটা স্কুলের পিনয় নিয়োগে তিন লাখ, চার লাখ, পাঁচ লাখ টাকা করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘুষ খেয়ে খেয়ে চাকরিগুলা দেওয়া হয়েছে। একটা গরীব লোক তিনলাখ টাকার বিনিময়ে যদি চাকরি নেয়, তখন ওই পিয়নের ওই টাকা দিয়ে তার চলবে না, সে তখন ধানাইপানাই করে। স্কুলে ঠিকমতো পিয়নগিরিও করে না, শিক্ষকদের কথাও শুনে না।

 

এ সময় যেসব পিনয় (চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী) ঠিকমতো স্কুলের কাজ করেনা, শিক্ষকদের কথা শুনেনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা প্রাথমিক অফিসারকে নির্দেশনা দেন এমপি একরামুল করিম।

মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আনম সেলিমকে অত্যাচারী উল্লেখ করে সাংসদ একরাম বলেন, সুবর্ণচরে আমাদের আওয়ামী লীগের আহবায়ক, এখানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এদের অত্যাচারে মানুষ, তারা মনে করে তারা অনেক জনপ্রিয়, মোটেও না এই অঞ্চলের মানুষগুলো তাদেরকে পছন্দ করেনা এটা হলো বাস্তবতা।

নিজেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের সমলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একরাম চৌধুরী খেতে আসিনি। সরকারের উপকারে এসেছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন, আপনারা নিজেরাই জানেন কারা আমাকে ব্যবহার করে বড়লোক হয়েছে। আর এখন বলা হয় আমি নাকি পারসেনটেজ নিতাম। আরে পারসেনটেজ নিলেতো ওগুলো আপনারা, আমিতো কোনদিন কোন ডিপাটমেন্টে যায়নি, কেউ বলতে পারবে না। আর আমার বিরুদ্ধেতো কোনদিন কোন মিছিল বের হয়নি টেন্ডারবাজির জন্য। টেন্ডারবাজির জন্য কার বিরুদ্ধে কে মিছিল করছে নোয়াখালীর মানুষ সবই জানে।

 

এ ব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আমার হাতে  কোনো নিয়োগ হয়নি। বরঞ্চ এসব নিয়োগ বোর্ডে সাংসদের প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। যদি ঘুষ নেওয়া হয় তাহলে তার (সাংসদ একরামের) লোকজন নিয়েছে।

নিজের বিরুদ্ধে সাংসদ একরামের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, উনি (সাংসদ একরাম) যখন বলেছেন আমার জনপ্রিয়তা নাই, নাইতো। এখন আমি কি করতে পারি।

এর আগে গত ১৭ মার্চ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দলে বিবেদ সৃষ্টিকারী, টেন্ডারবাজ এবং মনোনয়ন বাণিজ্যকারীদের লাগাম টেনে ধরতে বলেছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সামনে এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখনও লাগাম ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের, জেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচান। কারণ সবার আঙ্গুল কিন্তু আপনার দিকে। আমি আপনাকে বলি কাদের ভাই বাবার পরে আপনাকে স্থান দিয়েছি, এখন ধরে রাখার চেষ্টা করেন।