বাংলাদেশ ০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

কাউনিয়ার মজিদুলকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা

কাউনিয়ার মজিদুলকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা

সাইদুল ইসলাম রংপুর:
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অসহায় মজিদুল ইসলাম ।
পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছেন মজিদুল। সংসারে একটি ফুটফুটে ৫ বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে মজিদুল চাকুরি করতেন একটি বেসরকারি এনজিও তে। স্ত্রী-সন্তান ভাই আর মা-বাবাকে নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তার  সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই গত বছরের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মজিদুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে কিডনি রোগ ধরা পড়েছে।
সেই থেকে হাসপাতালে যাওয়া-আসা করতেই কেটে গেছে কয়েক মাস। এখন দিনমজুর বাবার জমানো কিছু টাকা প্রতিবেশীর দেওয়া সাহায্য আর মজিদুলের কর্মস্থল থেকে দেওয়া সহযোগিতার অর্থে কোনো রকমে চলছে চিকিৎসা। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা না হওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।
মজিদুলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। সংসারের খরচ চালাতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে  দিনমজুর বাবা আলতাফ হোসেন এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসা। এজন্য ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আকুতি জানিয়েছে অসহায় দিনমজুর বাবা ও তার পরিবারটি।
৩০ বছর বয়সী মজিদুল ইসলাম রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভূতছাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দারিদ্র্য ও অর্থাভাবের মধ্যেও মজিদুল ইসলাম পড়াশোনা করেছেন। স্থানীয় সাব্দী সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে ২০১৪ সালে টিএমএসএস নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি নেন। তার কর্মস্থল ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর শাখায়। কিন্তু কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মস্থলে দীর্ঘ বিরতির কারণে তার সেই চাকরিটাও এখন হাতছাড়া।
বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ এ বি এম মোবাশ্বের মজিদুলের একটি কিডনি ট্রান্সফার (সংযোজন) ও নিয়ম মতো ডায়্যালাইসিস করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এজন্য সব মিলে খরচ হবে ৮-১০ লাখ টাকা।
এদিকে ছেলের চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বাবা আলতাফ হোসেন ও তার পরিবার। দিনমজুর এই বাবা বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে মজিদুলের কিডনি ডায়্যালাইসিস করে আসছি। প্রতি সপ্তাহে ডায়্যালাইসিস করতে করতে অনেক টাকা লাগে। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব? যে টাকা ছিল এই কয়েক মাসে তা শেষ হয়ে গেছে। এখন ছেলের চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকারসহ সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে আকুল আবেদন জানাই, আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে সবাই সহযোগিতা করেন।
মজিদুলের স্ত্রী আরিফা বেগম বলেন, আমাদের সামর্থ্য নেই। আল্লাহ্ ছাড়া কেউ আমাদের কষ্ট বুঝবে না। এখন স্বামী-সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইছি। যদি সমাজের বিত্তবান মানুষরা এগিয়ে আসেন, তাহলে আমার স্বামীর কিডনী সংযোজন করা সম্ভব হবে।
মজিদুলের ছোট ভাই মোকছেদুল ইসলাম বলেন প্রতি সপ্তাহে যখন হাসপাতালে ডায়্যালাইসিস করতে নিয়ে যাই। ভাই তখন আমার দিকে চেয়ে বলে আমার জন্য কিছু কর। কিন্তু আমাদের পরিবারের তো একসঙ্গে ৮-১০ লাখ জোগাড় করা সম্ভব নয়। এজন্য এখন গ্রামবাসী থেকে শুরু করে সারাদেশের মানুষের কাছে ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে ভিক্ষা চাইছি।
শহীদবাগ ইউপি সদস্য পল্লী চিকিৎসক ডাঃ রোস্তম আলী বলেন মজিদুল কে আমি ব্যক্তিগত ভাবো চিনি সে খুব শান্ত  প্রকৃতির ছেলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মজিদুলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছি। কিছু দিন আগে গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে কিডনি রোগে আক্রান্ত মজিদুলের সুচিকিৎসা করা যাবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ডাঃ এ বি এম মোবাশ্বের আলম
জানান, কিডনির শেষ চিকিৎসা কিডনি সংযোজন ও ডায়্যালাইসিস। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিডনি রোগের একটা ভীষণ খারাপ দিক হলো, প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। এটা হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগ বাড়িয়ে দেয়। তাই যত দ্রুত কিডনি সংযোজন করা যায়, রোগীর জন্য ততই ভালো।
মজিদুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে অথবা সরাসরি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ০১৭৭৬৮২৭৯০৮ এই নম্বরে সহায়তা পাঠাতে পারবেন। মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ব্যাংক একাউন্ট 5009601019175 সোনালী ব্যাংক কাউনিয়া শাখা, রংপুর। 
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

কাউনিয়ার মজিদুলকে বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা

আপডেট সময় ১১:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
সাইদুল ইসলাম রংপুর:
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অসহায় মজিদুল ইসলাম ।
পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছেন মজিদুল। সংসারে একটি ফুটফুটে ৫ বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে মজিদুল চাকুরি করতেন একটি বেসরকারি এনজিও তে। স্ত্রী-সন্তান ভাই আর মা-বাবাকে নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তার  সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই গত বছরের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মজিদুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে কিডনি রোগ ধরা পড়েছে।
সেই থেকে হাসপাতালে যাওয়া-আসা করতেই কেটে গেছে কয়েক মাস। এখন দিনমজুর বাবার জমানো কিছু টাকা প্রতিবেশীর দেওয়া সাহায্য আর মজিদুলের কর্মস্থল থেকে দেওয়া সহযোগিতার অর্থে কোনো রকমে চলছে চিকিৎসা। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা না হওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।
মজিদুলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। সংসারের খরচ চালাতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে  দিনমজুর বাবা আলতাফ হোসেন এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসা। এজন্য ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আকুতি জানিয়েছে অসহায় দিনমজুর বাবা ও তার পরিবারটি।
৩০ বছর বয়সী মজিদুল ইসলাম রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভূতছাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দারিদ্র্য ও অর্থাভাবের মধ্যেও মজিদুল ইসলাম পড়াশোনা করেছেন। স্থানীয় সাব্দী সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে ২০১৪ সালে টিএমএসএস নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি নেন। তার কর্মস্থল ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর শাখায়। কিন্তু কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মস্থলে দীর্ঘ বিরতির কারণে তার সেই চাকরিটাও এখন হাতছাড়া।
বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ এ বি এম মোবাশ্বের মজিদুলের একটি কিডনি ট্রান্সফার (সংযোজন) ও নিয়ম মতো ডায়্যালাইসিস করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এজন্য সব মিলে খরচ হবে ৮-১০ লাখ টাকা।
এদিকে ছেলের চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বাবা আলতাফ হোসেন ও তার পরিবার। দিনমজুর এই বাবা বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে মজিদুলের কিডনি ডায়্যালাইসিস করে আসছি। প্রতি সপ্তাহে ডায়্যালাইসিস করতে করতে অনেক টাকা লাগে। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব? যে টাকা ছিল এই কয়েক মাসে তা শেষ হয়ে গেছে। এখন ছেলের চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকারসহ সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে আকুল আবেদন জানাই, আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে সবাই সহযোগিতা করেন।
মজিদুলের স্ত্রী আরিফা বেগম বলেন, আমাদের সামর্থ্য নেই। আল্লাহ্ ছাড়া কেউ আমাদের কষ্ট বুঝবে না। এখন স্বামী-সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইছি। যদি সমাজের বিত্তবান মানুষরা এগিয়ে আসেন, তাহলে আমার স্বামীর কিডনী সংযোজন করা সম্ভব হবে।
মজিদুলের ছোট ভাই মোকছেদুল ইসলাম বলেন প্রতি সপ্তাহে যখন হাসপাতালে ডায়্যালাইসিস করতে নিয়ে যাই। ভাই তখন আমার দিকে চেয়ে বলে আমার জন্য কিছু কর। কিন্তু আমাদের পরিবারের তো একসঙ্গে ৮-১০ লাখ জোগাড় করা সম্ভব নয়। এজন্য এখন গ্রামবাসী থেকে শুরু করে সারাদেশের মানুষের কাছে ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে ভিক্ষা চাইছি।
শহীদবাগ ইউপি সদস্য পল্লী চিকিৎসক ডাঃ রোস্তম আলী বলেন মজিদুল কে আমি ব্যক্তিগত ভাবো চিনি সে খুব শান্ত  প্রকৃতির ছেলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মজিদুলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছি। কিছু দিন আগে গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে কিডনি রোগে আক্রান্ত মজিদুলের সুচিকিৎসা করা যাবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ডাঃ এ বি এম মোবাশ্বের আলম
জানান, কিডনির শেষ চিকিৎসা কিডনি সংযোজন ও ডায়্যালাইসিস। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিডনি রোগের একটা ভীষণ খারাপ দিক হলো, প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। এটা হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগ বাড়িয়ে দেয়। তাই যত দ্রুত কিডনি সংযোজন করা যায়, রোগীর জন্য ততই ভালো।
মজিদুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে অথবা সরাসরি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ০১৭৭৬৮২৭৯০৮ এই নম্বরে সহায়তা পাঠাতে পারবেন। মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ব্যাংক একাউন্ট 5009601019175 সোনালী ব্যাংক কাউনিয়া শাখা, রংপুর।