বাংলাদেশ ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদকে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা সহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৪০ বার পড়া হয়েছে

মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদকে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা সহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীকে মুক্তিপণের টাকা সহ রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে অদ্যাবধি জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও প্রতারকচক্র গ্রেফতারে সদা তৎপর রয়েছে। এছাড়াও সা¤প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে আটক করে আইনের আওতায় এনে সাধারণ জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব।

যেখানেই মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নির্যাতন অথবা অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেছে, র‌্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।

 

গত ১০ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামি’আ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত মাদ্রাসাছাত্র মোঃ তাওহীদ ইসলাম (১০) নিখোঁজ হয়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায় ঐদিন রাত আনুমানিক ০৯:২০ ঘটিকায় অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে জানায় যে, সে ভিকটিম তাওহীদকে অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপন হিসেবে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দাবী করে।

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে; যার মামলা নং-৩৩/৯৫ তারিখ ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২৪। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা তার ছেলেকে উদ্ধারে র‌্যাবের নিকটও অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী কেরাণীগঞ্জের পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্র মোঃ তাওহীদ ইসলাম কে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মোঃ মকবুল হোসেন (৩৭), পিতা-আলী হোসেন, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা মুক্তিপনের ২,৯০,০০০/- টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত উক্ত অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভিকটিমের পরিবার ও গ্রেফতারকৃত মকবুল একই এলাকায় বসবাস করতো এবং কিছুদিন পূর্বে গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেছে বলে জানায়। একই এলাকায় বসবাস এবং বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাধে ভিকটিমের পরিবারের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ভিকটিম তাওহীদের বাবা একজন প্রবাসী। তাওহীদ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশুনা করতো। যার ফলে সে সকালে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হতো এবং বাসায় ফিরতে প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে যেতো।

গ্রেফতারকৃত মকবুল এর ধারণা ছিল যে, ভিকটিমের বাবা প্রবাসী তাই ভিকটিমকে অপহরণ করলে মোটা অংকের মুক্তিপন আদায় করা যাবে। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত মকবুল অল্পসময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় প্রায় ০৬ মাস যাবৎ ভিকটিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আসছিল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিম তাওহীদ মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথিমধ্যে ভিকটিমের বাড়ীর রাস্তার পাশে ওৎ পেতে থাকে।

এসময় ভিকটিম মাদ্রাসা থেকে আনুমানিক রাত ২০:৪০ ঘটিকার সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র পূর্বহতে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে উক্ত এলাকার নিকটস্থ একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার হাত, পা ও মুখ বেধে রাখে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মকবুল পূর্বে ক্রয়কৃত তার মোবাইল কৌশলে ভিকটিমের বাসায় রেখে আসে। গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের বাসায় রেখে আসা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণের বিষয়টি জানায় এবং ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এসময় মুক্তিপণের টাকা না দিলে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিলে ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মুখের বাঁধন খুলে গেলে ভিকটিম ডাক-চিৎকার করলে গ্রেফতারকৃত মকবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম তাওহীদের মুখ ও গলা মাফলার দিয়ে পেচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং ভিকটিমের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকার নিকটস্থ একটি সেইফটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রেখে দ্রæত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

গত ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ সকালে গ্রেফতারকৃত মকবুল মুক্তিপণের টাকা নিয়ে প্রথমে আব্দুল্লাহপুর বাজারে, সেখান থেকে রাজেন্দ্রপুর, তারপর রসুলপুর আসতে বলে এভাবে ভিকটিমের মামাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে।

সর্বশেষ একই দিন আনুমানিক সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের মামা গ্রেফতারকৃত মকবুলের কথা মত ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের ফুটওভার ব্রিজের উপরে ৪নং পিলারের গোড়ায় নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা রেখে আসে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মকবুল মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পোস্তগোলা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলে অবস্থাকালীন সময় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদকে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা সহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

আপডেট সময় ০৩:৩৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীকে মুক্তিপণের টাকা সহ রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে অদ্যাবধি জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও প্রতারকচক্র গ্রেফতারে সদা তৎপর রয়েছে। এছাড়াও সা¤প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে আটক করে আইনের আওতায় এনে সাধারণ জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব।

যেখানেই মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নির্যাতন অথবা অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেছে, র‌্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।

 

গত ১০ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামি’আ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত মাদ্রাসাছাত্র মোঃ তাওহীদ ইসলাম (১০) নিখোঁজ হয়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায় ঐদিন রাত আনুমানিক ০৯:২০ ঘটিকায় অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে জানায় যে, সে ভিকটিম তাওহীদকে অপহরণ করেছে এবং মুক্তিপন হিসেবে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দাবী করে।

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে; যার মামলা নং-৩৩/৯৫ তারিখ ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২৪। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা তার ছেলেকে উদ্ধারে র‌্যাবের নিকটও অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী কেরাণীগঞ্জের পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্র মোঃ তাওহীদ ইসলাম কে অপহরণ করে হত্যার পর সেপ্টিক ট্যাংকে লাশ গুমের পরও মুক্তিপণের টাকা আদায়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মোঃ মকবুল হোসেন (৩৭), পিতা-আলী হোসেন, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা মুক্তিপনের ২,৯০,০০০/- টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত উক্ত অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মকবুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ভিকটিমের পরিবার ও গ্রেফতারকৃত মকবুল একই এলাকায় বসবাস করতো এবং কিছুদিন পূর্বে গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেছে বলে জানায়। একই এলাকায় বসবাস এবং বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাধে ভিকটিমের পরিবারের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ভিকটিম তাওহীদের বাবা একজন প্রবাসী। তাওহীদ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশুনা করতো। যার ফলে সে সকালে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হতো এবং বাসায় ফিরতে প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে যেতো।

গ্রেফতারকৃত মকবুল এর ধারণা ছিল যে, ভিকটিমের বাবা প্রবাসী তাই ভিকটিমকে অপহরণ করলে মোটা অংকের মুক্তিপন আদায় করা যাবে। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত মকবুল অল্পসময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় প্রায় ০৬ মাস যাবৎ ভিকটিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আসছিল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিম তাওহীদ মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথিমধ্যে ভিকটিমের বাড়ীর রাস্তার পাশে ওৎ পেতে থাকে।

এসময় ভিকটিম মাদ্রাসা থেকে আনুমানিক রাত ২০:৪০ ঘটিকার সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র পূর্বহতে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে উক্ত এলাকার নিকটস্থ একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার হাত, পা ও মুখ বেধে রাখে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মকবুল পূর্বে ক্রয়কৃত তার মোবাইল কৌশলে ভিকটিমের বাসায় রেখে আসে। গ্রেফতারকৃত মকবুল ভিকটিমের বাসায় রেখে আসা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণের বিষয়টি জানায় এবং ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এসময় মুক্তিপণের টাকা না দিলে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিলে ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মুখের বাঁধন খুলে গেলে ভিকটিম ডাক-চিৎকার করলে গ্রেফতারকৃত মকবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম তাওহীদের মুখ ও গলা মাফলার দিয়ে পেচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং ভিকটিমের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকার নিকটস্থ একটি সেইফটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রেখে দ্রæত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

গত ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ সকালে গ্রেফতারকৃত মকবুল মুক্তিপণের টাকা নিয়ে প্রথমে আব্দুল্লাহপুর বাজারে, সেখান থেকে রাজেন্দ্রপুর, তারপর রসুলপুর আসতে বলে এভাবে ভিকটিমের মামাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে।

সর্বশেষ একই দিন আনুমানিক সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের মামা গ্রেফতারকৃত মকবুলের কথা মত ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের ফুটওভার ব্রিজের উপরে ৪নং পিলারের গোড়ায় নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা রেখে আসে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মকবুল মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পোস্তগোলা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলে অবস্থাকালীন সময় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।