মোঃ কাওছার আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী – পটুয়াখালী।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঔষধের ব্যবসা। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ২৫০ টিরও বেশি ঔষধের দোকান রয়েছে। যার মধ্যে আনুমানিক ১০০ টি দোকানের নামে লাইসেন্স রয়েছে এবং ফার্মেসীর বাহিরেও বিভিন্ন এলাকায় মুদিমনোহরি দোকানে অবৈধভাবে নিয়মিত ঔষধ বিক্রি করে আসছে।
রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের নেতা বাজার, পুলঘাট বাজার, রাজার বাজার, সামুদাফৎ খেয়াঘাট, গঙ্গিপাড়া খলিফাবাড়ীর দরজা, বটতলা বাজার, নেতা বান্দাঘাটা বাজার, নেতা স্লুলিজ বাজার, ও শনিবারিয়া বাজারে শতর্কতা ও পরামর্শ মুলক অভিযান পরিচালনা করেন পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসন বিভাগ।
পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসন অফিসের সহকারী পরিচালক সিকদার কামরুল ইসলামের নের্তৃত্বে একটি দল (শনিবার) ১০ ফেব্রুয়ারী রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স বিহিন অবৈধ ভাবে পরিচালনাকারী ফার্মেসীর মালিকদেরকে সতর্কীকরন পরামর্শ ও দ্রুতো ড্রাগ লাইসেন্স করার পরামর্শ দেয়া হয় এবং ফার্মেসীতে থাকা ফিজিশিয়ান সেম্পল ঔষধ ও মুদিমনোহরি দোকানের সকল ঔষধ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত ঔষধগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে গরিব ও অসহায় রুগিদের মাঝে বিতরন করে দেয়া হয়।
পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসন সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে অভিযানের অংশ হিসাবে রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন বাজারে ঔষধের দোকানে সতর্কতা ও পরামর্শ মুলক অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় পুলঘাট বাজার সেবা মেডিকেল হল, নেতা বাজার তালুকদার মেডিকেল হল, গঙ্গিপাড়া খলিফা বাড়ীর দরজায় নাভিলা মেডিকেল হল ও বটতলা রায়হান সহ কয়েকটি দোকান থেকে ফিজিশিয়ান সেম্পল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন বাজারে মুদিমনোহরি দোকানে অবৈধ ভাবে বিক্রি করা ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ফিজিশিয়ান ঔষধ গুলো চিকিৎসকের পরামর্শে গরিব ও অসহায় রুগিদের মাঝে বিতরন করে দেয়া হয়েছে এবং এসব ফার্মেসী ও দোকানের মালিককে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী ঔষধ প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক সিকদার কামরুল ইসলাম জানান, রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন বাজারে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ভাবে পরিচালনা কারী ফার্মেসীর মালিকদেরকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।