![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জবি প্রতিনিধি।
পুরান ঢাকার অলিগলি, বাসাবাড়ির ছাঁদ, স্কুল-কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সহ রাস্তার আশেপাশ জুড়ে লাল, নীল, সুবজ রঙে ছেয়ে গেছে সমস্ত জায়গাজুড়ে।
কোথায় ছেলে-মেয়ে, কোথায় শিশু-কিশোর, আবার কোথায় তরুণ-তরুণীরা মিলপ মিশে গেছে আবিরের নানা রকমের রঙের ছোঁয়ায়।
মনের আনন্দে রঙের বর্ণছটায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে মানুষগুলো। বসন্তের হাওয়ায় রঙিন মুখগুলো যেন আনন্দঘন করে তুলেছে পুরো পুরান ঢাকাবাসী।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে, এ রঙ খেলার মাধ্যমে পুরাতন বছরের সকল অশুভ রঙের ছোঁয়া কেটে নতুন বছরে নতুন করে রঙের বিভিন ছোঁয়ায় জীবন রঙিন করবে বলে আশা ধারণা করা হয়।
ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথির এ দিনে বৃন্দাবনের নন্দনকাননে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে তার সখী রাধা ও তেত্রিশ হাজার গোপীর সঙ্গে রং ছোড়াছুড়ির খেলায় মেতে ছিলেন। এরপর কৃষ্ণ ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। এ আবির খেলার স্মরণে হিন্দু সম্প্রদায় এই হোলি উৎসব পালন করে থাকে বলে প্রচলিত আছে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, কৃষ্ণ নিজের কৃষ্ণ রং ঢাকতে বিভিন্ন ধরনের রং মাখিয়ে রাধার সামনে হাজির হন। সেই থেকে এ উৎসবের শুরু।
উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে দোল উৎসবের আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে জাঁকজমক ভাবে। তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় রাজধানী পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিশু কিশোর, তরুণ তরুণীরা উৎসবে মেতেছে। সব বয়সের নারী-পুরুষই একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতী বাজার, শাঁখারী বাজার, লক্ষ্মীবাজার, ওয়ারীসহ বিভিন্ন স্থানে সবাই মেতে উঠেছে আবিরের রঙ উৎসবে।
রঙ খেলায় অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, করোনায় টানা দুবছর তারা দোল উৎসব উদযাপন করতে পারেননি। এবার অংশ নিতে পেরে সবাই বেশ উপভোগ করেছেন এবং আগামীতে আরও সুন্দর করে উদযাপন করতে চাই তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমনা সাহা বলেন, প্রত্যেকবারের ন্যায় এবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আবীর রঙের হোলির উৎসবে মেতে উঠেছি, এটা বাঙালির উৎসব কোনো সম্প্রদায়ের নয় এই উৎসব সকলের এবং সার্বজনীন।