বাংলাদেশ ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

দালালদের দৌরাত্ম্য মানিকগঞ্জ বিআরটিএ

দালালদের দৌরাত্ম্য মানিকগঞ্জ বিআরটিএ

 

রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোট অথরটি (বিআরটিএ) মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় এখন সঙ্গবদ্ধ দালালদের খপ্পরে পরেছে। এখানে যেকোন সেবা নিতে এসে নির্ধারিত ফি-র অতিরিক্ত কয়েকগুন অর্থ গুনতে হয় সেবা গ্রহীতাদের।আবার দালালদের কাজে সহযোগীতা করেন বিআরটিএ অফিসের একাধিক ব্যক্তি। এতে অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েন সেবা গ্রহীতরা।

 

এই অনিয়ম ও দালালবাজি দেখার যেনো কেউ নেয়।এমন অভিযোগ করেছে একাধিক ভুক্তভোগী।দের হাজার টাকার পেশাদার ও ২৫শত টাকা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিতে হচ্ছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।দালাল ছাড়া কাজ করা মানিকগঞ্জ বিআরটিএ  তে অসম্ভব পর হয়ে উঠেছে।মুন্নু টেক্সটাইলে চাকরি করেন মহসিন মিয়া জানা,বাড়তি টাকা আবার দালাল ছাড়া বিআরটিএ তে কোন কাজ হয় না।

 

এ কাগজ নাই সে কাগজ নাই বলে হয়রানির শেষ নাই।উপায়ন্তর না পেয়ে আমি অফিসের সহায়ক শাওন কে বাড়তি টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছি। সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন রায়হান কবির দু দফা চেষ্টার পরেও তার গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের ফাইল জমা দিতে পারেন নাই। vভুক্তভোগী জানান, পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের এক লোকের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কিনে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দু বার আসলাম।

 

অফিসে পিয়ন নাই পরে আসেন বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।অথচ আমার সামনেই বাড়তি টাকা নিয়ে ফাইল জমা হয়ে যাচ্ছে। দালাল ছাড়া কাজ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি।একাধিক গ্রাহক, শো রুম মালিক এবং ভুক্তভোগী জানান, মোটরযান এনডোর্সমেন্ট, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, স্মাট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযানের শ্রেনী পরিবর্তন বা সংযোজনসহ মানিকগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয় যে কোন কাজ করতে গেলে দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ।

 

 

কার্যালয়ের সামনে ছদ্দ্ববেশে দালাল আর ভিতরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ে মোটরযান মালিকরা।প্রতিদিন জেলার ৭টি উপজেলার কয়েক শ মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে আসেন জেলা শহরে।

 

 

অনেক সময় অফিসে কর্মকর্তা না থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ে তাদের কাগজ পত্র অফিসে জমা দিতে পারে না।আবার অনেক সময় কাগজ পত্র জমা দিলেও গুনতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ।জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক মো,সফিকুল ইসলাম জানান,  সরকারি চাকরিতে নিজ জেলায় বিধি নিষেধ থাকলেও আমি সঠিক সেবা দিতে নিজ জেলায় চাকরি করছি।

 

 

আপনি হয়তো বিআরটিএ তে চাকরির চেষ্ঠা করে সফল হয়নি, তাই অফিসের দোষ খুজছেন।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ বিআরটিএ সহকারি পরিচালক ইঞ্জি,মো,নুরুজ্জামান বলেন,ইতিমধ্যে ই মিঠু নামে এক দালাল আমি অফিস এলাকায় নিষিদ্ধ করেছি,এবং অফিস পিয়ন পলাশকে বদলির জন্য সুপারিশ করে হেড অফিসে চিঠি দিয়েছি।বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা জহুরার নজরে আনলে তিনি বলেন, এবিষয়ে অবগত হলাম বিধি অনুযয়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

দালালদের দৌরাত্ম্য মানিকগঞ্জ বিআরটিএ

আপডেট সময় ১০:১৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২

 

রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোট অথরটি (বিআরটিএ) মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় এখন সঙ্গবদ্ধ দালালদের খপ্পরে পরেছে। এখানে যেকোন সেবা নিতে এসে নির্ধারিত ফি-র অতিরিক্ত কয়েকগুন অর্থ গুনতে হয় সেবা গ্রহীতাদের।আবার দালালদের কাজে সহযোগীতা করেন বিআরটিএ অফিসের একাধিক ব্যক্তি। এতে অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েন সেবা গ্রহীতরা।

 

এই অনিয়ম ও দালালবাজি দেখার যেনো কেউ নেয়।এমন অভিযোগ করেছে একাধিক ভুক্তভোগী।দের হাজার টাকার পেশাদার ও ২৫শত টাকা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিতে হচ্ছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।দালাল ছাড়া কাজ করা মানিকগঞ্জ বিআরটিএ  তে অসম্ভব পর হয়ে উঠেছে।মুন্নু টেক্সটাইলে চাকরি করেন মহসিন মিয়া জানা,বাড়তি টাকা আবার দালাল ছাড়া বিআরটিএ তে কোন কাজ হয় না।

 

এ কাগজ নাই সে কাগজ নাই বলে হয়রানির শেষ নাই।উপায়ন্তর না পেয়ে আমি অফিসের সহায়ক শাওন কে বাড়তি টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছি। সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন রায়হান কবির দু দফা চেষ্টার পরেও তার গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের ফাইল জমা দিতে পারেন নাই। vভুক্তভোগী জানান, পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের এক লোকের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কিনে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দু বার আসলাম।

 

অফিসে পিয়ন নাই পরে আসেন বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।অথচ আমার সামনেই বাড়তি টাকা নিয়ে ফাইল জমা হয়ে যাচ্ছে। দালাল ছাড়া কাজ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি।একাধিক গ্রাহক, শো রুম মালিক এবং ভুক্তভোগী জানান, মোটরযান এনডোর্সমেন্ট, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, স্মাট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযানের শ্রেনী পরিবর্তন বা সংযোজনসহ মানিকগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয় যে কোন কাজ করতে গেলে দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ।

 

 

কার্যালয়ের সামনে ছদ্দ্ববেশে দালাল আর ভিতরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ে মোটরযান মালিকরা।প্রতিদিন জেলার ৭টি উপজেলার কয়েক শ মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে আসেন জেলা শহরে।

 

 

অনেক সময় অফিসে কর্মকর্তা না থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ে তাদের কাগজ পত্র অফিসে জমা দিতে পারে না।আবার অনেক সময় কাগজ পত্র জমা দিলেও গুনতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ।জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক মো,সফিকুল ইসলাম জানান,  সরকারি চাকরিতে নিজ জেলায় বিধি নিষেধ থাকলেও আমি সঠিক সেবা দিতে নিজ জেলায় চাকরি করছি।

 

 

আপনি হয়তো বিআরটিএ তে চাকরির চেষ্ঠা করে সফল হয়নি, তাই অফিসের দোষ খুজছেন।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ বিআরটিএ সহকারি পরিচালক ইঞ্জি,মো,নুরুজ্জামান বলেন,ইতিমধ্যে ই মিঠু নামে এক দালাল আমি অফিস এলাকায় নিষিদ্ধ করেছি,এবং অফিস পিয়ন পলাশকে বদলির জন্য সুপারিশ করে হেড অফিসে চিঠি দিয়েছি।বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা জহুরার নজরে আনলে তিনি বলেন, এবিষয়ে অবগত হলাম বিধি অনুযয়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।