ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নগরীর বটতলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেলকোনিতে পথচারীদের আতঙ্ক মির্জাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ সিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে আর এমপি’র পুলিশ কমিশনারের শ্রদ্ধা রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যোগ হলো আরো দুটি এসটিএস, উদ্বোধন করলেন মাননীয় সিটি মেয়র গণহত্যা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর বাবুর সহায়তায় ওএমএস এর চাউল পেল ৩ শতাদিক পরিবার আমতলীতে গনহত্যা দিবস পালিত জগন্নাথপুরের হাতিরঝিলের আদলে নলজুর সেতু’র কাজ শুরু আমতলীতে সড়ক অবৈধ দখল মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে দীপশিখা প্রজ্বলন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালককে হত্যা দশমিনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

মোঃ জাকির হোসেন ঝিনাইদহ (শৈলকুপা) প্রতিনিধি।
 ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়, বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বৃষ্টি সাথে পিঁয়াজের বাজর ধসে কৃষকদের মাঝে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজারের মধ্যে লাঙ্গলবাঁধ অন্যতম। শৈলকুপা, শ্রীপুর ও পাংশা উপজেলার মোহনায় লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবস্থিত। শিল্প বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে লাঙ্গল বাঁধ। মৌসুমের প্রাথমিক সূচনালগ্নেই লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিঁয়াজের আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের দাম ও ছিল মানুষের নাগালের মধ্যে।
প্রতি মন পিঁয়াজ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপজেলা কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তারা পিঁয়াজের যে মূল্য আশা করছিল সেই আশানুরূপ বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ পিঁয়াজ ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন জানতে পারেন উপজেলায় প্রচুর পিঁয়াজ চাষের ফলশ্রুতিতে বাজারে দেশি ও উন্নত জাতের পিঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের বাজার অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ খায়রুল খাঁ ও মোশাররফ হোসেন সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর টাতে পিঁয়াজের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। পিঁয়াজ রোপণে সার, কিটনাশক, জমি সেছ ও পিঁয়াজ লাগানোর মজুরি ছিল অনেক বেশি! ফলশ্রুতিতে কৃষকদের পিঁয়াজ রোপণে প্রতি শতাংশে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় সাধিত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ধসে কৃষকদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা পেঁয়াজ চাষের  মূল খরচ উঠাতে পারবে কি না। প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন ও ফুরাদ শেখ বলেন পেঁয়াজ আমাদের এ মৌসুমের একমাত্র ফসল যা দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের পারিবারিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরন করে থাকি কিন্তু এতো অল্প দামে পেঁয়াজ  বিক্রি ও পেঁয়াজের বাজার ভালো না হওয়ায় ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরে আমরা এবং আমাদের পরিবারকে পথে বসতে হবে। কিবরিয়া বিশ্বাস, সাজ্জাদ শেখ ও বিশারত শেখ বলেন সরকার যদি মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ  আমদানি বন্ধ করে তাহলে হয়তো পেঁয়াজের বাজার  ভালো হতে পারে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিমত সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও  মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলেয় হয়তো  কৃষকরা তাদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করতে পারবে। পরিশেষে  কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে  কৃষকদের  স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

আপডেট সময় ০৯:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
মোঃ জাকির হোসেন ঝিনাইদহ (শৈলকুপা) প্রতিনিধি।
 ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়, বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বৃষ্টি সাথে পিঁয়াজের বাজর ধসে কৃষকদের মাঝে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজারের মধ্যে লাঙ্গলবাঁধ অন্যতম। শৈলকুপা, শ্রীপুর ও পাংশা উপজেলার মোহনায় লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবস্থিত। শিল্প বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে লাঙ্গল বাঁধ। মৌসুমের প্রাথমিক সূচনালগ্নেই লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিঁয়াজের আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের দাম ও ছিল মানুষের নাগালের মধ্যে।
প্রতি মন পিঁয়াজ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপজেলা কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তারা পিঁয়াজের যে মূল্য আশা করছিল সেই আশানুরূপ বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ পিঁয়াজ ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন জানতে পারেন উপজেলায় প্রচুর পিঁয়াজ চাষের ফলশ্রুতিতে বাজারে দেশি ও উন্নত জাতের পিঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের বাজার অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ খায়রুল খাঁ ও মোশাররফ হোসেন সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর টাতে পিঁয়াজের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। পিঁয়াজ রোপণে সার, কিটনাশক, জমি সেছ ও পিঁয়াজ লাগানোর মজুরি ছিল অনেক বেশি! ফলশ্রুতিতে কৃষকদের পিঁয়াজ রোপণে প্রতি শতাংশে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় সাধিত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ধসে কৃষকদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা পেঁয়াজ চাষের  মূল খরচ উঠাতে পারবে কি না। প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন ও ফুরাদ শেখ বলেন পেঁয়াজ আমাদের এ মৌসুমের একমাত্র ফসল যা দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের পারিবারিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরন করে থাকি কিন্তু এতো অল্প দামে পেঁয়াজ  বিক্রি ও পেঁয়াজের বাজার ভালো না হওয়ায় ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরে আমরা এবং আমাদের পরিবারকে পথে বসতে হবে। কিবরিয়া বিশ্বাস, সাজ্জাদ শেখ ও বিশারত শেখ বলেন সরকার যদি মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ  আমদানি বন্ধ করে তাহলে হয়তো পেঁয়াজের বাজার  ভালো হতে পারে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিমত সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও  মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলেয় হয়তো  কৃষকরা তাদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করতে পারবে। পরিশেষে  কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে  কৃষকদের  স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।