মোঃ জাকির হোসেন ঝিনাইদহ (শৈলকুপা) প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়, বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বৃষ্টি সাথে পিঁয়াজের বাজর ধসে কৃষকদের মাঝে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজারের মধ্যে লাঙ্গলবাঁধ অন্যতম। শৈলকুপা, শ্রীপুর ও পাংশা উপজেলার মোহনায় লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবস্থিত। শিল্প বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে লাঙ্গল বাঁধ। মৌসুমের প্রাথমিক সূচনালগ্নেই লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিঁয়াজের আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের দাম ও ছিল মানুষের নাগালের মধ্যে।
প্রতি মন পিঁয়াজ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপজেলা কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তারা পিঁয়াজের যে মূল্য আশা করছিল সেই আশানুরূপ বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ পিঁয়াজ ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন জানতে পারেন উপজেলায় প্রচুর পিঁয়াজ চাষের ফলশ্রুতিতে বাজারে দেশি ও উন্নত জাতের পিঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের বাজার অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ খায়রুল খাঁ ও মোশাররফ হোসেন সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর টাতে পিঁয়াজের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। পিঁয়াজ রোপণে সার, কিটনাশক, জমি সেছ ও পিঁয়াজ লাগানোর মজুরি ছিল অনেক বেশি! ফলশ্রুতিতে কৃষকদের পিঁয়াজ রোপণে প্রতি শতাংশে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় সাধিত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ধসে কৃষকদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা পেঁয়াজ চাষের মূল খরচ উঠাতে পারবে কি না। প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন ও ফুরাদ শেখ বলেন পেঁয়াজ আমাদের এ মৌসুমের একমাত্র ফসল যা দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের পারিবারিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরন করে থাকি কিন্তু এতো অল্প দামে পেঁয়াজ বিক্রি ও পেঁয়াজের বাজার ভালো না হওয়ায় ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরে আমরা এবং আমাদের পরিবারকে পথে বসতে হবে। কিবরিয়া বিশ্বাস, সাজ্জাদ শেখ ও বিশারত শেখ বলেন সরকার যদি মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে তাহলে হয়তো পেঁয়াজের বাজার ভালো হতে পারে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিমত সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলেয় হয়তো কৃষকরা তাদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করতে পারবে। পরিশেষে কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে কৃষকদের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।