বাংলাদেশ ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

মোঃ জাকির হোসেন ঝিনাইদহ (শৈলকুপা) প্রতিনিধি।
 ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়, বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বৃষ্টি সাথে পিঁয়াজের বাজর ধসে কৃষকদের মাঝে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজারের মধ্যে লাঙ্গলবাঁধ অন্যতম। শৈলকুপা, শ্রীপুর ও পাংশা উপজেলার মোহনায় লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবস্থিত। শিল্প বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে লাঙ্গল বাঁধ। মৌসুমের প্রাথমিক সূচনালগ্নেই লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিঁয়াজের আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের দাম ও ছিল মানুষের নাগালের মধ্যে।
প্রতি মন পিঁয়াজ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপজেলা কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তারা পিঁয়াজের যে মূল্য আশা করছিল সেই আশানুরূপ বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ পিঁয়াজ ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন জানতে পারেন উপজেলায় প্রচুর পিঁয়াজ চাষের ফলশ্রুতিতে বাজারে দেশি ও উন্নত জাতের পিঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের বাজার অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ খায়রুল খাঁ ও মোশাররফ হোসেন সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর টাতে পিঁয়াজের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। পিঁয়াজ রোপণে সার, কিটনাশক, জমি সেছ ও পিঁয়াজ লাগানোর মজুরি ছিল অনেক বেশি! ফলশ্রুতিতে কৃষকদের পিঁয়াজ রোপণে প্রতি শতাংশে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় সাধিত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ধসে কৃষকদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা পেঁয়াজ চাষের  মূল খরচ উঠাতে পারবে কি না। প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন ও ফুরাদ শেখ বলেন পেঁয়াজ আমাদের এ মৌসুমের একমাত্র ফসল যা দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের পারিবারিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরন করে থাকি কিন্তু এতো অল্প দামে পেঁয়াজ  বিক্রি ও পেঁয়াজের বাজার ভালো না হওয়ায় ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরে আমরা এবং আমাদের পরিবারকে পথে বসতে হবে। কিবরিয়া বিশ্বাস, সাজ্জাদ শেখ ও বিশারত শেখ বলেন সরকার যদি মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ  আমদানি বন্ধ করে তাহলে হয়তো পেঁয়াজের বাজার  ভালো হতে পারে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিমত সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও  মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলেয় হয়তো  কৃষকরা তাদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করতে পারবে। পরিশেষে  কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে  কৃষকদের  স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বাজার ধসে দিশেহারা কৃষক।

আপডেট সময় ০৯:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
মোঃ জাকির হোসেন ঝিনাইদহ (শৈলকুপা) প্রতিনিধি।
 ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়, বৈরী আবহাওয়া ও মৌসুমি বৃষ্টি সাথে পিঁয়াজের বাজর ধসে কৃষকদের মাঝে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজারের মধ্যে লাঙ্গলবাঁধ অন্যতম। শৈলকুপা, শ্রীপুর ও পাংশা উপজেলার মোহনায় লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবস্থিত। শিল্প বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে লাঙ্গল বাঁধ। মৌসুমের প্রাথমিক সূচনালগ্নেই লাঙ্গলবাঁধ বাজারে প্রচুর পিঁয়াজের আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের দাম ও ছিল মানুষের নাগালের মধ্যে।
প্রতি মন পিঁয়াজ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপজেলা কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে কারণ তারা পিঁয়াজের যে মূল্য আশা করছিল সেই আশানুরূপ বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ পিঁয়াজ ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন জানতে পারেন উপজেলায় প্রচুর পিঁয়াজ চাষের ফলশ্রুতিতে বাজারে দেশি ও উন্নত জাতের পিঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে ফলে পিঁয়াজের বাজার অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ খায়রুল খাঁ ও মোশাররফ হোসেন সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর টাতে পিঁয়াজের চাষ অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। পিঁয়াজ রোপণে সার, কিটনাশক, জমি সেছ ও পিঁয়াজ লাগানোর মজুরি ছিল অনেক বেশি! ফলশ্রুতিতে কৃষকদের পিঁয়াজ রোপণে প্রতি শতাংশে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ব্যয় সাধিত হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার ধসে কৃষকদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা পেঁয়াজ চাষের  মূল খরচ উঠাতে পারবে কি না। প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন ও ফুরাদ শেখ বলেন পেঁয়াজ আমাদের এ মৌসুমের একমাত্র ফসল যা দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের পারিবারিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরন করে থাকি কিন্তু এতো অল্প দামে পেঁয়াজ  বিক্রি ও পেঁয়াজের বাজার ভালো না হওয়ায় ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরে আমরা এবং আমাদের পরিবারকে পথে বসতে হবে। কিবরিয়া বিশ্বাস, সাজ্জাদ শেখ ও বিশারত শেখ বলেন সরকার যদি মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ  আমদানি বন্ধ করে তাহলে হয়তো পেঁয়াজের বাজার  ভালো হতে পারে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিমত সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও  মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলেয় হয়তো  কৃষকরা তাদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করতে পারবে। পরিশেষে  কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে  কৃষকদের  স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে।