বাংলাদেশ ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ দীর্ঘ ছয়’বছর পর রাজাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা। ওলামা পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে ইউনিয়ন ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে হিন্দু নেতৃবৃন্দ একটি তালগাছ একটি বজ্রনিরোধক দণ্ড হিসাবে কাজ করবে- ইউএনও শাকিল আহমেদ কুবিতে আইকিউএসি’র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক নিয়োগ জিয়ার জন্মদিনে বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা মিরপুরে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু অকপটে শুধু গান নিয়েই একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন- বিজয় সরকার। বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে নবীকে নিয়ে কটুক্তি ; যুবক গ্রেফতার জামালপুরে তিনদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট গফরগাঁওয়ে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে লিখে নেওয়া হলো ইটভাটা।

রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির কবলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • ১৭১১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির কবলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ভান্ডারে পরিণত হয়েছে পবা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। এক শ্রেণির দালাল সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সেবা নিতে আসা মানুষেরা। দলিল লেখক, স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত এ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়মে।
অভিযোগ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে, সাব-কবলা দলিলের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ, অসিয়ত নামা, ঘোষণাপত্র, আমমোক্তারনামা দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তিনি অফিসে যোগদানের পর থেকে দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি দলিল থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা সেরেস্তার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ টাকা সন্ধ্যার পর সিন্ডিকেটের সমন্বয়ে ভাগভাগী করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পবা উপজেলার পারিলা এলাকার একটি মাদ্রাসা ও গোরস্থানের দানের জমি বিক্রয় এর উদ্দেশ্য কবলা দলিল করে দিয়েছে এই রওশন আরা আমিনুল ও আয়নাল সিন্ডিকেট। নওহাটা পৌরসভার সন্তোষপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত হাফিজ উদ্দিনের বাক্প্রতিবন্ধী ছেলে মুক্তার আলীর জমি প্রতারণা করে রেজিষ্ট্রির করে দিয়েছেন এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা পবা উপজেলা দলিল লেখক সভাপতি এস এম আয়নাল হক।
জানা গেছে, এ অফিসে সপ্তাহে দুইদিন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। বেশির ভাগ দলিল হেবাবিল এওয়াজ, আমমোক্তার নামা, দানপত্র ও ঘোষণাপত্র দলিল। এতে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরের রেজিস্ট্রি করা দলিল পরীক্ষা করলে এর সন্ধান পাওয়া যাবে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দলিলের ফি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করলেও সেরেস্তা (অতিরিক্ত ফি) ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। তার চাহিদামতো টাকা না পেলে বিভিন্ন কাগজপত্রের অজুহাতে হয়রানি করা হয়। আবার টাকা পেলে সব কাগজ বৈধ হয়ে যায়। একাধিক দলিল লেখক জানান, সেরেস্তা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি তো দূরের কথা সীমাহীন হয়রানির স্বীকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। তাই বাধ্য হয়েই সেরেস্তা (অতিরিক্ত ফি) দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়।
তবে কাগজপত্রে ঝামেলা থাকলে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রত্যেক দলিল থেকে সেরেস্তার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলেও সিন্ডিকেটের ভয়ে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। দলিল করতে আসা (ছদ্মনাম) আসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, সরকারি সকল ফি বাদ দিয়ে তার অতিরিক্ত ৮ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে।
এরমধ্যে দলিল লেখক সমিতির ১ হাজার, ভেন্ডার ৩ হাজার আর বাকি টাকা অফিস খরচের জন্য দেয়া হয়েছে। শুধু আসলাম নয় দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা প্রত্যেক লোকের কাছ থেকে এভাবেই টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও দলিলের নকল তুলতে গেলে সরকারি ফি’র দ্বিগুণ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা বলেন, অফিসে কোনো সিন্ডিকেট নেই। দলিল লেখকের মাধ্যমে আমার নিকট দলিল আসে। সেরেস্তা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসে কোনো সেরেস্তা আদায় করা হয় না। দলিল লেখকরা চুক্তি করে দলিল রেজিস্ট্রি সরকারি মূল্যের বেশি টাকা নিয়ে থাকে।

হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির কবলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আপডেট সময় ০৬:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ভান্ডারে পরিণত হয়েছে পবা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। এক শ্রেণির দালাল সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সেবা নিতে আসা মানুষেরা। দলিল লেখক, স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত এ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়মে।
অভিযোগ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে, সাব-কবলা দলিলের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ, অসিয়ত নামা, ঘোষণাপত্র, আমমোক্তারনামা দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তিনি অফিসে যোগদানের পর থেকে দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি দলিল থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা সেরেস্তার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ টাকা সন্ধ্যার পর সিন্ডিকেটের সমন্বয়ে ভাগভাগী করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পবা উপজেলার পারিলা এলাকার একটি মাদ্রাসা ও গোরস্থানের দানের জমি বিক্রয় এর উদ্দেশ্য কবলা দলিল করে দিয়েছে এই রওশন আরা আমিনুল ও আয়নাল সিন্ডিকেট। নওহাটা পৌরসভার সন্তোষপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত হাফিজ উদ্দিনের বাক্প্রতিবন্ধী ছেলে মুক্তার আলীর জমি প্রতারণা করে রেজিষ্ট্রির করে দিয়েছেন এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা পবা উপজেলা দলিল লেখক সভাপতি এস এম আয়নাল হক।
জানা গেছে, এ অফিসে সপ্তাহে দুইদিন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। বেশির ভাগ দলিল হেবাবিল এওয়াজ, আমমোক্তার নামা, দানপত্র ও ঘোষণাপত্র দলিল। এতে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরের রেজিস্ট্রি করা দলিল পরীক্ষা করলে এর সন্ধান পাওয়া যাবে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দলিলের ফি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করলেও সেরেস্তা (অতিরিক্ত ফি) ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। তার চাহিদামতো টাকা না পেলে বিভিন্ন কাগজপত্রের অজুহাতে হয়রানি করা হয়। আবার টাকা পেলে সব কাগজ বৈধ হয়ে যায়। একাধিক দলিল লেখক জানান, সেরেস্তা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি তো দূরের কথা সীমাহীন হয়রানির স্বীকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। তাই বাধ্য হয়েই সেরেস্তা (অতিরিক্ত ফি) দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়।
তবে কাগজপত্রে ঝামেলা থাকলে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রত্যেক দলিল থেকে সেরেস্তার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলেও সিন্ডিকেটের ভয়ে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। দলিল করতে আসা (ছদ্মনাম) আসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, সরকারি সকল ফি বাদ দিয়ে তার অতিরিক্ত ৮ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে।
এরমধ্যে দলিল লেখক সমিতির ১ হাজার, ভেন্ডার ৩ হাজার আর বাকি টাকা অফিস খরচের জন্য দেয়া হয়েছে। শুধু আসলাম নয় দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা প্রত্যেক লোকের কাছ থেকে এভাবেই টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও দলিলের নকল তুলতে গেলে সরকারি ফি’র দ্বিগুণ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা বলেন, অফিসে কোনো সিন্ডিকেট নেই। দলিল লেখকের মাধ্যমে আমার নিকট দলিল আসে। সেরেস্তা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসে কোনো সেরেস্তা আদায় করা হয় না। দলিল লেখকরা চুক্তি করে দলিল রেজিস্ট্রি সরকারি মূল্যের বেশি টাকা নিয়ে থাকে।